গতকাল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান ব্লক নিয়ে আলোচনার সময় আমি বলেছিলাম,। এন.সি- ৩৮২

গতকাল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান ব্লক নিয়ে আলোচনার সময় আমি বলেছিলাম,
Image result for কলম
গতকাল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান ব্লক নিয়ে আলোচনার সময় আমি বলেছিলাম,
তাদের ব্লক-গুলো যখন চিনতে পারবো, তখন তাদের একটিকে অপরটির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে, এবং তখন-ই তৈরী হবে ‘জনগণের ব্লক’।
এই অ্যানলাইসিস করার জন্য সর্বপ্রথম কোন একটি ঘটনা দেখলে আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে, ঐ কাজটি ‘কোন ব্লক’ করছে ?
মনে রাখবেন, দুনিয়াতে সাধারণ মানুষের কোন দাম নেই। কোটি কোটি টাকা দিয়ে যারা মিডিয়া চালায়, তারা নাম- ‘গণমাধ্যম’ ব্যবহার করলেও , তারা গণমানুষের জন্য কিছু করে না। কোন না কোন ব্লকের হয়ে কাজ করে। (ঠিক যেমন গণতন্ত্র ব্যবহার করলেও জনগণের জন্য কিছু করে না, নিজ দল বা নেতার জন্য করে)। এইজন্য মিডিয়া যে বিষয়গুলো হাইলাইট হয়, বুঝতে হবে এগুলোর পেছনে কোন ব্লক বা শক্তি জড়িত।
এরপর আপনি লক্ষ্য করবেন-
১) ঘটনা ঘটার পর কারা বেশি চিৎকার করতেছে (ফেসবুকে কোন ব্লকের সদস্যরা)
২) ঘটনার সাথে কার স্ট্র্যটিকাল পলিসিগুলো মিলে যায় ?
এগুলোর জন্য অবশ্য আপনাকে প্রতিটি ব্লকের স্ট্র্যাটিজি নিয়ে আলাদা আলাদা স্ট্যাডি করতে হবে।
যাই হোক, আমার মনে হয়, কেস স্ট্যাডি নিয়ে আলোচনা করলে আলোচনা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
যেমন- ধরুন : নুসরাত নিপীড়ন ও হত্যা
এটা মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের প্রজেক্ট।
ডেমোক্র্যাট ব্লকের বিপরীতে আছে আওয়ামী সরকার।
বর্তমানে নুসরাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে খেলা চলছে- তাতে এই দুইটি শক্তি কামড়াকামড়ি করতেছে।
এর মধ্যে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লক’র এর উদ্দেশ্য- নুসরাতের চেতনাকে টেনে নিয়ে যাওয়া, এটা প্রচার করা “শেষ পর্যন্ত লড়াই করবো”। এরপর এই চেতনাকে টেনে সামনে তাদের কোন গেম-এ ব্যবহার করা।
আর আওয়ামী সরকারের উদ্দেশ্য- নুসরাত প্রজেক্টের ইতি টানা। এজন্য ল্যাপস্যাপ দিয়ে ঘটনা সাজায়, ‘অপরাধী ধরা পড়তেছে’ বলে সবাইকে শান্ত করা। মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লক যেন ঘটনাকে টেনে নিয়ে না যেতে পারে, সে জন্য কোনভাবে ঘটনার লাগাম ধরা।
জনগণের ভুল কোথায় ?
জনগণের ভুল হইলো, সে যে কোন শক্তির দ্বারা ব্যবহৃত হয়। তাকে যে বেশি প্ররোচিত করে, সে তার দিকেই ধাবিত হয়। অর্থাৎ ঘটনা ঘটলে মিডিয়া আপনাকে যে ট্র্যাকে হাটতে বলবে, সেই ট্রাকে যদি আপনি একটা স্ট্যাটাস বা কমেন্টও তবে আপনি ওদের দ্বারা ব্যবহৃত হইলেন।
একটা উদহারণ দেই- নুসরাত হত্যার পর সবাইকে মিডিয়া শিখিয়ে দিলো- সবাই বলেন, “নুসরাত হত্যার বিচার চাই”।
এই ‘বিচার চাই’ কথাটা ১০০% সত্য হলেও আসলেও ভুল। কারণ জনগণ তখন মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের হয়ে ব্যবহার হচ্ছে।
কিন্তু কথাটা যদি একটু ঘুড়িয়ে বলি- বাংলাদেশে নারী শিক্ষক অনেক বাড়তেছে, এখন থেকে মহিলা শিক্ষক দিয়ে ছাত্রীদের পড়ানোর ব্যবস্থা করা হোক। এটা নিয়ম করতে আসুন সবাই মাঠে নামি।
অথবা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে আইন পাশ করতে হবে।
দেখবেন এই দাবী তুললে ডেমোক্র্যাট ব্লকের লোকরা আপনাকে আস্তে করে এড়িয়ে যাবে।
মূল কথা হইলো ওদের ট্র্যাকে আপনি হাটবেন না, ওরা যত ভালো কথাই বলুক, হাটলেই ধরা।
কারণ আপনার থেকে নূন্যতম সমর্থন পাইলে সেটাই পরে আপনার উপর ব্যবহার করবে।
যেমন ধরেন-
১) এক সময় বনায়নের নামে ইউক্যালিপটাস গাছ দিয়ে উত্তরবঙ্গ ভরায় দিছে। ‘গাছ মানেই উপকারী’ এই তত্ত্ব দিয়ে জনগণের সমর্থন নিয়েই তো দিছে। এখন সেই গাছ উত্তরবঙ্গের পানি চুষে নিয়ে খরা বানায় দিছে।
২) কেমিক্যাল মানেই খারাপ, তাই পুরান ঢাকার ব্যবসা ধ্বংস করতে হবে। পুরান ঢাকার রাস্তা চিকন, তাই রাস্তা বড় করতে বাড়িঘর ভাঙ্গতে হবে। এগুলো তো পাবলিকের থেকে সাপোর্ট নিছে। এখন সারা বাংলাদেশে যে আগুন ধরতেছে সেটা কি রাস্তা চিকনের কারণে ধরতেছে নাকি কেমিকেলের কারণে ধরতেছে ?
৩) মাদ্রাসায় ৩০% নারী শিক্ষক ঢুকাইতে হবে, ওরা ঢুকাইছে ওরা, কিন্তু ঝামেলা হইলে কিন্তু হুজুরের দোষ।
৪) একইভাবে স্কুলে যৌন শিক্ষা চালু করে দিবে ওরা, কিন্তু কোন অঘটনা ঘটলে ওরাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বলবে।
৫) ওরাই বলবে, সংক্ষিপ্ত পোষাক পরো, ধর্ষণের জন্য পোষাক দায়ি না, বোরকা-নেকাব বাদ দাও,কিন্তু ঘটনা ঘটলে হাউকাউ শুরু করবে। যদি বলেন- লুইচ্চা পুরুষের দোষ, ওরা বলবে- না, সব পুরুষের দোষ।
৬) ওরাই এক শ্রেণীকে উস্কাবে- ‘গা ঘেষে দাড়াবেন না’- কোন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে ওরাই চিল্লাচিল্লি শুরু করবে।
৭) নারীদের কুংফু কারাতে ট্রেনিং দিতেছে, উদ্দেশ্য নারী-পুরুষ লাগায় নারী নির্যাতন আরো বৃদ্ধি করা। ওরাই এমন সিস্টেম করতেছে যেন নারী নির্যাতন বেড়ে যায়, কিন্তু নারী নির্যাতন হ্রাসের আলটিমেট সমাধান কিন্তু তারা চায় না্। কিন্তু নারী নির্যাতিত হইলে সেই দায়ভার তারা নিবে না। সব পুরুষের দোষ, রাষ্ট্রের দোষ, ধর্মের দোষ দিয়ে রাস্তায় নামবে। এটাই তাদের পলিসি।
মূল কথা হলো, কোন ন্যায় সঙ্গত বিষয় হলে অবশ্যই বিচার চাইবো।
কিন্তু ওরা যেভাবে বলবে সেভাবে না, ওদের শিখিয়ে দেয়া বুলি দিয়ে না।
জনগণের নিজস্ব সিস্টেমে বা বুদ্ধিতে সমাধান চাইতে হবে।
তখন-ই জনগণের দল বলে একটা নতুন দলের আবির্ভাব ঘটানো সম্ভব, এছাড়া না।