কুরবানী সংক্রান্ত জরুরী বিষয়সমূহ
পরিবেশ দুষন আর যানজট কি শুধু পবিত্র কুরবানী
উনার সময়েই হয়ে থাকে ?
প্রশাসন যানজট আর পরিবেশ দুষনের দোহাই দিয়ে পবিত্র কুরবানী উনার পশুর হাট দূরে দূরে
বসানোর ঘোষনা দিয়েছে। অথচ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী এবং নানাবিধ কারণে ঢাকা শহরে যানজট
এবং পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে।
১. লোক সমাগমে, উৎসব পার্বনে যানজট হবেই। দুর্গামূর্তিকে যারা বুড়ি গঙ্গায় নেবে তারাও যানজট
লাগাবে। পূজামন্ডপ ঘিরেও যানজট লাগবে। সুতরাং প্রতিবছর মন্ডপের সংখ্যা বাড়িয়ে
হাটের সংখ্যা কমানো এবং দূরে সরানো কোন যুক্তিতে করা হচ্ছে ?
২. পহেলা বৈশাখে সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে
মুমূর্ষু রোগীদের পাঠানো স্থান ঢাকা মেডিকেল, পিজি হাসপাতালে ও বারডেমসহ গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে আগত সবগুলো রাস্তাই
ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো থাকে, চর্তুদিকে থাকে
হারাম বৈশাখপ্রেমী অজস্র মানুষের ভীড়, সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চলা তো দূরের কথা, পিপড়াও হাটতে পারেনা, তা নিয়ে মিডিয়া
কেন প্রতিবেদন করেনা ? কেন এর বিরুদ্ধে
বলেনা। কোরবানী পশুর হাটের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী তখন কেন মুখে কুলুপ এটে থাকে ? তখন কি মানুষের দুর্ভোগ আর রোগীর কষ্ট হয়না ?
৩. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে
অবস্থানের কারনে বারডেম, পিজি, ঢাকা মেডিকেলের রোগীরা টানা ৬ দিন ধরে অবরুদ্ধ ছিল। ব্যস্ত
হাসপাতালগুলোর পাশে, সামনে অনবরত
মাইক বাজানোর কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। নিদারুণ কষ্ট
স্বীকার করতে হচ্ছে একুশের বইমেলায় যাতায়াতকারী মানুষকেও। বিড়ম্বনায় পড়ছেন হোটেল
রূপসী বাংলার দেশি-বিদেশি অতিথিরা। তখন কেন তার বিরুদ্ধে বলা হয়নি ?
৪. যখন রথযাত্রা হয় তখন পুরো ঢাকা শহর থমকে
যায়। তখন কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়না ? কোন আদেশ জারী হয়না ?
৫. ঢাকা শহরের ভিতরে যত্র তত্র ময়লা আবর্জনা
কি শুধু কোরবানীর সময়েই হয়ে থাকে ? সারাবছরে যে জনগন নাক মুখ চেপে রাস্তা দিয়ে হাটে তা কি কারনে ?
৬. ঢাকার আশে পাশের নদ নদি মৃত প্রায়। তা কি
কুরবানীর কারনে ?
৭. হাজার হাজার কোটি টাকা খরছ করার পরেও
হাতিরঝিল প্রকল্পে ময়লা আবর্জনা কি কুরবানির কারনে ?
পবিত্র কুরবানী কি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে ?
১. পবিত্র ঈদুল আজহার সময় ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায় পশু কুরবানী করা যাবে না বলে সরকার জানিয়েছে। রাজধানীতে পশু কুরবানীর জন্য স্থান নির্ধারণ করবে দুই সিটি কর্পোরেশন। এসব স্থানেই নাকি পশু কুরবানী করতে হবে।
২. পশু জবাইয়ের স্থানের তালিকা ঈদের আগেই নগরবাসীকে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্দিষ্ট স্থানে জবাই শেষে সেখানেই পশুর বর্জ্য রাখতে হবে, কর্পোরেশনের কর্মীরা সেখান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাবে।
এ রকম আজগুবি কথা শুনে কিছু প্রশ্ন জাগাই স্বাভাবিক -
১.ধীরে ধীরে এসব নীতিনির্ধারক কি কুরবানী নিষিদ্ধ করে দিতে চাইছে?
২.হাজার বছরের ঐতিহ্য ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায় কোরবানির পশু কুরবানী কেন তারা নিষিদ্ধ করে দিল?
৩.রাজধানীর সব পশু কি মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি স্থানে নিয়ে গিয়ে কুরবানী করা সম্ভব? যেখানে দিনে-দুপুরে ঘর থেকে মানুষ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, নারীদের তুলে নিয়ে গ্যাং সম্ভ্রমহানী করা হয় সেখানে হাজার হাজার কুরবানীর পশুর জবাই, চামড়া তোলা, গোশত কাটা, বণ্টন ইত্যাদি যে নিরাপদে করা যাবে, গোশত ও চামড়া লুট হবে না, এর নিশ্চয়তা তারা কী করে দেবে?
৪.ঈদুল আজহার দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও কর্পোরেশনের লোকজন কী ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায় বেআইনী ঘোষিত কুরবানী দেয়ার সময় লোকজনকে ধাওয়া করবে না কুরবানীর নির্দিষ্ট স্থান পাহাড়া দেবে?
৫. কুরবানিদাতারা গোশত কেটে তা কীভাবে বাড়ি-ঘরে আনবেন? বন্ধু ও আত্মীয়-প্রতিবেশীদের অংশ তারা কী করে বিলাবেন? পরিচিত ও নিজস্ব দরিদ্রদের অংশ তারা কীভাবে পৌঁছাবেন? জবাইয়ের মাঠেই কি এসব করা সম্ভব?
৬.বাড়ির মহিলাদের পরামর্শ, কাজ ও সহায়তাটুকু কি মাঠে পাওয়া যাবে?
৭. সরকার নির্ধারিত স্থানে কী হাজার হাজার পশু নিয়ে গিয়ে জবাই করা সম্ভব?
যদিও নাস্তিক-মুরতাদ লোকদের সরাসরি কুরবানী নিষিদ্ধ করার সাহস এখনো হয়নি তবে তারা ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। কুরবানীর জায়গায় বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি হলে মানুষ কুরবানী দেয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। ইসলামবিদ্বেষী চক্রটি এটাই চায়। তবে এসব ধর্মবিদ্বেষী নিয়মনীতি যারা চালু করার চেষ্টা করছে, তারা এর পাল্টা ধাক্কাটা সামাল দিতে পারবেন কি না সেটাই ভাবছি।এ আইন বাস্তবায়ন করা কিছুতেই সম্ভব নয়। মানুষ এ আইনকে কুরবানী নিষিদ্ধের পাঁয়তারা বলেই ভাবছে।
সরকারের এমন ভুল সিধ্বান্ত থেকে সরে আসতেই হবে । অন্যথায় এমন একটি সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে কেউ যদি নয়-ছয় করে তাহলে সরকারের জন্য তা সুখকর কিছু হবেনা।জনগনের সরকার যদি হয়েই থাকে, তাহলে সরকারের উচিত জনগনের অনুভুতিকে বুঝে সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করা।
একজন মুসলমান হিসেবে পবিত্র কুরবানী নিয়ে সরকারের সিধ্বান্ত কি আপনি মেনে নিবেন ?
প্রতিবছর প্রশাসন থেকে ঈদুল আজহায় রাস্তা ,গলিসহ যত্রতত্র পশু জবাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেশের ৩২৩ পৌরসভা ও ১১ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নির্দিষ্ট স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে পশু জবাই করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও এলাকার অধিবাসীরা কুরবানির পশু একটি স্থানে জড়ো করে জবাই করতে পারবেন। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ইমাম ও কসাইদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট স্থানে অনেক পশু জবাই হলে নগর বা পৌর কর্তৃপক্ষের বর্জ্য সরাতে সুবিধা হবে বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া চামড়া বেচাকেনায়ও এতে সুবিধা হবে।
এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্তের পিছনে কি রহস্য হতে পারে?
১. ইসলামের অন্যতম নিদর্শন ও ওয়াজিব বিধান পবিত্র কুরবানি নিয়ে ইহুদি, ব্রাহ্মণ্যবাদি ও ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্য চক্র দীর্ঘদিন ধরে গভীর চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। এই লক্ষ্যে প্রতিবেশী ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গরু রফতানি কড়াকড়িভাবে বন্ধ রেখেছে। তাদের মন্ত্রীরা বাংলাদেশে গরুর গোশতের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় বেজায় খুশি হয়েছে। কুরবানী নিয়ে ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা থাকতে পারে, এমন সংবাদ থেকেও তা সহজে অনুমান করা যায়।
২. এই পবিত্র কুরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগের পাশাপাশি মুসলমানদের মধ্যে ধনী-গরিব, ফকির-মিসকিনদের মধ্যে যে গভীর সহমর্মিতা, আত্মীয়তার মজবুত বন্ধন ও ঐক্যের সংস্কৃতির চর্চা হয়, তাতে ইসলামবিদ্বেষী চক্র চরম অস্বস্তিতে ভোগে। এ কারণে বহু পূর্ব থেকেই তারা নানাভাবে পবিত্র কুরবানির বিরুদ্ধে গভীর অপপ্রচার ও চক্রান্তে লিপ্ত।
৩. ভিনদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য এ ধরনের চক্রান্ত
৪.তথাকথিত সুশীল সমাজ এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন থেকে মুসলমানের কুরবানি নিয়ে চক্রান্ত করে আসছে। তারা পশু প্রেমের নামে এবং দুস্থদের সাহায্যের কথা বলে মুসলমানদের ধর্মীয় নিদর্শনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে, ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।
৫. সিন্ডিকেট চক্রের কালো থাবায় মাদরাসার এতিম ও মিসকিনরা কুরবানির চামড়া বিক্রির টাকা লোপাট করাও এর উদ্দ্যেশ্য ।
৬. শুধু পাড়া-মহল্লা থেকে কুরবানির সংস্কৃতিকে সরিয়ে দেয়া নয়, যানজটের অজুহাত খাড়া করে পশুর হাটে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে কুরবানি দাতাদের জন্য পশু ক্রয়েও সংকট তৈরির ষড়যন্ত্র চালুর চেষ্টা চলছে।
কুরবানী সংক্রান্ত সরকারের
অযৌক্তিক উন্মাদীয় চিন্তাধারার ফলে কি হবে ?
১. আবহমানকাল থেকে মুসলমানদের ঘরে ঘরে কুরবানীর পশু জবাই হয়ে আসা কোন দেশ কিংবা সমাজ বা পরিবেশের ক্ষতির কথা কোন সুস্থ বিবেকবান মানুষ ভাবেনি বরং অনেকে কুরবানীর তাজা রক্ত হাতে কিংবা রোগে আক্রান্ত স্থানে রোগ আরোগের জন্য ব্যবহার করে আসছেন। যা নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় কুরবানী করা ব্যতীত নারী-পুরুষের অনেকের জন্যই ব্যবহার করা দুষ্কর হবে।
২. হাদীস শরীফে নিজ নিজ হাতে নিজ পশু জবাই করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। সম্ভব না হলে কুরবানীর স্থলে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করতে বলা হয়েছে। যা মাঠে-ময়দানে করলে পর্দানশীন নারীসহ মাযুর বা দুর্বলদের জন্য সম্ভব হবে না।
৩. এভাবে মাঠে কুরবানী করলে প্রচলন হয়ে গেলে কুরবানীর জবাইকৃত গোস্ত বিতরণ ও খরচ বেড়ে যা অনেক মানুষ গোস্ত চামড়া ইত্যাদি বহন করার মত প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকার অজুহাতে কুরবানী করা থেকেই বিরত থাকবে। ফলে দেশে কুরবানীর হার কমে যাবে।
৫. একজন মুসলমান ওয়াজিব কুরবানীর সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। ওয়াজিব তরককারী হিসেবে গুনাহগার সাব্যস্ত হবে।
৬. বিভিন্ন টাউট বাটপার সন্ত্রাসীদের হাতে নিজ চামড়া ও কুরবানীর গোস্ত চলে যাবে। ফলে দেশের দরিদ্র মানুষ, এতিমখানা, প্রকৃত প্রাপকরা তাদের হক থেকে বঞ্চিত হবে।
৭. কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে সিটি করপোরেশন জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ না নিয়ে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়ার নির্দেশ জারি করা হলে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এতে কোরবানির গোশত গরিব-মিসকিনের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা সম্ভব হবে না।
৮. এখন যেরকম কুরবানীর হাটের বাজার নিয়ে দলাদলী, চাঁদাবাজী ও অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হয় তেমনি কুরবানীর জায়গা নিয়েও হবে। এতে করে মানুষের গোশত বন্টনসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হবে। গরুর চামড়াগুলো গরীবদের হাতে যাওয়ার পরীবর্তে সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাবে। তাতে দেখা যাবে এত ঝামেলার কারণে মানুষ কুরবানী দিতে বিরক্তি বোধ করবে এবং মুসলমানদের পিতা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উয়ান্দের স্মৃতি বিজড়িত কুরবানী যার উপর ওয়াজিব হয়েছে তা পালনে অনাগ্রহ সৃষ্টি হবে।
৯. কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা সুন্নত। কেউ না পারলে সামনে থেকে অন্য কাউকে দিয়ে জবেহ করাবে এটা ইসলামের নিয়ম। এর ফলে মানুষ সুন্নত থেকে বঞ্চিত হবে।
১০. প্রত্যেক ঈমানদার সামর্থবান ব্যক্তি নিজস্ব বাড়ির আঙ্গিনায় কুরবানীর পশু জবেহ করে নিজের পছন্দ মতো গোশত বিতরণ করে থাকেন। তারা কুরবানীর পশুর চামড়া মাদরাসার এতিম খানায় দান এবং চামড়া বিক্রির একাংশের টাকা গরীবদের মাঝে বিতরণ করে আসছেন। হাজার হাজার কুরবানীর পশু নির্ধারিত স্থানে জবেহ করতে জড়ো করা হলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।
১১. দীর্ঘ ১৪০০ বছর যাবত এদেশের মুসলমানরা ইসলামী শরীয়তের নিয়ম-নীতি মেনেই ঘরে ঘরে কুরবানীর পশু জবেহ করে গোশত গরীব-মিসকিন ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিলি বন্টন করে আসছে। পরিবেশ দূষণের নামে কুরবানী একই স্থানে জবেহ করার নিদের্শ জারি করা হলে কুরবানী নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
১২. বর্জ্য পরিষ্কারে সিটি করপোরেশন জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ না নিয়ে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়ার নির্দেশে মানুষের কষ্ট বাড়বে। ঢাকাসহ দেশের পৌরসভাগুলোয় পর্যাপ্ত উন্মুক্ত জায়গা নেই।
পূজা হিংস্রতা শিখায়,কুরবানী নয়
সরকার ১৮ বছরের
নীচে কুরবানী করতে নিষেধ করেছে। এতে নাকি শিশুরা
হিংস্র হবে।
মনোচিকিৎসক ও
মনোবিশ্লেষক লেখক ডা. মোহিত কামাল বলে, ‘শিশুরা সহিংসতাবিষয়ক কিছু দেখলে তাদের মনে সেই বিষয়ে ছাপ পড়ে
এবং পরবর্তী সময়ে পরিবেশ-পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেটা বিকাশ লাভ করে। এতে করে যেমন শিশু ভবিষ্যতে আরো লাজুক, বিষন্ন ও অসুস্থ হতে পারে, তেমনি
ভয়ংকর উগ্র, বিধ্বংসীও হতে পারে।’
জাতীয় মানসিক
স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শিশুবিশেষজ্ঞ ড. মাহাবুব আলম বলেন, ‘শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। যেসব শিশুর সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ হয়নি, নেতিবাচক সংবাদ,
বীভৎস ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সেই সব শিশু জড়িয়ে পড়ে নেতিবাচক কর্মকান্ডে।’
মনোচিকিৎসকদের
মতে পূজার বীভৎস ছবি হিংস্র হতে শিখায়। কারন হিন্দুদের
কালী মূর্তির ছবিতে কালি দেবির-
১.একহাতে ভয়ঙ্কর মারনাস্ত্র
২.আরেকহাতে কাটা মুন্ডু।
৩.গলায় মানুষের মুন্ডু দিয়ে
তৈরি মালা,
৪.কোমরে মানুষের হাত দিয়ে
তৈরি অলঙ্কার।
৫. হাতে ত্রিশুল
৬. পায়ের নীচে মৃত মানুষ
৭. ভয়ংকরভাবে জিহবা বেরিয়ে
থাকা ছবিটি খুব বিভৎস, ভয়ঙ্কর ।
লক্ষ লক্ষ হিন্দু
বাবা-মা তাদের শিশুদের
নিয়ে পূঁজো মন্ডপে যায় এইরকম মূর্তিগুলো পরিদর্শন করতে। মনোবিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে এ ছবি শিশুর মনের
উপর বিরুপ প্রভাব ফেলবে এবং শিশুকে ছোটবেলা থেকেই হিংস্র করে তুলবে। যার প্রমান আমরা ভারতের দিকে তাকালেই বুঝতে
পারি।
পশু জবাই একটি
প্রাকৃতিক এক সিস্টেম যার উপর নির্ভর করে মানুষ বেছে থাকে। একজন শিশু কুরবানী পশু জবাই এর মাধ্যমে
সে শিক্ষাই পেয়ে থাকে। কিন্তু কালির মুর্তিতে সে
শিখে মানুষ নিধন !
তাহলে নাস্তিক-ইসলামবিদ্বেষিরা এখন কেন
বলেনা পুজায় ১৮ বছরের নীচে শিশুদের যাওয়া নিষিদ্ধ করা হোক?
জবাইকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ করা মেনে নেওয়া যায়না
কে কোন্ বয়সে
বিয়ে করবে, কোন্ বয়স থেকে জবাই করবে ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়েই এখন সিদ্ধান্ত দেয়া শুরু
করেছে সরকারি প্রশাসন। ভাবখানা এমন- যেন তাদের উপর ওহী নাযিল
হওয়া শুরু হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! নচেৎ বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে,
জবাইকারীর বয়সের ক্ষেত্রে যেখানে ইসলামী শরীয়ত নির্দিষ্টতা আনেনি,
সেখানে সরকার কি করে হাত দেয়?
অথচ সরকার তো
বিয়েপূর্ব কথিত প্রেম-ভালোবাসা, পরকীয়া, অবৈধ
মেলামেশা; টিভি-সিনেমা, ইন্টারনেটে অশ্লীলতা দেখা ইত্যাদিতে কোনো বয়স নির্দিষ্ট করেনি। এর অর্থ হলো- যেকোনো বয়স থেকেই যা খুশি
সব অপকর্ম করা যাবে, তবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে সরকারের অনুমতি
নিতে হবে। ! যে অজুহাতেই জবাইকারীর বয়স নির্দিষ্ট
করা হোক না কেন- এটা স্পষ্টতই পবিত্র কুরবানী উনাকে ইহানত বা
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার শামিল।
অতএব প্রশাসনকে
অবশ্যই এই বিধি নিষেধ তুলে দিতে হবে। কুরবানী করার
ক্ষেত্রে কোন বস নির্ধারন করা যাবেনা।