বর্তমানে দাহ্য পদার্থের কথা বলে পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে

বর্তমানে দাহ্য পদার্থের কথা বলে পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে
Image result for নদীএ ভিডিওটি কয়েক বছর আগের। বর্তমানে দাহ্য পদার্থের কথা বলে পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পুরান ঢাকায় প্রায় ৩০০ প্লাস্টিক কারখানা আছে, যেখানে প্রতিদিন হাজার টন প্লাস্টিক রিসাইক্লিং হয়। এ প্লাস্টিক কারখানাগুলো পরিবেশে জন্য কতটা উপকারি তা বুঝানোর জন্যই এ ভিডিওটি দিলাম। সঠিক উপায়ে পুনর্বাসন না করে হঠাৎ করে যদি এই কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হয়, তবে বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বন্ধ হয়ে যাবে। আর বন্ধ হয়ে গেলে যে সমস্যাগুলো হবে:
১) পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক উঠবে না, ফলে পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠবে। প্লাস্টিকে ভরে যাবে সর্বত্র।
২) প্লাস্টিক পণ্যের দাম কয়েকগুন বেড়ে যাবে, ফলে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণী প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠিন সমস্যায় পড়বে।
৩) এই কারখানাগুলো দেশীয় পণ্য তৈরী জন্য গুটি সরবরাহ করতো। কিন্তু এই কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে প্লাস্টিক গুটি আমদানি করতে হবে।
৪) গার্মেন্টসগুলো প্লাস্টিক সুতা, হ্যাঙ্গার পেতো এখান থেকে। চালের কারখানাগুলো বস্তার ভেতরে একটা পাতলা পলিথিনের আবরণ দিতো, সেটারও সরবরাহ হতো এখান থেকে। এরকম আরো বহু প্লাস্টিক পণ্য সরবরাহ হতো পুরান ঢাকার ৩০০ কারখানা থেকে। এগুলো বন্ধ করে দেয়ায় দেশে একটি বিরাট সমস্যা তৈরী হবে।
৫) লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে পড়বে। এই কারখানাগুলোতে প্লাস্টিক সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলো কয়েক লক্ষ টোকাই। কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এই শ্রেণীটি চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়বে। উল্লেখ্য যেসব দেশে (আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা) কর্পোরেটোক্রেসি বাস্তবায়ন হয়েছে, সেখানে দরিদ্র শ্রেণীর কাজ হরণ করায় তারা হিংস্র হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। ঐ সব দেশে খুন-রাহাজানি খুব স্বাভাবিক বিষয়। এসব ব্যবসা উচ্ছেদের কারণে বাংলাদেশেও অদূর ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কাজ ব্যাপক হারে বাড়বে এটা নিশ্চিত।
https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/videos/1975770192535165/?t=9