১৫ জন বক্তার ওয়াজের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়
এই ১৫ জন বক্তা হলো-
আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান(গুনবী), মাওলানা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।
আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান(গুনবী), মাওলানা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।
তাদের দোষ : তারা ওয়াজের মধ্যে শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং নারীবাদ বিরোধী বয়ান, ‘মূর্তি ভাঙা ধর্মীয় কাজ’, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাফের’, ‘অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়’, ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ মুশরিকদের কাজ’, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, প্রতিমূর্তিতে ফুল দিয়ে নীরবতা পালন করা শিরক’, ‘গণতন্ত্র ইসলামে নাই, ইহা হারাম’ এবং ‘জাতীয় সংগীত কওমি মাদ্রাসায় চাপিয়ে দেওয়া যাবে না’, ‘আল্লাহর রাস্তার প্রতিষ্ঠায় উত্তম জিহাদ হচ্ছে সশস্ত্র জিহাদ’, ‘আল্লাহ রাসূলকে গালি দিলে কোপাতে হবে’, ‘ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করলে কোপাতে হবে ইত্যাদি।
(https://bit.ly/2I4ovdJ, https://bit.ly/2U9pAHN)
(https://bit.ly/2I4ovdJ, https://bit.ly/2U9pAHN)
হঠাৎ বক্তা ওয়াজেদের উপর কড়াকড়ি আরোপের সূত্র বাংলাট্রিবিউন নামক একটি নিউজপোর্টালে ‘সালমান তারেক শাকিল’ নামক এক সাংবাদিকের ৫টি আর্টিকেল,
১)ওয়াজ মাহফিল কি পেশায় পরিণত হচ্ছে? (https://bit.ly/2TgaR8x)
২) ‘আল্লাহ বলেন নো-নো, মুসা বলেন ইয়েস-ইয়েস’ (https://bit.ly/2FrmqX0)
৩) ওয়াজ মাহফিলের যত ধারা (https://bit.ly/2Keqm1y)
৪) ওয়াজ রাজনীতি একাকার (https://bit.ly/2Vy8OP2)
৫) ওয়াজ মাহফিল কীভাবে প্রভাব ফেলছে, শ্রোতা কি বাড়ছে? (https://bit.ly/2G2oHbg)
১)ওয়াজ মাহফিল কি পেশায় পরিণত হচ্ছে? (https://bit.ly/2TgaR8x)
২) ‘আল্লাহ বলেন নো-নো, মুসা বলেন ইয়েস-ইয়েস’ (https://bit.ly/2FrmqX0)
৩) ওয়াজ মাহফিলের যত ধারা (https://bit.ly/2Keqm1y)
৪) ওয়াজ রাজনীতি একাকার (https://bit.ly/2Vy8OP2)
৫) ওয়াজ মাহফিল কীভাবে প্রভাব ফেলছে, শ্রোতা কি বাড়ছে? (https://bit.ly/2G2oHbg)
এই প্রতিবেদনগুলো পূজি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ন থেকে ১৫ জন বক্তার উপর কড়াকড়ি আরোপের প্ল্যান সারে কেউ।
উল্লেখ্য বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি জেমকন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। যশোরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও তার বাপ-ভাইদের প্রতিষ্ঠান এটি। এদের ইউল্যাব নামক একটা ইউনিভার্সিটি আছে, যেখানে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে লোক এসে শিক্ষার্থীদের ব্রেনওয়াশ করে এবং মার্কিন দালাল বানানোর পলিসি ঠিক করে যায়।
বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি চালায় কাজী নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদ, যে ‘পেন ইন্টারন্যালশাল’ নামক একটি ইহুদীবাদী লেখক সংস্থার এদেশীয় এজেন্টা। (https://bit.ly/2FSSdis)
আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই যে গত ৫-৬ বছর যাবত ব্লগার নামক নাস্তিকদের উৎপাত এর পেছনে রয়েছে এই পেন ইন্টারন্যাশনাল নামক সংগঠনটি, যা অমি পিয়াল ও আসিফ মহিউদ্দিন তাদের স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করেছে।(https://bit.ly/2I3BnAQ , https://bit.ly/2Ii9hBw)
ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে, ওয়ায়েজ বা বক্তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
একইভাবে ভাই-ভাইয়েও দ্বন্দ্ব থাকে, মতপার্থক্য থাকে, তেমনি মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠন বা গ্রুপের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে এটাও স্বাভাবিক।
একইভাবে ভাই-ভাইয়েও দ্বন্দ্ব থাকে, মতপার্থক্য থাকে, তেমনি মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠন বা গ্রুপের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে এটাও স্বাভাবিক।
কিন্তু সেটার জন্য যদি কোন সিদ্ধান্তের দরকার হয়, তবে মুসলমানরা নিজেরা মিলে নিবে। সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু ইহুদীদের সংগঠন পেন ইন্টনাশন্যাল বা তাদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউনকে দেয়া হয় নাই। মুসলমানদের শুদ্ধ করার দায়িত্বও তাদের দেয়া হয় নাই। নাস্তিকরা-নাস্তিকরা যখন কামড়াকামড়ি করে তখন কিন্তু তার মধ্যে মুসলমানরা নাক গলাতে যায় নাই, তাহলে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকারও তাদের অধিকার নাই।
আসলে ইহুদীদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন জানে, মুসলমান-মুসলমান ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব আছে, সেই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগায় এমন ১৫ জন বক্তা বা ওয়াজের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কওমী-সুন্নী-ওহাবী-সালাফি-পীরগোষ্ঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হবে, আর সে সুযোগে তারা বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, ধর্মনিরপেক্ষতা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যার এগুলোর বিরোধীতা করলে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
ঠিক আছে-
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তবে মুসলমানরাও তবে উল্টা পলিসি নিক।
তারা যেমন ওয়ায়েজ বা বক্তা দমনের নামে মতবাদ স্ট্যাবলিশ করতে চাইছে।
উল্টা পলিসি হিসেবে- মুসলমানরা তবে ওয়ায়েজ বা বক্তার দিকে তাকাবে না, তাকাবে তাদের আলোচনার দিকে।
যেহেতু- বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না এবং যে ওয়ায়েজ এই বিষয়ের বিরুদ্ধে ওয়াজ করবে সকল মুসলমান তাকেই চোখ বন্ধ করে সমর্থন করবে। ভেতরে ভেতরে নিজেদের মধ্যে যত দ্বন্দ্ব থাকুক, সেটা গৌন হয়ে অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র দমন মূখ্য হয়ে যাবে।
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তবে মুসলমানরাও তবে উল্টা পলিসি নিক।
তারা যেমন ওয়ায়েজ বা বক্তা দমনের নামে মতবাদ স্ট্যাবলিশ করতে চাইছে।
উল্টা পলিসি হিসেবে- মুসলমানরা তবে ওয়ায়েজ বা বক্তার দিকে তাকাবে না, তাকাবে তাদের আলোচনার দিকে।
যেহেতু- বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না এবং যে ওয়ায়েজ এই বিষয়ের বিরুদ্ধে ওয়াজ করবে সকল মুসলমান তাকেই চোখ বন্ধ করে সমর্থন করবে। ভেতরে ভেতরে নিজেদের মধ্যে যত দ্বন্দ্ব থাকুক, সেটা গৌন হয়ে অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র দমন মূখ্য হয়ে যাবে।
আমার মনে হয় এই ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোর একত্রে আগে বসা উচিত।
তারপর সবাই একযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত, বাংলাট্রিবিউন নামক ইহুদী পেন ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের প্রতিবেদন ফলো করে কেন ইসলামী বক্তাদের উপর কড়াকাড়ি বা শর্ত আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদীদের পেন’র থেকে কত টাকা খেয়েছে ?
তারপর সবাই একযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত, বাংলাট্রিবিউন নামক ইহুদী পেন ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের প্রতিবেদন ফলো করে কেন ইসলামী বক্তাদের উপর কড়াকাড়ি বা শর্ত আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদীদের পেন’র থেকে কত টাকা খেয়েছে ?
আর ওয়াজ কে কিভাবে করবে সেটা নির্ধারিত হবে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন হাদীসের মাধ্যমে।
ওয়ায়েজরা ধর্মীয় নীতিমালা (কোরআর-হাদীস এর ধারা) মেনে ওয়াজ করলো কি না সেটা সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয় দেখতে পারে, কিন্তু ইসলামী ওয়ায়েজরা কিভাবে ওয়াজ করবে, কতটুকু সীমারেখা ফলো করবে সেটা নির্ধারনের দায়িত্ব তো ইহুদী মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নয়। এটা তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা।
ওয়ায়েজরা ধর্মীয় নীতিমালা (কোরআর-হাদীস এর ধারা) মেনে ওয়াজ করলো কি না সেটা সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয় দেখতে পারে, কিন্তু ইসলামী ওয়ায়েজরা কিভাবে ওয়াজ করবে, কতটুকু সীমারেখা ফলো করবে সেটা নির্ধারনের দায়িত্ব তো ইহুদী মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নয়। এটা তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা।
আমার জানা মতে,
বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এর বিরুদ্ধে ওয়ায়েজরা ওয়াজ করেছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন হাদীস মেনে। ঐ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে যদি নিষিদ্ধ করতেই হয় তবে ১৫ বক্তাকে নয় বাংলাদেশে কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে বলা আছে, ওয়ায়েজরা সেখান থেকে শুধু পাঠ করেছে মাত্র। তাই নিষিদ্ধ করলে কোরআন হাদীস আগে নিষিদ্ধ করে দেখাক শেখ হাসিনা সরকার। সারাবিশ্ব দেখুক- ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করেছে, যা কোন অমুসলিম রাষ্ট্রও এখনও করার সাহস দেখায়নি।
বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এর বিরুদ্ধে ওয়ায়েজরা ওয়াজ করেছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন হাদীস মেনে। ঐ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে যদি নিষিদ্ধ করতেই হয় তবে ১৫ বক্তাকে নয় বাংলাদেশে কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে বলা আছে, ওয়ায়েজরা সেখান থেকে শুধু পাঠ করেছে মাত্র। তাই নিষিদ্ধ করলে কোরআন হাদীস আগে নিষিদ্ধ করে দেখাক শেখ হাসিনা সরকার। সারাবিশ্ব দেখুক- ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করেছে, যা কোন অমুসলিম রাষ্ট্রও এখনও করার সাহস দেখায়নি।
এ ব্যাপারে ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। এবং যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার কারণে তাদের উপর কড়াকাড়ি আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে, সেগুলো আরো শক্ত ও ব্যাপকভাবে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হোক। মুসলমানরা যদি শুধু এক হয়, তবে ষড়যন্ত্রকারীদের ইদুরের মত গর্তে ঢুকতে এক মুহুর্তও লাগবে না।