“সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এন.সি-৩৯৭

সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়
Related image
গত ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ খবর আসে,
“সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়”(https://bit.ly/2CIqEaP)
এ ধরনের পরিবেশবাদী খবর দেখলে, আমি সব সময় নড়েচড়ে বসি।
কারণ এ ধরনের বেশিরভাগ খবরের পেছনে অন্য ধান্দা থাকে।
খবর নিয়ে জানলাম, এই জরিপ করেছে-
“যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইপিএ ”
মুসলমান দেশগুলোতে যারা সারা দিন বোমা মেরে মানুষ মারে, তাদের যখন মুসলমান দেশের পরিবেশের প্রতি দরদ দেখি, তখন সন্দেহ তৈরী হয়।
যাই হোক, কয়েকদিন পর দেখলাম- দৈনিক প্রথম আলো বার বার জরিপ প্রকাশ করছে, “সরকার কি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিবে বলে মনে করেন ?”
আমি আগেও আপনাদের বলেছি, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মূল প্যানেল হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দ্বারা পরিচালিত ও ট্রেনিং প্রাপ্ত। তাই তারা যখন বার বার কোন বিষয়ে আলোকপাত করে, তখন বুঝতে হবে, সরকারকে দিয়ে কোন কাজ দ্রুত করাইতে চাইতেছে তারা।
এক্ষেত্রে আপনারা যেটা করবেন,
দৈনিক প্রথম আলোকে এ ধরনের আচরণ করতে দেখলে প্রথমে খবর নিবেন, এর পেছনে মার্কিনপন্থী কোন সংস্থার কোন ফান্ড আছে কি না? কারণ দুনিয়াতে ফান্ড ছাড়া কোন কিছুই মাগনা হয় না। আগে ফান্ডের উৎস খুজে বের করবেন, তারপর ক্লিয়ার হবে।
খবর নিয়ে দেখলাম, বিশ্বব্যাংক ২০০৯ সালে একটা প্রজেক্ট নিছে,
নাম :Bangladesh: Clean Air and Sustainable Environment Project
টাকা দিবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, সময়কাল: ২০০৯-২০১৯ এর ৩১শে মার্চ
প্রজেক্টের মূল লিডার হরিনাথ শেসা ও নুপুর গুপ্তা নামক দুই ভারতীয় ।
(https://bit.ly/2HXhTwV)
আপনাদেরকে একটা বুদ্ধি আগেও শিখিয়েছি, আবারও শিখাচ্ছি,
সেটা হলো-
সম্রাজ্যবাদীরা যখন কোন কথা বলবে বা টার্ম ব্যবহার করবে তখন তারা যে শব্দগুলো ব্যবহার করবে, সেটার দিকে কখন তাকাবেন না এবং সেটা নিয়ে আলোচনাও করবেন না, করলে ওদের ষড়যন্ত্র কখনই ধরতে পারবেন না।
মনে রাখবেন, ওরা কতগুলো সুন্দর সুন্দর শব্দকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ্য হাসিল করলে।
তাই ক্লিন এয়্যার বললেও আসলে তারা অন্য কিছু চাইছে, আসুন এবার সেটা জানার চেষ্টা করি।
২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রজেক্টের উপর একটি আর্টিকেল তৈরী হয়েছে, যেখানে বার বার শুধু ইটভাটার কথা বলা হচ্ছে। আর্টিকেলটা পড়ে যতটুকু বুঝলাম, ক্লিন এয়্যারের কথা বলার মূল উদ্দেশ্য ইটভাটা বন্ধ করা।
(https://bit.ly/2TDQ3Z5)
আমি, জানি এ পর্যন্ত পড়ার পর অনেকেই বলবেন,
“ভাই ইট ভাটায় তো পরিবেশ দূষণ হয়, এটা তো সত্যি কথা।”
আমি বলবো-
দেখুন, ইট ভাটায় পরিবেশ দূষিত হয় কি, হয় না, এটা নিয়ে যদি ভাবতে থাকেন, তবে জীবনেও সম্রাজ্যবাদীদের মূল ষড়যন্ত্র ধরতে পারবেন না। আমি এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র ধরার কিছু কৌশল শেখাবো। এরজন্য আপনি সর্ব প্রথম যেটা করেন, ওরা যে তত্ত্ব ছুড়ে দিয়েছে- ‘ইট ভাটায় পরিবেশ দূষণ হয়’- এই কথাটা ভুলে যান। ভুলে গিয়ে প্রশ্ন করতে থাকুন, “ইটভাটা যদি খারাপই হয়, তবে একজন শত্রু কেন ইটভাটা বন্ধ করতে চাইছে ? ইটভাটায় ক্ষতি হলে আমাদের হচ্ছে, তাতে ওদের কি? ওরা কেন টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশের ইটভাটা বন্ধ করার জন্য, ওদের উদ্দেশ্যটা কি?
ইটভাটার সাথে অন্য কিছু জড়িত নেই তো ?
অনেক খবর নিয়ে বুঝলাম-
ইটভাটা আর পুকুর এই দুইটা শব্দ ওতপ্রতভাবে জড়িত।
ইটভাটায় ইট তৈরী হলে অটোমেটিক পুকুরের সংখ্যা বাড়ে,
আর পুকুরের সংখ্যা বাড়লে বাড়ে ‘মাছ চাষ’।
জাতিসংঘের ‘ফাউ’ ২০১৬ সালে বলেছে “বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে চতুর্থ,
(https://bit.ly/2HUDiXL)
আর ২০১৮ সালে বলেছে বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে তৃতীয়। তারমানে দিনে দিনে বাংলাদেশে মৎস উৎপাদন বাড়ছে। (https://bit.ly/2CH1Sbj)
এবং সেই হিসেব আমরা না করলেও তারা করে, কারণ এই হিসেবে পেছনে তাদের আলাদা উদ্দেশ্য আছে।
ভারত যেখানে নদীতে বাধ দিয়ে বাংলাদেশের নদীগুলো ধূ ধূ মাঠে পরিণত করেছে,
সেখানে মাছ হ্রাস না পেয়ে উল্টো দিনে দিনে বাড়ছে, আশ্চর্যজনক।
একটু ক্যালকুলেশন করি-
পানির অভাবে আমাদের ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে,
বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করে ইউক্যালিপটাস আর আকাশমনি গাছ লাগিয়ে ক্ষেতের পানি শুষে নিচ্ছে-
এ অবস্থায় কৃষকের তো মরে যাওয়ার কথা ছিলো,
ভারতে যেভাবে কৃষকরা গণহারে আত্মহত্যা করছে, বাংলাদেশেও তেমন করার কথা ছিলো।
কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা বুদ্ধি খাটিয়ে ফসল চাষ বাদ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে। এতে আয় না কমে উল্টা ৫-১০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইটভাটা না থাকলে কি পুকুর হতো না ?
না হতো না। কারণ ইটভাটার কারণে জমির মাটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন জমির মালিকের হয়ত জমি আছে, কিন্তু পুকুর খনন করতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেটা হয়ত নেই। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা যখন নিজ দায়িত্বে জমির মাটি কেনে নিয়ে যায়, উল্টো তাদেরকে কর্মাশিয়াল রেটে মোটা টাকাও দিয়ে যায়, তখন অনেকেই ইচ্ছুক হয়ে জমির মাটি বিক্রি করে। আর জমির মাটি কেটে নেয়ার পর দ্রুত সেখানে হয়ে যায় পুকুর। আর পুকুরে কিছু পোনা ছেড়ে দিলে বাইরে থেকে খাবার দেন আর না দেন কয়েকদিন পর মাছ হয়ে যায় বড় সাইজের। আগে যে জমিতে বহু কষ্ট করে চাষ করে একজন চাষী লাভের মুখ দেখতো না। কিন্তু মাছ চাষের পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না। বছরের মধ্যে সে হয়ে যায় লাখপতি।
কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর বানাচ্ছে, আপনি আসছেন, এত বড় অন্যায়ের পক্ষে ওকালতি করতে ?
আচ্ছা কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর কাটলে অন্যায়, আর কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প কারখানা বানালে অন্যায় হয় না ?
বাংলাদেশে যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, সেটাতে কতগুলো কৃষি জমি খাবে তার হিসেব করেছেন একবার?
এক চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের জন্য যে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে তার পরিমাণ ৩০ হাজার একর। ঐ এক শিল্পাঞ্চলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক। (https://bit.ly/2U3jY1G)
এই যে বিদেশীদের জন্য শিল্পাঞ্চল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষককে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদের জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে, এখন পর্যন্ত দেখেছেন কোন মিডিয়া এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্চ করেছে ? কোন খবর করেছে?
কিন্তু নিজের জমি কেটে পুকুর বানিয়েছে, এর বিরুদ্ধে কত শত নিউজ করেছে প্রথম আলো, নিজের চোখেই দেখুন-
ক) https://bit.ly/2HIjtUn
খ) https://bit.ly/2Fwm6Fc
গ) https://bit.ly/2FEFst4
ঘ) https://bit.ly/2U10avW
প্রথম আলোর মত বিদেশী দালালদের নির্দেশনায় সরকার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে সংশোধিত আইন পাশ করে, যেন ইটভাটার মধ্যেমে পুকুর খনন করতে গেলে জেলাপ্রশাসনের অনুমুতি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়, উদ্দেশ্য মাছ চাষে লাগাম টেনে ধরা। (https://bit.ly/2FFndnm)
পুকুর খনন নয় বরং মাছ চাষের লাগাম টানাই যে মূল উদ্দেশ্য, সেটা বোঝা যায়, সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, মাছ চাষ করতে হলেও নিবন্ধন নিতে হবে, এই বাধ্যবাধকতা দেখে। (https://bit.ly/2WuOVIV)
ইটভাটা হলেই কি পরিবেশের ক্ষতি ?
ইটা ছাড়া আপনার চলবে না। আমরা যে বাসাবাড়ি থাকি সেটা ইট দিয়েই তৈরী। ইটভাটা থেকে দূষিত বায়ু নির্গত হয় এটা ঠিক, কিন্তু ইটভাটার সাথে যদি একটি ফিল্টার লাগিয়ে দেয়া যায়, তবে দূষণের মাত্রা একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব। আর তাছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করে ইটভাটাগুলো শহর থেকে দূরে সরিয়ে দিলে অথবা নদীর পাড়ে নিয়ে গেলে দূষণের মাত্রা অনেক হ্রাস হবে। আর যে কারণে দূষণ হচ্ছে, মানে কয়লা পোড়ানোর কারণে, সেই কয়লা বাদ দিয়ে আধুনিক ইট ভাটা তৈরী করলে আর দুষণ নিয়ে কোন চিন্তা থাকবে না। উল্লেখ্য, সরকার বিদেশীদের টাকা খেয়ে ২০২০ সালের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধ করে গিয়ে ব্লক তৈরীর প্ল্যান নিয়েছে (https://bit.ly/2CC9Din)। এতে মাটি লাগবে না এটা ঠিক, কিন্তু সিমেন্ট আর পাথরের ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতে বিদেশ থেকে পাথর-সিমেন্ট আমদানিও বাড়বে। যদি দেশের সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি হয়, তবেও ক্ষতি, কারণ সিমেন্ট কারখানাগুলোও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বায়ু দুষণ করে। অপরদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। আগে সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলন করা হতো, কিন্তু পরিবেশ দূষণের কথা বলে সেখানের পাথর ব্যবসাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ঐখানে অনেক শ্রমিক বেকরা হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রশাসন ট্যাস্কফোর্স বাহিনী নিয়মিত অভিজান চালিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে, এতে তাদের সাথে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। (https://bit.ly/2OsbDOY)
একই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের পাথর উত্তোলন থেকে। সেখানেও পাথর উত্তোলন প্রায়শঃই বন্ধ রাখা হয়। শেষে দেখলাম সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর পাথর উত্তোলন হাইকোর্ট থেকে অর্ডার দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে (https://bit.ly/2HKx6lI)। এ অবস্থায় আমরা পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল এবং পাথর হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় আমদানি পণ্য। ভারত চায় বাংলাদেশের পাথরের বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন করতে (https://bit.ly/2FJJ387 )। তাই ইটভাটা বন্ধ হলে পাথর আমদানি বহুগুন বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে হয়।
পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কি পরিবেশ দূষিত হবে ?
পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মোটেও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না, বরং ভালো প্রভাব পড়বে। প্রতিনিয়ত দেশে জলাশয় ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠতেছে। ভারত নদীতে বাধ দিয়ে নদী শুকায় ফেলছে, বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধিতে ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছ লাগায় জমির পানি চুষে নেয়া হচ্ছে, এ অবস্থায় পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া তো আমাদের জন্য আর্শিবাদ। কারণ পানির কাজ হচ্ছে তাপধারণ করা। পানির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, যা সম্রাজ্যবাদী সংগঠনগুলোই এক সময় পূর্বাভাস দিয়েছিলো, “বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে মরুভূমি হয়ে যাবে”। কিন্তু পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটা ব্যালেন্স হয়েছে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া নদী ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরী হয়, কিন্তু পুকুর থাকায় সেটার পরিমাণও কমে এসেছে। একইসাথে গ্রামীণ এলাকায় পুকুর পাড়ে সবজী চাষ একটি বিরাট লাভজনক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আমেরিকা তথা সম্রাজ্যবাদীরা কেন চাইছে ইটভাটা বন্ধ হোক কিংবা পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি না হোক?
শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে, সে সরাসরি আপনার খারাপ না চেয়ে বরং উপর দিয়ে ভালো চায়, কিন্তু সেই কথিত ভালোটা করলে অনেক দূরে গিয়ে আপনার ক্ষতি-ই হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ হতে পারে-
১) পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে কৃষক শ্রেণী ধ্বংস না হয়ে তারা পদ্ধতি পরিবর্তন করতেছে । ফলে কৃষক বেকার হচ্ছে না, দরিদ্রও তৈরী হচ্ছে না। আর বেকারের সংখ্যা না বাড়লে কর্পোরেটরা লাভবান হয় না। কারণ তাদের শ্রমিক মূল্য কমে না।
২) সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত না কমে বরং বাড়তেছে। সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত থাকা কর্পোরেটোক্রেসির জন্য ক্ষতিকর। তাই সাধারণ মানুষের হাতে থাকা উৎপাদন খাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াই তাদের কাজ।
৩) কৃষক যদি দেখে তার জমিতে লাভ নেই, তখন সে হয়ত কর্পোরেটদের শিল্পাঞ্চলের জন্য তার জমি ছেড়ে দিবে। কিন্তু যদি দেখে ঐ জমিতে মাছ চাষ করলে লাভ হবে বেশি, তখন সে শিল্পাঞ্চলের জন্য জমি না দিয়ে নিজে সেখানে মাছ চাষ করবে। ফলে বিদেশী কর্পোরেটরা বাংলাদেশে যায়গা পাবে না।
৪) প্রতিনিয়ত বাড়িঘর তৈরী হবে এবং ইট লাগবেই, ইট ছাড়া চলবে না। কিন্তু দেশী ইট বন্ধ হলে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি বাড়বে। এতে বিদেশীরা লাভবান হবে এবং দেশের জনগণের খরচ বাড়বে। আর জনগণের খরচ বাড়িয়ে দেয়াই কর্পোরেটোক্রেসি ওয়ালাদের অন্যতম চাওয়া।