প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা) অঞ্চলের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা-পূর্ব ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসন যন্ত্র এখানকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চল অপেক্ষা এ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল অবহেলিত ও পশ্চাত্পদ থেকে যায়।
মধ্য পঁচাত্তরের পর শুরু হয়ে পরবর্তী ২০ বছরের ভ্রাতৃঘাতী সশস্ত্র সংগ্রাম এ অঞ্চলকে পেছনে ঠেলে দেয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। উন্নতির ছোঁয়া লাগতে শুরু করে ১৯৯৬ সালের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির পর থেকে। সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রাম স্তিমিত হয়ে আসে।
২০০৯ সালের পর পার্বত্য অঞ্চলে রাস্তা-সড়ক জনপদের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। কৃষিতে বৈচিত্র্যায়ণ হয়েছে। শিক্ষার হার ছিল সারা দেশের তুলনায় খুবই নিচে। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এখন।
পাহাড়ি গ্রুপগুলোর মধ্যে চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতা রয়েছে। এ চাঁদাবাজিই এখন ব্যাপক সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যা, যা উন্নয়ন প্রয়াসকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এ সাধারণ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে পার্বত্য তিনটি অঞ্চলেই অর্থনৈতিক ও জীবনধারণের সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধানের পদক্ষেপ কী হতে পারে, বিবেচনা করব।
খাগড়াছড়ি জেলায় কৃষির অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এ গবেষণা কেন্দ্রটি ১৯৮৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। মোট ৮১ দশমিক ৭২ হেক্টর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যে পাহাড়ি জমির পরিমাণ ৫৯ দশমিক ৫ হেক্টর এবং সমতল জমির পরিমাণ ২২ দশমিক ২২ হেক্টর। বাংলাদেশের প্রায় এক-দশমাংশ এলাকাজুড়ে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি ভূমির সুষ্ঠু চাষাবাদ ও ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন-পূর্বক জুম চাষের পরিবর্তে স্থায়ী চাষাবাদ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করাই গবেষণা কেন্দ্রটির মুখ্য উদ্দেশ্য।
এ কেন্দ্রটি পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন ফলের আবাদ, যেমন— বারি মাল্টা-১, বারি আম-৩, বারি কমলা-২; মসলাজাতীয় ফসলের আবাদ, যেমন— আদা, হলুদ, পেঁয়াজ, গোলমরিচ, তেজপাতা; বিভিন্ন প্রকার শাকসবজির আবাদ, কফি চাষ, অল্প সেচে গম চাষ, শীতকালীন শাকসবজির (টমেটো, ফুলকপি) বীজ উৎপাদন ইত্যাদির মাধ্যমে যেভাবে সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে, তেমনি মুখোমুখি হচ্ছে নানা সমস্যার। এখানকার প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভূমিক্ষয়, যার জন্য জুমচাষ, কচু ও আদা-হলুদ চাষাবাদ এবং বনবৃক্ষ নিধন ব্যাপকভাবে দায়ী।
এছাড়া দিন দিন মাটির উর্বরতা হ্রাস, রবি এবং খরিপ-১ মৌসুমে খরা সমস্যা, খরিপ-২ মৌসুমে আগাছা ও গুল্মের দ্রুত বৃদ্ধি এবং অধিক মাত্রায় পোকামাকড় ও রোগের প্রাদুর্ভাব কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করছে। আরো জানা যায়, এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংকট থাকায় লো ভোল্টেজের কারণে ল্যাবরেটরিসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছিল না। এছাড়া কেন্দ্রটি পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের যথেষ্ট ব্যবস্থার অভাবে পাহাড়ি ঢলে গবেষণা ও নার্সারির একটি অংশ প্লাবিত হয়, যা তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করছে।
গবেষণা কেন্দ্রটি পাহাড়ি এলাকায় সেচের সমস্যা সমাধানে কিছু প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যার মধ্যে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার অন্যতম। এটি একটি পরিবেশ সহায়ক সেচ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে দুই পাহাড়ের পাদদেশে পাকা বাঁধ দিয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয় এবং শুকনো মৌসুমে ওই পানি দিয়ে সেচ কার্য পরিচালনা করা হয়।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ি কর্তৃক গবেষণা এলাকায় মোট আটটি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার তৈরিও করা হয়েছে। প্রযুক্তিটি স্বল্প খরচের কারণ এর মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার থেকে লো-লিফট পাম্প ব্যবহারের মাধ্যমে পাহাড়ের উঁচুতে পানি উত্তোলন করা যায়। এছাড়া ছড়া ব্যবস্থাপনার (ছড়ায় ড্যাম, ব্যারেজ দিয়ে) মাধ্যমেও পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
জেলা লাইভস্টক কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র পরিসরে লাইভস্টক খামার রয়েছে। এখানে দেশী মুরগির চাহিদা রয়েছে কিন্তু অবকাঠামো সমস্যা, ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি পর্যাপ্ত না থাকায় এর বিকাশ হচ্ছে না। বিসিক প্রতিনিধি জানান, উৎসাহী উদ্যোক্তার অভাবে শিল্প-কারখানার বিকাশ হচ্ছে না। কৃষকদের কাছ থেকে জানতে পারি, তারা জেলা কৃষি অফিস ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে নিয়মিত কৃষিবিষয়ক পরামর্শ নিয়ে পাহাড়ি অঞ্চল উপযোগী ফলের চাষ করে উপকৃত হচ্ছে।
বিশেষ করে আম, কলা, আনারস, কাঁঠাল, পেঁপের ভালো আবাদ এবং শাকসবজির ভালো ফলন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। তবে পানির অভাবে সেচকার্যে বিঘ্ন ঘটায় আশানুরূপ ধানের ফলন হচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেন। তাদের মতে, বৃষ্টির পানি ছাড়া সারা বছর তেমন পানি পাওয়া যায় না। ক্ষান্তিপুরের গড়গয্যাছড়ি এলাকায় মাল্টা বাগান এলাকা পরিদর্শনে গেলেও তারা পানির অপর্যাপ্ততার কথা বলেন।
বান্দরবান প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা তুলনামূলক ভালো হলেও হাই স্কুলের অবস্থা এখনো আশানুরূপ নয়। জেলার আটটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০৯টি পদ খালি রয়েছে।
এ অঞ্চলের কৃষিতে বৈচিত্র্য আছে। এ অঞ্চলের মাটি, আবহাওয়া এবং জলবায়ু মাল্টা, কমলা, কুল, লেবু ও বাতাবিলেবু চাষের উপযোগী। আদা, হলুদ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এ অঞ্চলের রুমা, থানচিতে ভালো কফি উৎপাদন হয়। ভারতের মিজোরাম থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এখানকার কফির বীজ নিয়ে যায় এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডিং করে বাংলাদেশেই রফতানি করে।
মিজোরাম-বাংলাদেশ বর্ডার ঘিরে সড়ক জনপথ গড়ে তোলা সার্বিক বিবেচনায় খুবই প্রয়োজন। জেলার মোট আবাদযোগ্য জমি ৪২ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, নিট ফসলি জমি ৩৫ হাজার ৫২০ হেক্টর, জমি ব্যবহারের ঘনত্ব মাত্র ৬৬ শতাংশ এবং ফলবাগান ৪৫ হাজার ৮৬৬ হেক্টর। জেলায় কোনো গভীর নলকূপ নেই, অগভীর নলকূপ ১৪২টি এবং পাওয়ার পাম্প ১ হাজার ৫৩২টি। কিছু সমস্যা যেমন— ফল প্রক্রিয়াজাতের কোনো কারখানা না থাকায় উৎপাদন মৌসুমে কৃষকরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না, শুষ্ক মৌসুমে সেচ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা ও পানির স্তর ক্রমে নিচে নেমে যাওয়া, দ্রুত পচনশীল ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকা ইত্যাদির সমাধান করা হলে জেলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
এ অঞ্চলে দেশী গরু পালনের প্রবণতা বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে ভেড়া পালন জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে দুর্গম রাস্তা, জীবজন্তুর বেশি রোগবালাই এক্ষেত্রে প্রধান বাধা। এ অঞ্চলে বর্তমানে কাপলান তুলা চাষ হচ্ছে, পাহাড়ি তুলা চাষের রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে তুলার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটানো সম্ভব। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় বনায়ন প্রকল্প নিতে দেরি হচ্ছে, যার ফলে এ অঞ্চলের বিশাল বনভূমিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
এ জেলায় মাছের বার্ষিক চাহিদা (৫ হাজার ৪১২ টন) ও বার্ষিক উৎপাদন (২ হাজার ৩২৬ দশমিক ৭৩ টন) এর মধ্যে ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন মত্স্য চাষ, যেমন— জুনে ফ্ল্যাশ ফ্লাডের সমস্যা মোকাবেলা, মাছের খাবারের দাম কমানো এবং দপ্তরগুলোর মধ্যে আন্তঃসমন্বয় ইত্যাদি। জেলার ৩ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৯০ হেক্টরের মোট পানিয়তনের যুগোপযোগী ব্যবহার পাহাড়বাসী এবং দেশের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কাপ্তাই বাঁধ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত ও কর্ণফুলী নদী ঘিরে সৃষ্ট কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্মিত একটি বাঁধ। কাপ্তাই হ্রদের আয়তন ৭২৫ বর্গকিলোমিটার, এর মধ্যে জলে ভাসা জমির পরিমাণ ৫১ হাজার ৫৫৪ একর, পানিবেষ্টিত গড় আয়তন ৫২৪ দশমিক ৭ হেক্টর, স্বাভাবিক জলায়তন ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর, সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৬ মিটার এবং বাঁধের দৈর্ঘ্য ৬৭০ দশমিক ৬ মিটার। ১৯৬২ সালে নির্মিত বৃহত্তম এ বাঁধটির মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এ বাঁধের সঞ্চিত পানি ব্যবহার করে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানি সংরক্ষণ করে প্রতিদিন প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সম্প্রতি এ পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন দুটি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। কাপ্তাই এলাকার স্থায়ী অধিবাসীরা পানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে তাদের বাড়িঘর এবং চাষাবাদযোগ্য জমি হারালেও এর মাধ্যমে নির্মিত কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আর্থসামাজিক গুরুত্ব অনেক।
কারণ এ পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত স্বল্প মূল্যের বিদ্যুত্শক্তির কারণে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থাপন ও সম্প্রসারণ গতিশীল হচ্ছে। বিদ্যুতের সহজলভ্যতার কারণে পানি উত্তোলনের মাধ্যমে বিপুল এলাকায় সেচ সুবিধা অর্জনও সম্ভব হয়েছে। পানিধারটি চট্টগ্রাম শহর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ আশপাশের অঞ্চলকে বন্যার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে চলেছে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদ কেন্দ্র করে যে মত্স্য শিল্প গড়ে উঠেছে, তা ওই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে চলেছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে অদ্যাবধি মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশন কাপ্তাই হ্রদের মত্স্য উৎপাদন, সংরক্ষণ আহরণ ও বিপণনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে আসছে। সংস্থাটি হ্রদে উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছ চাষ, হ্রদে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, মাছ আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়া এ সংস্থা মাছ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদ মত্স্যসম্পদ আহরণে কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কিছু সমস্যা হচ্ছে— অবৈধ জাঁক, ক্রিক/গোনায়বাঁধ অথবা জালের ঘের, হ্রদের আয়তন হ্রাস এবং নাব্যতা হ্রাস। উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে মাছের উৎপাদন হেক্টরপ্রতি মাত্র ১৩৯ কেজি, যেখানে পুকুরে মাছের উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ৪ হাজার ৬০০ কেজি। মিঠাপানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে মাত্র ৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তাছাড়া ১৯৬০-৬৫ সালে কাপ্তাই হ্রদে রুইজাতীয় মাছের উপস্থিতি ছিল ৮০-৮৫ শতাংশ; বর্তমানে যা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ সব সমস্যা সমাধানে বিএফডিসি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— কাপ্তাই হ্রদের মত্স্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য সাতটি অভয়াশ্রমে নিরাপত্তা প্রদান, জাঁক প্রতিরোধে অভিযান, বন্ধকালীন অবৈধ মত্স্যসম্পদ আহরণ ও বিপণন প্রতিরোধ, পোনা মাছ অবমুক্তকরণ ইত্যাদি। এছাড়া সংস্থাটি কাপ্তাই হ্রদ মত্স্যসম্পদ উন্নয়নে কিছু করণীয় নির্ধারণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে— হ্রদের বেথিমেট্রিক জরিপ করা, সব সংস্থার মধ্যে আন্তঃসমন্বয় বৃদ্ধি, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, নাব্যতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ, কাপ্তাই হ্রদের পাহাড়ি গোনা বা ক্রিকে রুই বা কার্প-জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ করে কাপ্তাই হ্রদের উৎপাদন বৃদ্ধি, হ্রদের নির্ধারিত স্থানে খাঁচায় মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদি।