পার্বত্য চট্রগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসীপনা ও চাঁদাবাজি
রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা। দীর্ঘ বাইশ বছর আগে শান্তির পায়রা উড়িয়ে যে বার্তা ঘোষিত হয়েছিল তা আবার ম্লান করে দিতে চাইছে আঞ্চলিক তিন গ্রুপের ১৮শ’ সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এদের টার্গেট পাহাড়ে জুম্মল্যান্ড ও স্বায়ত্তশাসিত সরকার গঠন। গ্রুপগুলো হচ্ছে- জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-সন্তু), জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থি ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এতদিন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে উপজাতি বিভিন্ন সংগঠন নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে এসেছে। কিন্তু এখন তারা চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে ততটা তৎপর নয়। উল্টো পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানানো শুরু করেছে। এ নিয়ে নানা রকম তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
বিশেষ করে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালি কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বিপুল অংকের চাঁদা। তা দিয়ে সশস্ত্র গ্রুপকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। গোপনে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে ভারি, দামি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র। সামরিক আদলে কাঠামো তৈরি করে নিজেদের সংগঠিত করছে। অন্যদিকে তিন পার্বত্য জেলাকে অস্ত্রের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা।
এতে নিজেদের অস্ত্রের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িতদের কাছে বিক্রি করছে ভারি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র। এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে পাহাড়ে তৎপর জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র গ্রুপরা।
প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ এই এলাকায় গত চার দশকের বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীল করে রেখেছে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। তাদের দাবি এই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। কিন্তু দেশের ভেতরে আরেকটি দেশ গঠন হলে দেশের কোনো সার্বভৌমত্ব থাকে না। তাই কোনো সরকারই তাদের এই অন্যায় দাবি মেনে নেয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পাহাড়িদের সঙ্গে একটি চুক্তি করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। এই চুক্তির ৭২টি দফার মধ্যে ৪৮টি দফার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি দফাগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
ধরতে গেলে উপজাতিদের দেয়া দফাগুলোর সবই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। হঠাৎ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জেএসএস, ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কারপন্থি গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত কয়েক মাস থেকে পাহাড়ে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার কারও সাহস নেই। যদি জানতে পারে কেউ অভিযোগ করেছে- তাহলে পরের দিন তার লাশ ফেলে দেয়া হচ্ছে অথবা অপহরণ করা হচ্ছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এসব খবর বেশিরভাগ সময়ই মিডিয়ায় আসে না।
তারা বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহ করছে। আর অস্ত্র কেনা ও নিজেদের সংগঠন চালানোর জন্য তারা চাঁদা আদায় করছে সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে । ফলে জিম্মি হয়ে পড়েছে তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ মানুষ। প্রাণ ভয়ে তারা কেউই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যান না। সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন এমন একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন প্রাপ্ত তথ্য থেকে আরো জানা যায়, এই তিন গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮শ’। তারা বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের রয়েছে প্রায় ৯শ’ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী।
তাদের অধীনে রয়েছে সামরিক কায়দায় ৬টি কোম্পানি। জেএসএস (সংস্কার) এর রয়েছে ২টি কোম্পানি। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩শ’। আর ইউপিডিএফ এর ৪টি কোম্পানির অধীনে রয়েছে প্রায় ৭শ’ সশস্ত্র সদস্য। ক্যাপ্টেন বা মেজর পদবির সদস্যরা কোম্পানিগুলোর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে।
গোয়েন্দারা জানান, দুই উপায়ে সশস্ত্র সদস্যরা তাদের দল ভারি করার চেষ্টা করে। প্রথম তারা পার্বত্য অঞ্চলে খোঁজ করে কোন্ কোন্ উপজাতির নামে মামলা রয়েছে অথবা অপরাধের দায়ে কাদের পুলিশ খুঁজছে। তাদের তালিকা তৈরি করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালানো হয়। আবার কিছু উপজাতিকে স্বাধীন পার্বত্য অঞ্চল অথবা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে প্রশিক্ষণসহ হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।এ সব সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা আবার দল থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত বেতনও পায়।
তাদের রয়েছে নিজস্ব সেনাপ্রধান, আলাদা আলাদা কোম্পানি, বিভিন্ন উইং, শরীরে থাকে বাহিনীর পোশাক, হাতে অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি, কাঁধে চকচকে ভারি ও দামি অস্ত্র। তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণ পাওয়া দক্ষ ও ক্ষিপ্র। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে তাদের বিচরণ।
শুধু পোশাক আর অস্ত্র নয় তাদের রয়েছে নিজস্ব পরিচয়পত্র, মুদ্রা ও পতাকা। পাহাড়ে জুম্মল্যান্ড ও স্বায়ত্তশাসিত সরকার গঠনকে টার্গেট করে নীরবে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে এই সশস্ত্র সংগঠনগুলো। এ সব সংগঠনগুলো ফেসবুক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের পতাকা, মুদ্রা ও পরিচয়পত্রের প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিন পার্বত্য জেলার বেশ কয়েকটি স্থানকে অস্ত্র আসার রুট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এসব স্থান রুট হিসেবে ব্যবহারের অন্যতম কারণ হিসেবে অরক্ষিত সীমান্তকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে ২৮১ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তের এরইমধ্যে ১৩০ কিলোমিটার সুরক্ষিত করা হয়েছে। অন্যদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা ১৯৮ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তের মধ্যে ৮৫ কিলোমিটার সুরক্ষিত করা হয়েছে। তারা জানান, সীমান্ত সুরক্ষিত করার অংশ হিসেবে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হচ্ছে চেকপোস্ট।
পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয়। পুলিশকে বলেও কোনো লাভ হয় না। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা প্রায়ই গাড়ি ভাঙচুর করছে। উপজাতিদেরও এ চাঁদা দিতে হয়। তাদের কাছে অবৈধ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।
চাদাবাজিঃ
নির্দিষ্ট পরিমাণের আয় না থাকলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় না। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরও কোন ধরনের ভ্যাট বা শুল্কও আরোপ করেনি সরকার। কর নির্ধারণের ক্ষেত্রেও দরিদ্রদেরকে করের আওতামুক্ত রাখা হয়। আর উপজাতিদেরও বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা সত্ত্বেও সরকারকে তাদের আয় কর দিতে হয় না। কিন্তু সরকারি ট্যাক্স থেকে তারা মুক্তি পেলেও কথিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ট্যাক্সের আদলে চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছে না পাহাড়ের জনগণ।
‘এখানে তিনটি গ্রুপ চাঁদা সংগ্রহ করে। জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফ। বাসপ্রতি বছরে জেএসএসকে (দুই গ্রুপ) ৫ হাজার টাকা করে এবং ইউপিডিএফকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। ট্রাকপ্রতি তিন গ্রুপকে ৬ হাজার টাকা করে এবং চাঁদের গাড়ি তিন হাজার, দুই হাজার ও দেড় হাজার টাকা হারে, এভাবে প্রতি সেক্টরে এমনকি ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীকেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র লোকেরা বাজারে আনারস, কাঁঠাল আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল বিক্রি করে। সেসব থেকেও চাঁদা দিতে হচ্ছে তাদের। একটা কাঁঠালের ওপর তিনটা গ্রুপকে ৫ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। প্রতিটি কলার ছড়িতে দিতে হয় ৫ টাকা করে। এমন কোনো আইটেম নাই যেখানে চাঁদা দিতে হয় না।’
তিন পার্বত্য জেলায় জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফ ধার্যকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই শুরু হয় অপহরণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, যানবাহন। নাকের ডগায় বসে অনেকটা ফ্রি-স্টাইলে এই চাঁদাবাজি চললেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন। যারা ব্যবস্থা নিবেন সেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বেতনের ১০-১৫ শতাংশ চাঁদা দিতে হয় তিনটি গ্রুপকে।
প্রতিদিনই পার্বত্য অঞ্চল থেকে উপজাতি সশস্ত্র গ্রুপগুলো এক থেকে দেড় কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছে। বছর শেষে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি। চাঁদা আদায়ে নিয়োজিত রয়েছে জেএসএস ও ইউপিডিএফের পাঁচ হাজার সশস্ত্র প্রশিক্ষিত কর্মী। আদায়কৃত চাদার টাকা দিয়েই দলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, রেশন, অবসরকালীন ভাতা, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো চাঁদার এ অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে বাঙালি বিদ্বেষী প্রচারণা ও তাদের অস্ত্র ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার কাজ করে থাকে বলেও জানা গেছে।
ভুক্তভোগী বাঙালি ও উপজাতিরা অভিযোগ করেন, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, গাছের ফল, ক্ষেতের ফসল, ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষক-শ্রমিক-মৎসজীবী, সড়কে চলাচলকারী সকল প্রকার যানবাহন, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, স্থানীয় উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবার, দেশীয় ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, জমি কেনাবেচা, এমনকি ডিম বিক্রি করতে গেলেও চাঁদা দিতে হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই দুই বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাচঁ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি গাছ কেটে ফেলেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। যার সবগুলোই বাঙালিদের। এর কোনটির পেছনে রয়েছে বাঙালি-উপজাতি ছেলে-মেয়ের প্রেম বা বিয়ে, কোনটিতে চাঁদা না দেয়া।
সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের সরকার এবং জেএসএস (সন্তু লারমা)-এর মধ্যে স্থাপিত শান্তিচুক্তির প্রায় ৮০ শতাংশ শর্তই বাস্তবায়ন করেছে সরকার। কিন্তু এখনও এ চুক্তি বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা/ফোরামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রচার-প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে পাহাড়ি সংগঠনগুলো (চুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে)। পার্শ্ববর্তী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে গোপনে যোগাযোগের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও অপহরণের পর মুক্তিপণের অর্থ দিয়ে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে তাদের অস্ত্রভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। স্থানীয়রা ছাড়াও পর্যটক, টোকেন ছাড়া ব্যবসায়ী, ব্যবসা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অপহরণ করে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
কি করনীয়?
১. সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে, সেনানিবাস বাড়াতে হবে
২. বিজিবি এর চেক পোষ্ট বাড়াতে হবে
৩. র্যাব ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে
৪. অরক্ষিত সীমান্ত দ্রুত নজরদারীর আওতায় আনতে হবে
৫. আইন শৃংখলা বাহীনিকে কঠোর হওয়ার সুযোগ দিতে হবে, কোন বিধি নিষেধ আরোপ করা যাবেনা
৬. দেশীয় দালাল গোষ্ঠিদের দমন করতে হবে
৭. বিদেশী দালালদের কঠোর জবাব দিতে হবে। কারন খোদ আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে ভুমির মালিক আদিবাসীদের নুন্যতম কোন অধিকার নাই। এমনকি তারা ইহুদী সঙ্ঘের ঘোষণা পত্রেও স্বাক্ষর করেনি।
৮. চিরুনী অভিযান চালিয়ে এদের খতম করে দিতে হবে
৯. সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারকে কোন কিছুতেই নমনীয় হওয়া যাবেনা। ভিতর –বাহির কোন চাপের কাছেই নতি স্বীকার করা যাবেনা। এই দেশ আমাদের, এই দেশ মুসলমানদের। পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ে ৯৮ ভাগ মুসলমান সরকারের পাশে থাকতে সরকারের কিসের এত চিন্তা ভাবনা? সরকারকে মনে রাখতে হবে” যেমনি কুকুর তেমনি মুগুর দিতে হয়”।