সুলতান মাহমুদ গজনবী জন্ম ৯৭১ সালের ২ নভেম্বর, ৩৫৭ হিজরি ১০ ই মহররম ।
যার নাম সুনলে হাজার বছর পরে আজও মূর্তি পুজারি হিন্দুদের গায়ে কাঁটা দেয়, কলজা কেপে উঠে । ইতিহাসে যিনি আখ্যা পেয়েছেন "মূর্তি সংহারক" নামে।
লেখক এনায়েতুল্লাহর "সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিজান" বইএর ১ম খণ্ডের ১৬১ পৃষ্ঠায় রাজা জয়পালের উজির উদয় সংকর মোসলমানদের উদ্দেশে রাজা জয়পাল কে যেই পরামর্শ গুলো দিয়েছিল নিচে সেই গুলো হুবাহু তুলে ধরা হোল।
"আমাদের কে মুসলমানদের বুকের আগুন নিভাতে হবে। আর এই আগুন হোল এদের ইমান আর বিসসাসের আগুন। গাছের পাতা ঝরে পরলে গাছ মরে না, গাছের সিকর কেটে দিতে হয়।
আগুন জেলে আগুন নিভানো যাবে না। পানি ঢালতে হবে । আপনাকে আগুনের মত তপ্ত মাথায় নয় ঠাণ্ডা মাথায় পানি ঢালার বেবস্থা করতে হবে। বলল উজির উদয় সংকর।
এখান কার মোসলমানদের জুলুম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানকার মুসলিম নেতাদের উপহার উপখকন দিয়ে বাগে আনতে হবে। তাদের ইজ্জত/ ইকরামের রাতের দরবার ও সূরা গানের আসরে দাওয়াত করে মদ শূরা ও নারীর সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট করে ঈমানের জ্যোতি হৃদয় থিকে মুছে দিতে হবে। অতিতের কথা আমার মনে পরে । মুহাম্মাদ বিন কাসেম ভারতের পশ্চিম উত্তর প্রান্তে ইসলামের বীজ বপন করেছিলেন । তার আগমনে অসংখ্য হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। ফলে আমাদের দেব দেবিদের প্রভাব ক্ষিন হয়ে আসে। বিন কাসেমের অবর্তমানে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা তাদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে তাদের পদানত করতে চেষ্টা করেছে। পক্ষান্তরে বিন কাসেমের অনুসারীরা কৌশোল প্রয়োগ করে তাদের সংস্কৃতিতে আমাদের কে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে । দেখা গেছে সাংস্কৃতিক কৌশোল টাই শক্তি প্রয়োগের চে বেশি ফল প্রসু হয়েছে । অভিজ্ঞতা বলছে মদ নারী আর ভোগ বিলাসিতা মুসলিম নেত্রিবর্গকে না প্রকৃত মুসলিম থাকতে দিয়েছে না হিন্দুয় রুপান্তরিত করেছে।
Image result for সুলতান মাহমুদ গজনবী
এক পর্যায়ে মোসলমানদের ইসলাম মসজিদের চার দেয়ালের ভিতরে গন্দিবদ্ধ হয়ে গেছে। এদের শারীরিক ভাবে শাস্তি দিয়ে বাগে আনা যাবে না। আত্মিক ভাবে এদের হত্তা করতে হবে। প্রেম, মহব্বত, ধোঁকা দিয়ে এদের সংস্কৃতি বিকৃতি করে দিতে হবে। এদের হৃদয়ের ক্যানভাছে আঁকতে হবে আমাদের ভোগবাদী সংস্কৃতির রঙ্গিন ছবি।"
নাউজুবিল্লাহ, পাঠক এই হোল আমাদের প্রতি হিন্দুদের ভাল বাসার কিছু নমুনা । আসলে মোসলমানরা ইতিহাস থিকে শিক্ষা নেয় না। বর্তমানে প্রশাসনে যেই হারে হিন্দু নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এর পরিনতি হবে খুব ই ভয়ংকর। যা সাধারন মানুষের ধারনার বাহিরে।