৯৬টা তরল দুধের পরীক্ষা করছে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউটের ‘ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি’। এন.সি-৩৪৩

৯৬টা তরল দুধের পরীক্ষা করছে 
মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউটের ‘ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি’

Image result for পানি
৯৬টা তরল দুধের পরীক্ষা করছে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউটের ‘ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি’
এই গবেষণার নাম ছিলো- “Detection of heavy metal, drug and pesticide residue, mycotoxins and microbial contaminants in raw and packaged cow’s milk, curd and feed”
গবেষণাটি পরিচালিত হয়- জাতিসংঘের অর্থায়নে
সময়কাল : ২০১৮ সালের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর
(https://bit.ly/2WWwAVT)
আমার কথা হলো- জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউটের ‘ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি’ স্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন) পেয়েছে কবে ?
কারণ স্বীকৃতি পাওয়ার আগে তার মধ্যে করা কোন গবেষণা গ্রহণযোগ্যতা রাখে রাখে না।
এ সম্পর্কে, ২০১৮ এর এপ্রিলে বণিকবার্তায় এই ল্যাবরেটরিটি সম্পর্কে প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন বণিক বার্তাকে বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট যে ল্যাবে পরীক্ষা করছে, তা অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত নয়। এ কারণে ওই ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফলও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া সেখানে দক্ষ লোকবলও নেই। (https://bit.ly/2LZitOy)
হ্যা ! ল্যাবরেটরিটি অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে, তবে সেটা ২৫শে অক্টোবর ২০১৮ তারিখে। অর্থাৎ দুধ নিয়ে পরীক্ষা শুরুর দুই মাস পরে। (https://bit.ly/2LZcRne)
আমার কথা হলো-
ল্যাবরেটরিটি স্বীকৃতি পাওয়ার দুই মাস আগে থেকে যে গবেষণা শুরু হয়েছে, সেটা কি গ্রহণযোগ্য হবে ? স্বীকৃতি পাবে ??
কথাটা বললাম- কারণ আজকে হাইকোর্টে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর ৯৬টি সেম্পলের মধ্যে ৯৩টিতে ক্ষতিকারক জীবানু আছে বলে যে গবেষণা চলেছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো বিএসটিআই। কিন্তু হাইকোর্টে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে এম হাফিজুল আলম’ বিএসটিআইকে ভৎর্সনা করে।
বাংলাট্রিবিউবন খবরে,
“শুনানিকালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিএসটিআইয়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। আদালত বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরি আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠিত। এ প্রতিষ্ঠান তার পদ্ধতিতে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য ও পশুখাদ্য পরীক্ষা করেছে।’ (https://bit.ly/2HsgcH7)
এখানে আদালত বলছে ল্যাবরেটরিটি ‘আন্তর্জাতিক চূক্তির আওতায়’ প্রতিষ্ঠিত।
আমরা ধারণা- ল্যাবরেটরিটির ‘আইএসও’ সনদ আছে, এই বিষয়টা আদালতের বিচারক ‘আইএলও’ চূক্তি ভাবছে।
যাই হোক, ল্যাবরেটরিটির সনদের কথা যখন আসছে, তখন স্বীকৃতি কবে পাইছে এবং যে পরীক্ষা নিয়ে এত আলোচনা সেটা শুরু হইছে কবে সেটা নিয়ে আদালতে আলোচনা করার দরকার ছিলো।
কারণ আদালতে লোকাস স্টান্ডি (আবেদনের অধিকার) বলে একটা বাক্য আছে। যে পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা বা আবেদন, সেই পরীক্ষার শুরুর সময় পরীক্ষাগারের স্বীকৃতি বা গ্রহণযোগ্যতা যদি না থাকে, তবে গোটা পরীক্ষাই তো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেলো।
উল্লেখ্য
মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউট’র অধীনস্ত ‘ন্যাশনাল ফুড সেফটি লাবরেটরি’ নিজেদের সরকারী দাবী করলেও সেটা বানাতে টাকা দিছে নেদারল্যান্ড আর বানায় দিছে জাতিসংঘ (ফাও)। সম্প্রতি গরুর দুধের উপর পরীক্ষাটা জাতিসংঘের অর্থায়নে হচ্ছিলো বলে খবরে প্রকাশ।
আরো উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের দায়িত্ব নাকি বাংলাদেশের খাবার, পানি, সবজী, মাংশ, দুধে ভেজাল আছে নাকি পরীক্ষা করা। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেই চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউটিটের দুর্নীতির খবর-
ক) “কোটেশন বাণিজ্যের ফাঁদে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
চলছে লুটপাট” (https://bit.ly/2LY75CE)
খ) “স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট : জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে দুদকের অভিযান “
(https://bit.ly/30Abgb1)
গ) “জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট দুর্নীতির আখড়া : টেন্ডার ছাড়াই কোটি টাকার কেনাকাটা * নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সিন্ডিকেট” ( https://bit.ly/2VHh8LD)
ঘ) “জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সাগরচুরি ৩ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ২০ কোটি টাকায় ৩০ টাকার এইচভিএসএজি কিট ২৪’শ টাকা” (https://bit.ly/2Qe5TJx)
ঙ) “জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পরিচালকের নেতৃত্বে কোটি কোটি টাকা লুটপাট”
(https://bit.ly/2QcrPoC)
এখানেও একটি প্রশ্ন উদ্রেগ ঘটে,
“যে প্রতিষ্ঠানটি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, সে অপরের দুর্নীতির (ভেজাল) পরীক্ষা করার অধিকার কতটুকু রাখে?