ছোট বেলায় চাচা চৌধুরীর কমিকস পড়তাম।
একটা গল্পে পড়েছিলাম, একবার চাচা চৌধুরী একটা সুটকেসে টাকা ভরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো।
সুটকেসে ছিলো ৬০ হাজার টাকা।
পথিমধ্যে তাকে ৬ জন ডাকাত ধরলো এবং বন্ধুক ঠেকিয়ে বললো সব টাকা দিয়ে দিতে।
চাচা চৌধুরী বুদ্ধিমান লোক, সে করলো কি, ৬ জনের মধ্যে ৫ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো,
“দেখো আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা আছে, যদি তোমরা ৬ জন নাও, তবে ১০ হাজার টাকা করে পাবে। কিন্তু যদি ৫ জন থাকতে, তবে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। তাই একজনকে বাদ দাও।
তখন ঐ ডাকাতরা বেশি টাকার লোভে তাদের ১ জন সঙ্গীকে গুলি করে মেরে ফেললো।
এরপর আবার চাচা চৌধুরী আবার ৪ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো, যদি ৪ জন নাও, তবে ১৫ করে পাবে। তখন ৪ জন ডাকাত তাদের বাকি আরেকজনকে গুলি করে মেরে ফেললো।
এপরপর চাচা চৌধুরী আবার ৩ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো, ৩ জন যদি নাও তবে ২০ হাজার করে পাবে, তখন তাদের আরেক সঙ্গীকে গুলি করে মেরে ফেললো
এরপর চাচা চৌধুরী ২ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো, ২ জন নিলে ২০ হাজার করে পাবে, তখন দুইজন মিলে ১ জনকে গুলি করে মেরে ফেললো।
এতদূর চলার পর বাকি দুইজন দুইজনের দিকে বললো, তুই মরলে আমি পুরোটাই পাবো।
এবার দুইজন দুইজনকে গুলি করে দুই জনই মারা পরলো।
ব্যস চাচা চৌধুরী ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে গেলো।
সুটকেসে ছিলো ৬০ হাজার টাকা।
পথিমধ্যে তাকে ৬ জন ডাকাত ধরলো এবং বন্ধুক ঠেকিয়ে বললো সব টাকা দিয়ে দিতে।
চাচা চৌধুরী বুদ্ধিমান লোক, সে করলো কি, ৬ জনের মধ্যে ৫ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো,
“দেখো আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা আছে, যদি তোমরা ৬ জন নাও, তবে ১০ হাজার টাকা করে পাবে। কিন্তু যদি ৫ জন থাকতে, তবে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। তাই একজনকে বাদ দাও।
তখন ঐ ডাকাতরা বেশি টাকার লোভে তাদের ১ জন সঙ্গীকে গুলি করে মেরে ফেললো।
এরপর আবার চাচা চৌধুরী আবার ৪ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো, যদি ৪ জন নাও, তবে ১৫ করে পাবে। তখন ৪ জন ডাকাত তাদের বাকি আরেকজনকে গুলি করে মেরে ফেললো।
এপরপর চাচা চৌধুরী আবার ৩ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো, ৩ জন যদি নাও তবে ২০ হাজার করে পাবে, তখন তাদের আরেক সঙ্গীকে গুলি করে মেরে ফেললো
এরপর চাচা চৌধুরী ২ জন ডাকাতকে আলাদা করে বললো, ২ জন নিলে ২০ হাজার করে পাবে, তখন দুইজন মিলে ১ জনকে গুলি করে মেরে ফেললো।
এতদূর চলার পর বাকি দুইজন দুইজনের দিকে বললো, তুই মরলে আমি পুরোটাই পাবো।
এবার দুইজন দুইজনকে গুলি করে দুই জনই মারা পরলো।
ব্যস চাচা চৌধুরী ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে গেলো।
বর্তমানে সরকার কিন্তু এই চাচা চৌধুরীর পলিসি নিযেছে
তারা সমাজের এক অংশকে সুবিধার কথা বলে অন্য অংশকে মেরে ফেলছে
ফলে সুবিধার লোভে আমরাই আমাদের ভাইদের হত্যা করাকে জায়েজ বলে ফতওয়া দিচ্ছি।
যেমন:
১) সুন্দর ফুটপাতের কথা বলে হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি না, কারণ আমরা ভাবছি, “দরিদ্র হকাররা মরে যাক, তাকে আমার কি ?, আমার ফুটপাত সুন্দর ও গোছানো থাইলেই হলো।”
২) “কেমিক্যাল সরলে আবাসিক এলাকা নিরাপদ হবে”, যারা ঐ ব্যবসার সাথে যুক্ত না, তারা ভাবতেছে, “ব্যবসায়ীরা মরলে মরুক, আমাদেরে বাসাবাড়ি নিরাপদ হলেই হলো।”
৩) “কড়াইল বস্তি সরলে আইটি ভিলেজ হবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে”, কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগলে লাগুক, কিছু কর্মসংস্থান হলে আমারও সেখানে সুযোগ হতে পারে।
৪) “বেগুন বাড়ি বস্তি ধ্বংস করেছে করুক, বস্তিবাসী মানে মাদক-সন্ত্রাস। এখন যে হাতিরঝিল হইছে, এটা ভালো হইছে, আমাদের একটা নতুন ঘোরার যায়গা তো হইছে।”
৫) পূর্বাচলে মানুষ মেরে তাড়িয়েছে, তাতে কি হয়েছে ? আমাকে তো স্টেডিয়াম দিয়েছে, সেখানে আন্তর্জাতিক মানের খেলা হবে। মানুষ মরলে মরুক, আমি তো ভালো খেলা দেখতে পারবো।
তারা সমাজের এক অংশকে সুবিধার কথা বলে অন্য অংশকে মেরে ফেলছে
ফলে সুবিধার লোভে আমরাই আমাদের ভাইদের হত্যা করাকে জায়েজ বলে ফতওয়া দিচ্ছি।
যেমন:
১) সুন্দর ফুটপাতের কথা বলে হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি না, কারণ আমরা ভাবছি, “দরিদ্র হকাররা মরে যাক, তাকে আমার কি ?, আমার ফুটপাত সুন্দর ও গোছানো থাইলেই হলো।”
২) “কেমিক্যাল সরলে আবাসিক এলাকা নিরাপদ হবে”, যারা ঐ ব্যবসার সাথে যুক্ত না, তারা ভাবতেছে, “ব্যবসায়ীরা মরলে মরুক, আমাদেরে বাসাবাড়ি নিরাপদ হলেই হলো।”
৩) “কড়াইল বস্তি সরলে আইটি ভিলেজ হবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে”, কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগলে লাগুক, কিছু কর্মসংস্থান হলে আমারও সেখানে সুযোগ হতে পারে।
৪) “বেগুন বাড়ি বস্তি ধ্বংস করেছে করুক, বস্তিবাসী মানে মাদক-সন্ত্রাস। এখন যে হাতিরঝিল হইছে, এটা ভালো হইছে, আমাদের একটা নতুন ঘোরার যায়গা তো হইছে।”
৫) পূর্বাচলে মানুষ মেরে তাড়িয়েছে, তাতে কি হয়েছে ? আমাকে তো স্টেডিয়াম দিয়েছে, সেখানে আন্তর্জাতিক মানের খেলা হবে। মানুষ মরলে মরুক, আমি তো ভালো খেলা দেখতে পারবো।
মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ একা বাস করতে পারে না। সমাজে একটা অদৃশ্য ইকো সিস্টেম আছে। এই ইকো সিস্টেমকে যে ধ্বংস করা হচ্ছে, তার পরিণতি কি হতে পারে, তা কি আমরা একবার চিন্তা করেছি?
তাছাড়া কিছু বাড়তি সুবিধা, বিনোদন বা চাকুরী পাওয়ার জন্য সমাজের অন্য অংশটাকে ধ্বংস করে দেয়ার যে বৈধতা আমরা দিচ্ছি, এর শেষ কোথায় ?
আজকে যারা বস্তিবাসীকে মারছে, কালকে যে আমাকে তারাই মারবে না এবং আমাকে মারার বৈধতা দেয়ার জন্য নতুন কোন যুক্তি ছড়িয়ে দিবে না, তার কি গ্যারান্টি ?
আজকে যারা বস্তিবাসীকে মারছে, কালকে যে আমাকে তারাই মারবে না এবং আমাকে মারার বৈধতা দেয়ার জন্য নতুন কোন যুক্তি ছড়িয়ে দিবে না, তার কি গ্যারান্টি ?