হঠাৎ আগুন বৃদ্ধির পেছনে দুটি বিদেশী প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ। এন.সি- ৩৯৩

হঠাৎ আগুন বৃদ্ধির পেছনে দুটি বিদেশী 
প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ

Image result for গাছ
হঠাৎ আগুন বৃদ্ধির পেছনে দুটি বিদেশী প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ
১) বিশ্বব্যাংকের ‘আরবান রিজিলিয়ান্স প্রজেক্ট’ (ইউআরপি)
প্রকল্পস্থান : ঢাকা ও সিলেট শহর
প্রকল্পের সময়কাল: ২০১৫-২০২০
টাকার পরিমাণ :১৪০০ কোটি টাকা
প্রকল্পের বাহ্যিক উদ্দেশ্য : এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ও সিলেট শহরের অবকাঠামো শক্তিশালী করন যেকোন নির্মাণ যেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করা এবং শহরের দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগনের সক্ষমতাবৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, জরুরী দুর্যোগ মোকাবেলায় ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে। শহরের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজে সচেতনতা বাড়বে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
(https://bit.ly/2CUCqPChttps://bit.ly/2WLwoYOhttps://bit.ly/2TUD5G8)
২) জাপানের জাইকার বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট (ইউবিএসপি)
প্রকল্পের স্থান : ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর
সময়: ২০১৭ থেকে শুরু
উদ্দেশ্য: শিল্প-বাণিজ্য ও বাসবাড়ির অগ্নিনির্বাপন সিস্টেম তৈরী ও কেনার জন্য সুদে ঋণ প্রদান ও আমাদের জনগণকে ঋণের জালে আবদ্ধকরণ। (https://bit.ly/2CQXVRl)
এ প্রকল্পগুলোর কারণে বিদেশীদের থেকে চাপ থাকবে ‘আগুন সেফটি’ নেয়ার জন্য আর যেসব ভবনে নেয়া সম্ভব না সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার জন্য। এ কারণে এখানে-সেখানে দ্রুত আগুন ধরবে এবং অজুহাত তৈরী হবে যেন পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং নতুন ভবনগুলো অগ্নি নির্বাপন নিতে বাধ্য হয়।
এক্ষেত্রে সরকারই ‘মার্কেট সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ মেগা প্রকল্প’ নামক একটি প্রকল্প নেয়, সরকারী মার্কেটগুলো ভেঙ্গে ফেলে পূন:নির্মাণ বা সংস্কার করে নতুন করে বহুতল কমপ্লেক্স করার জন্য, যেখানে জিমনেশিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, ফুড কোর্ট, হলরুম, সিনেমা হল, উন্মুক্তস্থানসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
২০১৮ সালেই মিডিয়াতে দক্ষিণ সিটির ৩৭টি মার্কেট বা বাজারের নাম আসে, যেগুলো সরকার ভেঙ্গে নতুন বা পুনঃসংস্কার করতে চাইছে, কিন্তু ঐ এলাকার ব্যবসায়ীদের কারণে পারছে না। এর মধ্যে আছে:
১) খিলগাঁও কাঁচাবাজার
২) নিউ মার্কেট
৩) চন্দ্রিমা সুপারমার্কেট
৪) সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার,
৫) পলাশী মার্কেট
৬) বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেট
৭) হাতিরপুল কাঁচাবাজার
৮) চানখাঁরপুল অস্থায়ী মার্কেট
৯) সদরঘাট হকার্স মার্কেট
১০) লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেট
১১) কাপ্তানবাজার রোড সাইড মার্কেট
১২) নওয়াব ইউসুফ মার্কেট, বংশাল
১৩) লক্ষ্মীবাজার মার্কেট
১৪) বাদামতলী মার্কেট
১৫) শ্যামবাজার
১৬) ঠাটারীবাজার
১৭) দয়াগঞ্জ রোড সাইড মার্কেট
১৮) নবাব ইউসুফ মার্কেট
১৯) আজিমপুর রোড সাইড মার্কেট
২০) মানিকনগর আধুনিক কাঁচাবাজার
২১) ইসলামবাগ কাঁচাবাজার
২২) ঋষিকেশ দাস রোড মার্কেট
২৩) ঢাকা ট্রেড সেন্টার
২৪) ছিদ্দিকবাজার মার্কেট
২৫) ৩৮/৬ নর্থব্রুক হল রোড সাইড মার্কেট
২৬) ভিক্টোরিয়া পার্ক মার্কেট
২৭) সিমসন রোড সাইড মার্কেট
২৮) নবাবগঞ্জ কাঁচাবাজার
(https://bit.ly/2Kj2Pgf)
শুধু বিদেশীদের টাকার জন্য নয়, পুরাতন বাজার/মার্কেট/শপিং সেন্টার ভেঙ্গে নতুন করলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেক লাভ আছে। যেমন কিছুদিন আগে গুলশান ডিসিসি মার্কেটে আগুন ধরলো। ঐখানে প্রায় ৭ বিঘা যায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য চূক্তি হয়েছে মেট্রোগ্রুপের সাথে। উপর দিয়ে প্রকাশ করা হয়, ঐ বহুতল ভবনের ৩৭% পাবে সরকার, আর ৬৩% পাবে নির্মানাধীন মেট্রোগ্রুপ (https://bit.ly/2OK69iI)। আপনারা যারা রিয়েলস্টেট বিজনেস বুঝেন, তারা বুঝতে পারবেন, গুলশান ১ এর মত যায়গায় কর্মাশিয়াল স্পেস নির্মাণে ৩৭-৬৭ পার্সেন্টিস কতবড় অসম্ভব একটা চূক্তি। এটা যদি ৭৫-২৫ (ডিসিসি-মেট্রোগ্রুপ) হয় তবুও শত শত কোম্পানি খাড়া হয়ে যাবে সেখানে মার্কেট বানাতে। দেখা যাবে, সরকারী রাঘব বোয়ালদেরকেই পর্দার আড়ালে ৪০% দোকান বুঝিয়ে দেয়া হবে, যা চালিয়ে দেয়া হচ্ছে মেট্রোগুপের নামে।
এছাড়া মার্কেটগুলোর দোকান বরাদ্দ নিয়েও থাকে অসম্ভব রকম দুর্নীতি করার সুযোগ। এ সম্পর্কে একটি খবর পড়তে পারেন: https://bit.ly/2OPkdb0
তাই শুধু শুধু যায়গায় যায়গায় ব্যবসা-বানিজ্য করে কি লাভ ?
যদি সরকারেরই লাভ না হয় ?
জনগণের লাভ দিয়ে তো আর সরকার চলবে না।
সরকার ও তার কর্মকর্তা কর্মচারিদের লাভ হওয়ার জন্য যা করা দরকার,
তাই করতে হবে।
যদি প্রয়োজনে মানুষকে আগুন দিয়েও তাড়াতে হয়, পরিষ্কার করতে হয়
তবুও সেটাই করতে হবে, এটাই নিয়ম।
হঠাৎ করে আগুন বৃদ্ধির পেছনে তাই
-বু্দ্ধিদাতা : বিদেশীরা
-ব্যবসা করার সুযোগ : বিদেশীদের (সাথে সরকারের দলীয় টপ লিস্টেড ব্যবসায়ীরা)
- দুর্নীতি করার সুযোগ : সরকারের
মাঝখান দিয়ে পিষ্ট হবে জনগণ,
জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জানমাল নষ্ট্ হবে
কাচা বাজারের স্থলে বহুতল অত্যাধুনিক মার্কেট হবে
কিন্তু জনগণের খরচ বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।
আর একটাকেই বলে কর্পোরেটোক্রেসি।