উপজাতি মেয়েরা পদে পদে বঞ্চিত

উপজাতি মেয়েরা পদে পদে বঞ্চিত
Image result for বন*গারো সম্প্রদায় ব্যতীত অন্যান্য উপজাতি সম্প্রদায় পিতৃতান্ত্রিক বিধায় তাদের রীতিনীতি অনুযায়ী পিতার সম্পত্তির উপর নারীদের অধিকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুরক্ষিত নয়।
*অধিকাংশ উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী নারীদের পিতা-মাতা ও স্বামীর সম্পদের মালিকানায় উত্তরাধিকারের কোন পদ্ধতি নেই বিধায় উপজাতি নারীরা সম্পত্তির অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
*প্রায় সকল উপজাতি সম্প্রদায়ের বিবাহ বন্ধনের ক্ষেত্রে নারীদের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে শুধুমাত্র অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে পাত্রস্থ করা হয়।
*কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবারের অভিভাবকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সাথে কোন মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তাকে পরিবার ও সমাজচ্যুত করা হয়।
*বিবাহের নিবন্ধন না থাকায় বর্তমান শিক্ষিত উপজাতি যুব সমাজের মধ্যে একাধিক বিবাহ করার প্রবণতার পাশাপাশি পূর্বের স্ত্রীকে অস্বীকার ও ভরণ পোষণ সঠিকভাবে প্রদান না করার ঘটনা ঘটছে।
উপজাতি নারীরা চরমভাবে অবমূল্যায়িত হলেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিতে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাহস পান না। সমাজ তাদের একেবারেই সহযোগিতা তো করেই না বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
*তাই বাধ্য হয়ে তাদেরকে সাম্প্রদায়িক প্রথা এবং সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী স্থানীয় হেডম্যান ও কারবারীর করা বিচারের রায় অমানবিক হলেও মাথা পেতে মেনে নিতে হয়।
*আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক উপজাতি সংগঠন এর চাপে উপজাতি মেয়েরা সঠিক বিচার পাওয়া তো দূরের কথা বরং তাকে অপমানজনক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়, এমনকি বিষয়টি যাতে চাপা থাকে সেজন্য মেয়ে এবং মেয়ের পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি প্রদর্শনও করা হয়।
*কোন কোন ক্ষেত্রে প্রেম বা অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি ধরা পড়লে সমাজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি শুকর/বন্য অথবা এর মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করে, ছেলে এবং মেয়েকে জুতার মালা পরিয়ে জনসম্মুখে ঘোরানো হয় যা বর্তমানে প্রেক্ষাপটে সচেতন সমাজে কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
*কোনো কোনো সমাজে ধর্ষণের অপরাধে প্রথাগত আইনে পুরুষকে একটি শুকর জরিমানা করা হয়। পরে সেই শুকর জবাই করে সমাজপতিরা উৎসব করে খায় এবং শুকরের রক্ত ছড়িয়ে দিয়ে পাড়া পবিত্র করা হয়। এতে যেসব যুবকের অধিক সম্পদ আছে তারা এই অপরাধের জন্য শুকর দিয়ে পার পেয়ে গেলেও মেয়েটি কিছুই পায় না।