সিরাজউদ্দৌলা থেকে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ, আমারা যেন পক্ষপাতিত্ব না করি
নুসরাতের ঘটনার পর ফেনীতে একদল ছাত্র-ছাত্রী আন্দোলনে নামে সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে। তাদের দাবী তাদের শিক্ষক তাদের নিকট শ্রদ্ধেয় এবং সে কখন এমন কাজ করতে পারে না ।
আবার সম্প্রতি যৌননিপীড়নের অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) একজন শিক্ষকের পক্ষেও একদল শিক্ষার্থী মাঠে নেমেছে। তারা বলছে, তাদের শিক্ষক (অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ) তাদের কাছে শ্রদ্ধেয় এবং তিনি কখন এ ধরনের খারাপ কাজ করতে পারেন না। (https://bit.ly/2DRhv0i)
আবার সম্প্রতি যৌননিপীড়নের অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) একজন শিক্ষকের পক্ষেও একদল শিক্ষার্থী মাঠে নেমেছে। তারা বলছে, তাদের শিক্ষক (অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ) তাদের কাছে শ্রদ্ধেয় এবং তিনি কখন এ ধরনের খারাপ কাজ করতে পারেন না। (https://bit.ly/2DRhv0i)
সমস্যা হলো- নুসরাতের ঘটনায় মিডিয়া নুসরাতের মুখের কথা বিশ্বাস করেছে
কিন্তু মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে, তাদের কথা মিডিয়া অজ্ঞাত কারণে বিশ্বাস করছে না।
বরং বাংলা ট্রি্বিউন, চ্যানেল আই, বাংলাদেশ প্রতিদিন অভিযুক্ত নিপীড়ক মাসুদ মাহমুদের পক্ষে নিউজ করে যাচ্ছে। ভূক্তভোগী ছাত্রীদের কথা বাদ দিয়ে, মাসুদ মাহমুদের নিজেকে ইনোসেন্ট দাবী করা ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রকাশ করছে। (https://tinyurl.com/y3ayxxnc, https://bit.ly/2WoL8wZ, https://bit.ly/2DRhv0i)
কিন্তু মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে, তাদের কথা মিডিয়া অজ্ঞাত কারণে বিশ্বাস করছে না।
বরং বাংলা ট্রি্বিউন, চ্যানেল আই, বাংলাদেশ প্রতিদিন অভিযুক্ত নিপীড়ক মাসুদ মাহমুদের পক্ষে নিউজ করে যাচ্ছে। ভূক্তভোগী ছাত্রীদের কথা বাদ দিয়ে, মাসুদ মাহমুদের নিজেকে ইনোসেন্ট দাবী করা ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রকাশ করছে। (https://tinyurl.com/y3ayxxnc, https://bit.ly/2WoL8wZ, https://bit.ly/2DRhv0i)
তবে আমি পুরো ঘটনা নিয়ে স্ট্যাডি করেছি-
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের কথাও পড়লাম,
তার বিপক্ষে যে সব ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ তুলেছে তাদের কথাও পড়লাম,
আবার যে সব ছাত্র-ছাত্রী তার পক্ষ নিয়েছে তাদের কথাও পড়লাম।
মূল কথা আমার কাছে খুব ব্যতিক্রম মনে হয়নি, প্রায় কাছাকাছি মনে হয়েছে। আসুন আগে তাদের স্বীকারক্তিগুলো পড়ি-
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের কথাও পড়লাম,
তার বিপক্ষে যে সব ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ তুলেছে তাদের কথাও পড়লাম,
আবার যে সব ছাত্র-ছাত্রী তার পক্ষ নিয়েছে তাদের কথাও পড়লাম।
মূল কথা আমার কাছে খুব ব্যতিক্রম মনে হয়নি, প্রায় কাছাকাছি মনে হয়েছে। আসুন আগে তাদের স্বীকারক্তিগুলো পড়ি-
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বক্তব্য-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মাসুদ মাহমুদ ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ক্লাসে কোর্স কারিকুলাম হিসেবে ‘টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি লিটারেচার’, ‘শেক্সপিয়ার’স ট্র্যাজেডিস’, ‘আমেরিকান লিটারেচার’ পড়ান।
মাসুদ মাহমুদ জানান, টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি লিটারেচার কোর্সে ‘দ্য লাভ সং অব জে. আলবার্ড প্রুফ্রক’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতা পড়াতে গিয়ে তাকে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়গুলোর খোলাখুলি বর্ণনা করতে হয়। ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডে’র মূল বিষয়ই হচ্ছে ফার্টিলিটি ও সেক্সুয়ালিটি। ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়াতে গেলেই নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, মায়ের সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক (ইনসেস্ট), বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক (ইনসেস্ট), আবার সব সামাজিক সম্পর্ক যে একসময় শুধু নারী-পুরুষের সম্পর্কে গিয়ে শেষ হয়, পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ, নারী-পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা— এসব বিষয় স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে। সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সের বিষয়গুলো উঠে আসে। এগুলো একেবারেই বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা। এসব আলোচনাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে নেন, তাদের তো সাহিত্য পড়তে আসাই উচিত না। আমি মনে করি, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারও যোগ্যতা নেই।” (https://bit.ly/2JjlK8n)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মাসুদ মাহমুদ ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ক্লাসে কোর্স কারিকুলাম হিসেবে ‘টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি লিটারেচার’, ‘শেক্সপিয়ার’স ট্র্যাজেডিস’, ‘আমেরিকান লিটারেচার’ পড়ান।
মাসুদ মাহমুদ জানান, টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি লিটারেচার কোর্সে ‘দ্য লাভ সং অব জে. আলবার্ড প্রুফ্রক’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতা পড়াতে গিয়ে তাকে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়গুলোর খোলাখুলি বর্ণনা করতে হয়। ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডে’র মূল বিষয়ই হচ্ছে ফার্টিলিটি ও সেক্সুয়ালিটি। ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়াতে গেলেই নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, মায়ের সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক (ইনসেস্ট), বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক (ইনসেস্ট), আবার সব সামাজিক সম্পর্ক যে একসময় শুধু নারী-পুরুষের সম্পর্কে গিয়ে শেষ হয়, পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ, নারী-পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা— এসব বিষয় স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে। সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সের বিষয়গুলো উঠে আসে। এগুলো একেবারেই বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা। এসব আলোচনাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে নেন, তাদের তো সাহিত্য পড়তে আসাই উচিত না। আমি মনে করি, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারও যোগ্যতা নেই।” (https://bit.ly/2JjlK8n)
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ছাত্রীদের বক্তব্য-
ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির জান্নাত নামের একজন শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়াতে গিয়ে স্যার সবসময় মেয়েদের পিরিয়ড, ছেলেদের মাস্টারবেশন— এসব প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন। দুই মাসে এই কবিতার মাত্র ১০ লাইন পড়িয়েছেন। আর সবসময় শুধু শরীরের কথা বলেন, যৌনতার কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা মাস্টার্সের ছাত্রী। যথেষ্ঠ ম্যাচিউরড। আমরা বুঝি সাহিত্য পড়াতে গেলে শরীরের বিষয়, নারী-পুরুষের সম্পর্কের বিষয় আসবে। কিন্তু উনার এক্সপ্রেশন খারাপ। না হলে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা কখনো রাস্তায় নামতাম না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ছাত্রী বলেন, ‘উনি বোরকা-হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলেন ক্লাসে। ধর্ম নিয়েও কথা বলেন। আর যৌনতার বর্ণনা এমন অবলীলায় ক্লাসে দেন, যাতে আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়।’
(https://bit.ly/2JjlK8n)
ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির জান্নাত নামের একজন শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়াতে গিয়ে স্যার সবসময় মেয়েদের পিরিয়ড, ছেলেদের মাস্টারবেশন— এসব প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন। দুই মাসে এই কবিতার মাত্র ১০ লাইন পড়িয়েছেন। আর সবসময় শুধু শরীরের কথা বলেন, যৌনতার কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা মাস্টার্সের ছাত্রী। যথেষ্ঠ ম্যাচিউরড। আমরা বুঝি সাহিত্য পড়াতে গেলে শরীরের বিষয়, নারী-পুরুষের সম্পর্কের বিষয় আসবে। কিন্তু উনার এক্সপ্রেশন খারাপ। না হলে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা কখনো রাস্তায় নামতাম না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ছাত্রী বলেন, ‘উনি বোরকা-হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলেন ক্লাসে। ধর্ম নিয়েও কথা বলেন। আর যৌনতার বর্ণনা এমন অবলীলায় ক্লাসে দেন, যাতে আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়।’
(https://bit.ly/2JjlK8n)
যে সব ছাত্র-ছাত্রী মাসুদ মাহমুদের পক্ষ নিয়েছেন, তাদের বক্তব্য-
১) "যৌনতা যে অশ্লীলতা নয় এটা যদি ইংলিশ লিটারেচারে পড়া একটা মাস্টার্সের স্টুডেন্ট না বোঝে তাহলে তারে চিড়িয়াখানাতেই পাঠানো মঙ্গল" (https://bit.ly/2DPQg64)
২) “শিক্ষার্থীদের অপরিপক্বতা, অতিরক্ষণশীলতা ও ইংরেজিতে অদক্ষতার কারণেও কখনো কখনো শ্রেণীকক্ষের কিছু আলোচনা আপত্তিকর মনে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অভিযোগ করা হয়েছে যে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ মা ও সন্তানের মধ্যে যৌনতা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু, সফোক্লিসের Oedipus Rex, শেইক্সপিয়ারের Hamlet এবং ডি এইচ লরেন্সের Sons and Lovers-এর মতো বিখ্যাত বই, যেগুলো পৃথিবীর প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগেই পড়ানো হয়, তার প্রতিটিতেই মা ও সন্তানের মধ্যে যৌন আকর্ষণের সরাসরি বর্ণনা বা ইঙ্গিত রয়েছে। এমনকি লিট্রেরি থিওরি কোর্সেও ফেমিনিযম বা কুইয়ার থিওরিতে যৌনতা, সমকাম, ইত্যাদি নিয়ে শিক্ষককে কথা বলতে হয়। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কখনো কখনো ভুল বুঝে বা আহত হয়ে থাকে। (https://bit.ly/2JgpN5i)
২) “শিক্ষার্থীদের অপরিপক্বতা, অতিরক্ষণশীলতা ও ইংরেজিতে অদক্ষতার কারণেও কখনো কখনো শ্রেণীকক্ষের কিছু আলোচনা আপত্তিকর মনে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অভিযোগ করা হয়েছে যে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ মা ও সন্তানের মধ্যে যৌনতা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু, সফোক্লিসের Oedipus Rex, শেইক্সপিয়ারের Hamlet এবং ডি এইচ লরেন্সের Sons and Lovers-এর মতো বিখ্যাত বই, যেগুলো পৃথিবীর প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগেই পড়ানো হয়, তার প্রতিটিতেই মা ও সন্তানের মধ্যে যৌন আকর্ষণের সরাসরি বর্ণনা বা ইঙ্গিত রয়েছে। এমনকি লিট্রেরি থিওরি কোর্সেও ফেমিনিযম বা কুইয়ার থিওরিতে যৌনতা, সমকাম, ইত্যাদি নিয়ে শিক্ষককে কথা বলতে হয়। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কখনো কখনো ভুল বুঝে বা আহত হয়ে থাকে। (https://bit.ly/2JgpN5i)
মাসুদ মাহমুদ ভুল করেছে না ঠিক করেছে, সেই ব্যাপারে আমি কিছু বলবো না, এ ব্যাপারে আমি পাঠকদের মতামত আশা করছি। তবে এ প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে যে ৩টি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে-
ক) সাহিত্য মানে কি শুধু শারীরিক সম্পর্ক ? শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া কি সাহিত্য হতে পারে না ? আর যে সাহিত্য বাবা-কন্যার মধ্যে শরীরিক সম্পর্ক শিক্ষা দেয়, মা-ছেলের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক শিক্ষা দেয়, সেই সাহিত্য পাঠ্যভুক্ত করা হয় কেন ?
খ) আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি, বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের মধ্যে যৌনশিক্ষা চালু করতে চাইছে একটি মহল। কথা হলো, মাস্টার্সের ছাত্রীরা ধারণা করছে শিক্ষক এসব পাঠ্যের মাধ্যমে সুযোগ নিতে চাইছে, তাহলে স্কুলগুলোতে যৌন শিক্ষা চালু হলে শিক্ষকরা ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর সুযোগ নেয়ার সম্ভবনা আছে কি না ?
গ) গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মনে হয়েছে, অভিযোগকারী ছাত্রীর বক্তব্যে একটি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, “এক্সপ্রেশন খারাপ”। অর্থাৎ শিক্ষক যেভাবে প্রকাশ করেছে, সেটা তাদের কাছে ‘অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ’ মনে হয়েছে।
এখানে একটি বিষয় জানতে হবে, মানুষ পরষ্পর ভাব-আবেগ বিনিময় করার জন্য মুখ নিঃসৃত শব্দের পাশাপাশি ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ বা ‘শরীরি ভাষা’ ব্যবহার করে। হাত,পা, মাথা, মুখের মাসল, ছোখের চাহুনি সবকিছুর মধ্যে থাকে আলাদা ভাষা। মনোবিজ্ঞানীদের মতে এই ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’র মাধ্যমে শতকরা ৮০ ভাগ মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। যে দিন
মাসুদ মাহমুদের ক্লাসে ছাত্রীদের (ইউএসটিসি) মনে হয়েছে তার এক্সপ্রেশন’ খারাপ, সেই দিন আসলেই তার আবেগ প্রকাশ কেমন ছিলো সেটা নিয়ে যাচাই করার দরকার।
অপরদিকে যে সব শিক্ষার্থীরা তার পক্ষ নিচ্ছেন, তারা বেশিরভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। তাদের ‘বিশ্বাস’ তাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বহুদিন তাদের ক্লাস নিয়েছে, তিনি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিতে গিয়ে এমন করতে পারেন না। সত্যিই বলতে, এখানে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই, তিনি আগে ভালো ছিলেন বলে, এখনও ভালো থাকবেন, এমন কোন সংবিধানে লিখিত চূক্তি নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে ইউএসটিসিতে গিয়ে সে নারীদের নিপীড়ন করতে পারবে না আর কেউ সেই দাবী তুললে তার ইংরেজী সাহিত্যে পড়ার যোগ্যতা নেই, এই ধরনের চিন্তা আমার কাছে অমূলক মনে হয়। বরং ঐ দিন আসলেই ক্লাসে কি হয়েছিলো, সেটা জানা বেশি জরুরী।
এখানে একটি বিষয় জানতে হবে, মানুষ পরষ্পর ভাব-আবেগ বিনিময় করার জন্য মুখ নিঃসৃত শব্দের পাশাপাশি ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ বা ‘শরীরি ভাষা’ ব্যবহার করে। হাত,পা, মাথা, মুখের মাসল, ছোখের চাহুনি সবকিছুর মধ্যে থাকে আলাদা ভাষা। মনোবিজ্ঞানীদের মতে এই ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’র মাধ্যমে শতকরা ৮০ ভাগ মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। যে দিন
মাসুদ মাহমুদের ক্লাসে ছাত্রীদের (ইউএসটিসি) মনে হয়েছে তার এক্সপ্রেশন’ খারাপ, সেই দিন আসলেই তার আবেগ প্রকাশ কেমন ছিলো সেটা নিয়ে যাচাই করার দরকার।
অপরদিকে যে সব শিক্ষার্থীরা তার পক্ষ নিচ্ছেন, তারা বেশিরভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। তাদের ‘বিশ্বাস’ তাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বহুদিন তাদের ক্লাস নিয়েছে, তিনি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিতে গিয়ে এমন করতে পারেন না। সত্যিই বলতে, এখানে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই, তিনি আগে ভালো ছিলেন বলে, এখনও ভালো থাকবেন, এমন কোন সংবিধানে লিখিত চূক্তি নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে ইউএসটিসিতে গিয়ে সে নারীদের নিপীড়ন করতে পারবে না আর কেউ সেই দাবী তুললে তার ইংরেজী সাহিত্যে পড়ার যোগ্যতা নেই, এই ধরনের চিন্তা আমার কাছে অমূলক মনে হয়। বরং ঐ দিন আসলেই ক্লাসে কি হয়েছিলো, সেটা জানা বেশি জরুরী।
যাই হোক, শেষে বলবো-
নারী নিপীড়ক যেই হোক, সিরাজউদ্দৌলাহ হোক আর অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ হোক,
যদি সে অপরাধী হয়, তবে অবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে কোন ভাবেই আমরা যেন আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে ধর্ষক বা নিপীড়কের পক্ষ অবলম্বন না করি।
কারণ সমাজের সর্বত্রই নারী নিপীড়ক আছে, এবং সেই নিপীড়ক কোন না কোনভাবে আমাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকতে পারে। এভাবে যদি সম্পর্কের ভিত্তিকে আমরা নিপীড়কের পক্ষ অপবলম্বন করতে থাকি, তবে সেটা সমাজে নারী নির্যাতন আরো বাড়িয়ে তুলবে নিশ্চিত। বিশেষ করে বাংলাট্রিবিউন, চ্যানেল আই বা বাংলাদেশ প্রতিদিন যেভাবে ভূক্তভোগী নারীদের কথা বাদ দিয়ে অভিযুক্ত নিপীড়কের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে, তা সত্যিই লজ্জাজনক।
নারী নিপীড়ক যেই হোক, সিরাজউদ্দৌলাহ হোক আর অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ হোক,
যদি সে অপরাধী হয়, তবে অবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে কোন ভাবেই আমরা যেন আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে ধর্ষক বা নিপীড়কের পক্ষ অবলম্বন না করি।
কারণ সমাজের সর্বত্রই নারী নিপীড়ক আছে, এবং সেই নিপীড়ক কোন না কোনভাবে আমাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকতে পারে। এভাবে যদি সম্পর্কের ভিত্তিকে আমরা নিপীড়কের পক্ষ অপবলম্বন করতে থাকি, তবে সেটা সমাজে নারী নির্যাতন আরো বাড়িয়ে তুলবে নিশ্চিত। বিশেষ করে বাংলাট্রিবিউন, চ্যানেল আই বা বাংলাদেশ প্রতিদিন যেভাবে ভূক্তভোগী নারীদের কথা বাদ দিয়ে অভিযুক্ত নিপীড়কের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে, তা সত্যিই লজ্জাজনক।