বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি

বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি
Image result for নদী
বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি
বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্প ধ্বংস করবে আওয়ামীলীগ
গতকাল পুরান ঢাকাকে নিয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। পুরান ঢাকা বিশেষ করে কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন করে যায়গা বের করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এতে পার্ক-খেলার মাঠ-কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে সরকার। পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮৮০ কোটি টাকা, যার সিংহভাগ অর্থাৎ ৮৩৪ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক। পুরান ঢাকা ভেঙ্গে একটি আধুনিক সিটি ও পর্যটন কেন্দ্র বানানোর অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে সরকারের, যার শুরুটা গতকাল গৃহিত হলো। (https://bit.ly/2TANRp2https://bit.ly/2EOsXL4)
পাঠক ! আপনাদের মনে থাকার কথা, চকবাজারে আগুন ধরার পর আমি আমি আপনাদের বলেছিলাম, এই আগুন দেয়ার পেছনে সম্রাজ্যবাদীদের একটি প্ল্যান আছে এবং তার সাথে আছে সরকারের কমিশন। অনেকে হয়ত বিষয়টি তখন বুঝেন নাই। কিন্তু দিনে দিনে দেখবেন, বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
আপনাদের আরো মনে থাকার কথা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে পাট দিবস উপলক্ষে বলেছিলো, “বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাট কল বন্ধ করে পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। ” (https://bit.ly/2C25uE7)
তাহলে কি আজকে আমরা বলতে পারি না, বিশ্বব্যাংকের থেকে টাকা খেয়ে কথিত উন্নয়নের নামে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করছে আওয়ামীলীগ সরকার !
দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে বিশ্বব্যাংক যে পরীক্ষিত শত্রু সেটার তো আরো বহু উদাহরণ আছে। ৮০-এর দশকের শেষের দিকে ‘বিশ্ব ব্যাংক’ বাংলাদেশ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে কৃষিক্ষেত হতে ‘ব্যাঙ’ ধরে দেয়ার জন্য। সেই সময় কৃষিক্ষেত হতে কোটি কোটি ব্যাঙ ধরা হয়। কিছু দিন পর দেখা যায়, ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার ধানক্ষেত পোকার আক্রমনে ধানশূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্হায় বিশ্বব্যাংক পরামর্শ দেয় উন্নত সার ও কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করতে। বিদেশী কোম্পানিগুলো তখন বাংলাদেশে সার ও কীটনাশক বিক্রি সুযোগ পায়। অর্থাৎ সে সময় ব্যাঙ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংক।
একই ঘটনা ঘটে, “সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি” নামে। ৩০-৩৫ বছর আগে হঠাৎ করে বলা হয়, বাংলাদেশে নাকি গাছের অভাবে পরিবেশ বিপর্যয় আসতেছে, দূর্যোগে নাকি ধ্বংস হবে বাংলাদেশ। তাই বনায়নের নামে দেশজুড়ে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কার হয়, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য অপকারী, এই গাছগুলো মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শুষে নেয়, ফলে কৃষিক্ষেতগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। ২০১০ সালের ১১ আগস্ট সামাজিক বনায়নের অগ্রগতিবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছকে ‘হতচ্ছাড়া গাছ’ উল্লেখ করে বলেছিলো, ‘এত দিন বিদেশি দাতা সংস্থার পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়।’ (https://bit.ly/2SOUBLuhttps://bit.ly/2HdQzKJ)
অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক যে দেশের কৃষি ও শিল্পকে ধ্বংস করতে কু-বুদ্ধি ও তার বাস্তবায়নে অর্থ দেয় এটা শেখ হাসিনা ও তার পেয়ারা মতিয়া চৌধুরী নিজ মুখেই স্বীকার করেছে। তাহলে সেই বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধি ও টাকাতে কেন তিনি পুরান ঢাকায় উন্নয়নের নামে দেশীয় শিল্পকে উচ্ছেদ করছেন ? এটা যে দেশীয় শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র সেটা কি তিনি বুঝেন না ? নাকি টাকার বস্তা পেয়ে তিনিও অন্ধ হয়ে গেছেন ??
আমার একটা বিষয় অবাক লাগে কি জানেন?
কথিত তৃতীয় বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রর জনগণ এখন বিশ্বব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর ষড়যন্ত্র ধরতে পারে এবং নিয়মিত সেখানে প্রতিবাদ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এতবার ঘোল খেয়েও শিক্ষা হয় না, বার বার একই গর্তে পা দেয়। চকবাজারে আগুন লাগার পর বাংলাদেশের মানুষের উচিত ছিলো, কেন সম্রাজ্যবাদীদের প্রকল্প বাস্তবায়নে এতগুলো মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো তার আগে বিচার চাওয়া, কিন্তু সেটা না করে পাবলিক লাগছে কেমিক্যালের পেছনে। প্রথমে ব্যাঙ দিয়ে বোকা বানাইছে, এরপর গাছ আর শেষে কেমিক্যাল। বাঙালী তুমি বেকুব হতে থাকো…..