মুসলমানদের হৃদয় জয় করলো নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে অনেক ছোট ছোট পাহাড় বা টিলা আছে, সেই পাহাড় আরোহণ করা কিন্তু কঠিন কোন বিষয় নয়। যে কেউ যে কোন উপায়ে সেই পাহাড় জয় করতে পারে। মাঝে মাঝে খবর আসে, ঐ পাহাড়গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে হিমালয় পাহাড়ের কথা ভাবুন, সারা বিশ্ব তাকে এক নামে চিনে। তার যেমন ওজন, তেমন উচ্চতা। সেই হিমালয় পাহাড় জয় করা কিন্তু সহজ নয়। পাশাপাশি ঐ হিমায়লকে কেটে নেয়ার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারে না।
তারমানে যার ওজন যত বেশি, তাকে জয় করাও তেমন কঠিন।
আবার যাকে জয় করা কঠিন তার অস্তিত্বও তেমন শক্ত।
কিন্তু যাকে জয় করা সহজ, তার অস্তিত্বও সহজ।
আবার যাকে জয় করা কঠিন তার অস্তিত্বও তেমন শক্ত।
কিন্তু যাকে জয় করা সহজ, তার অস্তিত্বও সহজ।
আমরা দেখতে পাচ্ছি,
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন মুসলমান নিহত হওয়ার পর নিউজল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সেই হতাহতের দায় নেয়া তো দূরের কথা, উল্টো মুসলমানদের হৃদয়-ই জয় করে নিয়েছে।
আহহা! কত সহজ মুসলমানদের হৃদয়,
একই সূত্রে মুসলমানদের অস্তিত্বও সহজ,
৫০-১০০ মুসলমান মরলে মুসলমানরাই এখন হিসেব করে না।
মাথায় একটা পট্টি বানলে, আর মুখে দুই-চারটা আরবী শব্দ উচ্চারণ করলেই মুসলমানরা খুশি হয়ে যায়।
মুহুর্তেই ভুলে যায় ভাই হারানোর বেদনা, স্বজন হারানোর কষ্ট।
আসলেই কি মুসলমানদের আলাদা কোন অস্তিত্ব আছে ??
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন মুসলমান নিহত হওয়ার পর নিউজল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সেই হতাহতের দায় নেয়া তো দূরের কথা, উল্টো মুসলমানদের হৃদয়-ই জয় করে নিয়েছে।
আহহা! কত সহজ মুসলমানদের হৃদয়,
একই সূত্রে মুসলমানদের অস্তিত্বও সহজ,
৫০-১০০ মুসলমান মরলে মুসলমানরাই এখন হিসেব করে না।
মাথায় একটা পট্টি বানলে, আর মুখে দুই-চারটা আরবী শব্দ উচ্চারণ করলেই মুসলমানরা খুশি হয়ে যায়।
মুহুর্তেই ভুলে যায় ভাই হারানোর বেদনা, স্বজন হারানোর কষ্ট।
আসলেই কি মুসলমানদের আলাদা কোন অস্তিত্ব আছে ??
নিউজিল্যান্ডে ৫০ জন হত্যার পর মুসলমানদের প্রধান দাবী হওয়ার দরকার ছিলো:
১) নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ড বিধান নেই। তারমানে ৫০ জনকে হত্যা করেও ট্যারেন্টের মৃত্যুদণ্ড হবে না। ট্যারন্ট মুসলমানদের হত্যা করেছে এবং মুসলিম আইনে হত্যার বদলে হত্যা। তাই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হয় তবে, আইন পরিবর্তন করে ট্যারেন্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক।
২) ট্যারেন্ট এর খুনের সাথে ‘২৫ এপ্রিল-আনজাক দিবস’ দিবসের চেতনা জড়িত। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এই দিবসকে কেন্দ্র করেই নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খ্রিষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মুসলিম বিদ্বেষী চেতনার উদ্ভব ঘটে। নিউজিল্যান্ড যদি এতই মুসলিম প্রেমী হয়, তবে সেই ‘আনজাক দিবস’ নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করুক। একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাস থেকে ‘জিহাদ’ নিয়ে আলোচনা বাদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষা সিলেবাসে এই জিহাদ নিয়ে আলোচনার কারণে কি ৫০ জন অমুসলিম নিহত হয়েছিলো ? যদি নাই হয়, তবুও তো মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয় বাদ দিতে হলো, অথচ অমুসলিমরা যে ‘২৫ এপ্রিল-আনজাক দিবস’ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে এতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটালো, সেই দিবস পালন বাদ দেয়ার কথা কেউ বললো না।
৩) শুধু এক ট্যারেন্টকে ধরলে হবে না, নিউজিল্যান্ডে যত মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন আছে সবগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। নিউজিল্যান্ডে প্রকাশ্যে সক্রিয় কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী উগ্রডানপন্থী National Front, Western Guard, Dominion movement nz এর মত সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এক ওসামা বিন লাদেনকে কেন্দ্র করে পুরো আফগানিস্তানের উপর হামলা করা হয়েছে, তখন তো ব্যক্তি বা সংগঠন হিসেব করা হয় নাই, সকল মুসলমানই জঙ্গী-সন্ত্রাসী হয়ে গিয়েছিলো। তাহলে খ্রিস্টানদের বেলায় হিসেব শুধু কেন ব্যক্তি পর্যায়ে হবে, কেন সকল খ্রিস্টান সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করা হবে না ?
১) নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ড বিধান নেই। তারমানে ৫০ জনকে হত্যা করেও ট্যারেন্টের মৃত্যুদণ্ড হবে না। ট্যারন্ট মুসলমানদের হত্যা করেছে এবং মুসলিম আইনে হত্যার বদলে হত্যা। তাই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হয় তবে, আইন পরিবর্তন করে ট্যারেন্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক।
২) ট্যারেন্ট এর খুনের সাথে ‘২৫ এপ্রিল-আনজাক দিবস’ দিবসের চেতনা জড়িত। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এই দিবসকে কেন্দ্র করেই নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খ্রিষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মুসলিম বিদ্বেষী চেতনার উদ্ভব ঘটে। নিউজিল্যান্ড যদি এতই মুসলিম প্রেমী হয়, তবে সেই ‘আনজাক দিবস’ নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করুক। একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাস থেকে ‘জিহাদ’ নিয়ে আলোচনা বাদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষা সিলেবাসে এই জিহাদ নিয়ে আলোচনার কারণে কি ৫০ জন অমুসলিম নিহত হয়েছিলো ? যদি নাই হয়, তবুও তো মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয় বাদ দিতে হলো, অথচ অমুসলিমরা যে ‘২৫ এপ্রিল-আনজাক দিবস’ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে এতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটালো, সেই দিবস পালন বাদ দেয়ার কথা কেউ বললো না।
৩) শুধু এক ট্যারেন্টকে ধরলে হবে না, নিউজিল্যান্ডে যত মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন আছে সবগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। নিউজিল্যান্ডে প্রকাশ্যে সক্রিয় কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী উগ্রডানপন্থী National Front, Western Guard, Dominion movement nz এর মত সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এক ওসামা বিন লাদেনকে কেন্দ্র করে পুরো আফগানিস্তানের উপর হামলা করা হয়েছে, তখন তো ব্যক্তি বা সংগঠন হিসেব করা হয় নাই, সকল মুসলমানই জঙ্গী-সন্ত্রাসী হয়ে গিয়েছিলো। তাহলে খ্রিস্টানদের বেলায় হিসেব শুধু কেন ব্যক্তি পর্যায়ে হবে, কেন সকল খ্রিস্টান সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করা হবে না ?
আমার কথা হলো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যদি এত ইসলাম ও মুসলিম প্রিয় হয়, তবে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী যে বিষয় আছে সেগুলো আগে বন্ধ করুক, সেটা না করে সে মুসলমানদের শান্ত করতে চাইছে কেন ?
বিষয়টা হলো, অপরাধ বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভূক্তভোগীকে ব্যাথ্যা ভুলোনোর চেষ্টা,
যেন তাকে যতই মারা হোক, সে যেন প্রতিবাদ না করে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের আচরণ তো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাছাড়া, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো সন্দেহ থেকে দূরে নয়। ব্রেন্টন ট্যারেন্ট বহুদিন আগে থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার ছক কষেছিলো ও ঘোষণা দিচ্ছিলো। কিন্তু কেন নিউজিল্যান্ড সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো না? বাংলাদেশের মত দেশেও কোন লোক এ ধরনের ঘোষণা প্রকাশ্যে দিলে তাকে কয়েকঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তারা চুপ ছিলো কেন ? নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগীতা পেয়েই যে ব্রেন্টন বড় ঘটনা ঘটালো না, সেটা কি করে বিশ্বাস করা যায় ? বিশেষ করে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে বাসে চড়ে ছিলো, সেই বাস চালকের আচরণও সন্দেহজনক ছিলো। মসজিদের ভেতর গুলি হচ্ছে জেনেও সে বাংলাদেশ ক্রিকেটবাহী বাসকে টেনে দূরে না নিয়ে মসজিদের সামনেই দাড়িয়ে ছিলো। এখানে পুরো প্ল্যানটাই সাজানো মনে হয়, তাই নিউজিল্যান্ড সরকারের বর্তমান অতিভক্তি প্রদর্শন তাদের বিশ্বাসঘাতক বহুরূপী চরিত্রকেই প্রকাশ করে।
বিষয়টা হলো, অপরাধ বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভূক্তভোগীকে ব্যাথ্যা ভুলোনোর চেষ্টা,
যেন তাকে যতই মারা হোক, সে যেন প্রতিবাদ না করে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের আচরণ তো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাছাড়া, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো সন্দেহ থেকে দূরে নয়। ব্রেন্টন ট্যারেন্ট বহুদিন আগে থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার ছক কষেছিলো ও ঘোষণা দিচ্ছিলো। কিন্তু কেন নিউজিল্যান্ড সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো না? বাংলাদেশের মত দেশেও কোন লোক এ ধরনের ঘোষণা প্রকাশ্যে দিলে তাকে কয়েকঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তারা চুপ ছিলো কেন ? নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগীতা পেয়েই যে ব্রেন্টন বড় ঘটনা ঘটালো না, সেটা কি করে বিশ্বাস করা যায় ? বিশেষ করে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে বাসে চড়ে ছিলো, সেই বাস চালকের আচরণও সন্দেহজনক ছিলো। মসজিদের ভেতর গুলি হচ্ছে জেনেও সে বাংলাদেশ ক্রিকেটবাহী বাসকে টেনে দূরে না নিয়ে মসজিদের সামনেই দাড়িয়ে ছিলো। এখানে পুরো প্ল্যানটাই সাজানো মনে হয়, তাই নিউজিল্যান্ড সরকারের বর্তমান অতিভক্তি প্রদর্শন তাদের বিশ্বাসঘাতক বহুরূপী চরিত্রকেই প্রকাশ করে।