পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশবিরোধী কার্যক্রমে তৎপর সিএইচটি কমিশনকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে?

Related imageপার্বত্য চট্টগ্রামে দেশবিরোধী কার্যক্রমে তৎপর সিএইচটি কমিশনকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে?
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছে সিএইচটি কমিশন নামে একটি আন্তর্জাতিক সংঘ; যেটা সরাসরি ইহুদীসংঘ (জাতিসংঘ) থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ থেকে তিন পার্বত্য জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই সিএইচটি কমিশনে ইহুদীসংঘের বেশ কয়েকজন সদস্য সক্রিয়, যাদের নামে ইতঃপূর্বেও বিভিন্ন দেশে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তথা ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করে দেশ বিভক্ত করার রেকর্ড আছে। এদের মধ্যে মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ, এরিক এভাব্যুরি, লারস অ্যান্ডারস বায়ার, এলসা স্টামাটোপৌলৌ, হারস্ট হাননুমের নাম উল্লেখযোগ্য।
যেমন- মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ। সে এর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে ইস্ট তিমুরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কাজ করেছে। এছাড়া দালাইলামার সাথে মিলে চীন থেকে তীব্বতকে পৃথক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মূলত, মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ’ একটা সিআইএ’র এজেন্ট।
এরিক এভাব্যুরি। সে হচ্ছে সিএইচটি কমিশনের কো-চেয়ারম্যান, ব্রিটিশ আইন সভার সদস্য। তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত পূর্ব-তিমুর এবং দক্ষিণ সুদান পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পেছনে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ রয়েছে।
এরা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলকে ইস্ট তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো একটি পৃথক খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রে সক্রিয় রয়েছে। তাদের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশেও তাদের এজেন্ট রয়েছে। এদের প্রধান হচ্ছে কথিত সুশীল সুলতানা কামাল। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছে খুশি কবিরের মতো ইসলামবিদ্বেষী মহিলা; যে-কিনা চাকমা রাজা দেবাশীষের পারিবারিক আত্মীয়। এই দেবাশীষের বাবা ত্রিদিব রায় ছিলো চাকমাদের মধ্যে রাজাকার, সেও জীবিতকালে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিলো।
সিএইচটি কমিশনের সদস্যদের খোঁজ নিলে প্রত্যেকের নামেই এমন বহু রেকর্ড পাওয়া যাবে।
এদের ব্যাপারে সবকিছু জানার পরেও সরকার ও দেশের উচ্চ আদালত যদি এই সিএইচটি কমিশনকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এবং এসব এজেন্টদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা না নেয়, তবে জাতির কাছে এটাই সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হবে যে, সরকার ও ‘জাতির বিবেক’ খ্যাত আদালতও স্বদেশবিরোধী।