সম্মানিত দ্বীন ইসলাম-ই ছিল জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র চেতনা, কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা নয়।

Image result for ধর্মনিরপেক্ষতাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম-ই ছিল জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র চেতনা, কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা নয়।

বর্তমানে নাস্তিক আর ইসলামবিদ্বেষীরা ‘চেতনা’ শব্দের ব্যবহার করে অপপ্রচার করে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ নাকি ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার জন্য হয়েছে। তারা এ সকল ক্ষেত্রে একান্ত নিজস্ব মত ব্যক্ত করে থাকে । এরা বুঝতে চায় না যে গুটিকয়েক নাস্তিক আর ইসলামবিদ্বেষীর মত, ১৫ রিটকারীর মত বাংলাদেশের মত নয়, মুসলমানের মত নয়, জনগনের মত নয়। এরা জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেনা, জনগনের কাছে পরিত্যাজ্য। মিডিয়ায় টকশো’র মতই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের মত নয়, তা এরা জানে না, জানতেও চায়না।

আসলে প্রকৃত সত্য কি? মুক্তিযুদ্ধ কি ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য হয়েছিল নাকি ইসলাম এর জন্য ? তৎকালীন ৯৫ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশের মুসলমান কি নাস্তিক আর ইসলামবিদ্বেষী হবার জন্য যুদ্ধ করেছিলো? দেশের আপামর জনগণ কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে তাই বুঝে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অগণিত মানুষ কি আত্মাহুতি দিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের জন্য, জাতির ইসলাম ও মুসলিম পরিচয় মুছে ফেলার জন্যে?

ইতিহাস কি বলে ?
১. মুসলিম লীগ ১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগে পরিণত হয়। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে প্রস্তাবিত প্রথম মেনিফেস্টো হিসাবে জনাব শামসুল হক (যিনি আওয়ামী লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন) “মুল দাবী” শীর্ষক একটি পুস্তিকা পাঠ করেন। এতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয় “পাকিস্তান খেলাফত অথবা ইউনিয়ন অব পাকিস্তান রিপাবলিকস বৃটিশ কমনওয়েলথের বাইরে একটি স্বাধীন সার্বভৌম ইসলামী রাষ্ট্র হবে” গঠনতন্ত্রের ১০ নং ধারায় বলা হয় “জনগণের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান, তার উচ্চ নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় নীতিমালা বিস্তার করা”। [সুত্র- বদরুদ্দীন উমর, পুর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি থেকে উদৃত; আবু আল সাঈদ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস ১৯৪৯-১৯৭১, সাহিত্য প্রকাশ, ১৯৯৩, পৃঃ ১৯৭-২০০]।

কাজেই আওয়ামী লীগের জন্মের সময় ধর্মনিরপেক্ষতা নয় বরং সম্মানিত ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ও অঙ্গিকার ব্যক্ত করেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এমনকি সম্মানিত খিলাফতের আদলে দেশ পরিচালনার অঙ্গীকার ও ব্যক্ত করা হয়েছে।


২. ৭০ এর নির্বাচনি ইশতিহারে ধর্ম নিরপেক্ষতা ছিল কি না?
১৯৭০ সালের ৭ ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য ১৯৭০ সালের ৬ই জুন আওয়ামী লীগ ইশতেহার প্রকাশ করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল - নুহ উল আলম লেলিনের রচনা/সম্পাদনায় সপ্তম পেজের” মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করুন” অংশটুক লিখা রয়েছে- “৬-দফা বা আমাদের অর্থনৈতিক কর্মসূচী ইসলাম বিপন্ন করে তুলছে বলে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে সেই মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি শেষবারের মতো আহ্বান জানাচ্ছি। অঞ্চলে অঞ্চলে এবং মানুষে মানুষে সুবিচারের প্রত্যাশী কোনও কিছুই ইসলামের পরিপন্থী হতে পারেনা। আমরা এই শাসনতান্ত্রিক নীতির প্রতি অবিচল ওয়াদাবদ্ধ যে, কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত ইসলামী নীতির পরিপন্থী কোনও আইনই এ দেশে পাস হতে বা চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারেনা।” (মুজিবের রচনা সংগ্রহ, বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম ৮৪-৮৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
নির্বাচনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বেতার ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান, সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাসের সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারেন কেবল তারাই যাদের ঈমানই আদতে নাজুক আর ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফায়দা করে তোলার কাজে। অতএব আমরা যারা আল্লাহর মজলুম বান্দাদের জন্য সংগ্রাম করছি, তারা ইসলামের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা বরং ইসলামের বিধান মতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারই উমেদার, আর সে ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হলেন তারাই যারা ইসলাম বিপন্নের জিগির তুলে জনগণকে ধোঁকা দিতে চান।”

শেখ সাহেবের ভাষ্যমতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সম্মানিত ইসলাম উনার খিলাপ কাজ করে নাজুক ঈমান আর দুনিয়ার ফায়দার জন্য ইসলামকে ব্যবহার করেছে তা প্রতীয়মান হয়।


২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারেও সরকার পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ খিলাপ কোন আইন পাস হবেনা বলেই ক্ষমতা এসেছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ২০.২ অনুচ্ছেদে এই বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

অর্থাৎ ১৯৭০ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে মুসলমানের কাছে এই ওয়াদাবদ্ধ হয়ে যে, তারা ইসলামের খেলাপ কোন কাজ করবেনা। যার কারণে মুসলমান বিশ্বাস করে তাদের ভোট দিয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধর্ম নিরপেক্ষ বলে মিথ্যাচার করে তারা কি জানেনা আওয়ামীলীগ ইসলাম উনার দোহাই দিয়েই ১৯৭০,২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছে?

৩. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করার পর তাদের সংবিধান কমিটি কর্তৃক প্রণীত খসড়া সংবিধানের প্রস্তাবনায় তদানীন্তন “পাকিস্তানের মুসলমানদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে পবিত্র কুরআন শরীফ- পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে গড়ে তোলার” কথা স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছিলো। (দ্রষ্টব্য- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, ২য় খণ্ড, সংযোজন ১, পৃ.৭৯৩)। সেই খসড়া সংবিধানে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসাবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছিল- “(১) পবিত্র কুরআন শরীফ- পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী আইন পাস করা হবে না, (২) পবিত্র কুরআন ও ইসলামিয়াত শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে, (৩) মুসলমানদের মধ্যে ইসলামী নৈতিকতা উন্নয়ণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।” (দ্রষ্টব্য- ঐ,২য় খণ্ড,পৃ.৭৯৪)

৪. ১৯৭১ এর ১৪ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি যে নির্দেশাবলী প্রদান করা হয় তার শীর্ষেই “আল্লাহু আকবার” লিখা হয়। তারপর স্বাধীনতার প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করে বলা হয়, “------বাঙ্গালীর অপরাধ মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্ট পৃথিবীতে, মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশমত সম্মানের সাথে শান্তিতে সুখে বাস করতে চেয়েছে। বাঙ্গালীর অপরাধ মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশমত অন্যায়, অবিচার, শোষণ ও নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে এক সুন্দর ও সুখী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবার সংকল্প ঘোষণা করেছে। আমাদের সহায় পরম করুণাময় সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য। এ সংগ্রাম আমাদের বাঁচার সংগ্রাম। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা রেখে ন্যায়ের সংগ্রামে অটল থাকুন। স্মরণ করুন “মহান আল্লাহ পাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “অতীতের চাইতে ভবিষ্যৎ নিশ্চয় সুখকর।” বিশ্বাস রাখুন “মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী।” (দ্রষ্টব্য- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়, ১৯৮২, ৩য় খণ্ড, স্বাধীনতা ঘোষণার লক্ষ্য), পৃ.১৯-২২)


আল্লাহ আকবর, মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পথে চলা, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশ্বাস,মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্যের প্রত্যাশা ও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বক্তব্য- এ সবই ছিলো সেদিনকার মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মর্মকথা, স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শিক চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও ভাবাদর্শ।

৫. স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধকে ‘জিহাদ’ বলে প্রচার করা হতো। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ করে জিহাদ বলে প্রচার করা হতো। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের এক কথিকায় বলা হয়-“ওরা আমাদের সাথে যে ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, তা হচ্ছে ন্যায়ের বিরুদ্ধে অন্যায় কে প্রতিষ্ঠিত করার যুদ্ধ।কোরানের দৃষ্টিতে ওরা শয়তানের বন্ধু ও দোযখী। অতএব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য। ......অতএব, হে বাঙালী ভাইবোনেরা, আসুন আমরা অন্যায়কারী পশ্চিমা হানাদার পশু ও এদের পদলেহী দালাল কুকুরদের বিরুদ্ধে সার্বিক জেহাদ চালিয়ে আমরা আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হই। বিজয় আমাদের আমাদের সুনিশ্চত। “নাসরু-মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহান কারীব” (আবু রাহাত মোঃ হাবীবুর রহমান রচিত) [তথ্যসূত্র- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, পঞ্চমখণ্ড, পৃষ্ঠা- ২৮২-২৮৫]

৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা- ২৩২ পৃষ্ঠায় ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ কলকাতা বেতার স্টেশন থেকে বিশ্ববাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর একটি বক্তব্য প্রচার করা হয়। সর্বশেষে বঙ্গবন্ধু বলেন- গধু অষষধয নষবংং ুড়ঁ ধহফ যবষঢ় রহ ুড়ঁৎ ংঃৎঁমমষব ভড়ৎ ভৎববফড়স. ঔঙণ ইঅঘএখঅ. যার সোজা অর্থ- “এ মুক্তিসংগ্রামে মহান আল্লাহ পাক তোমাদের উপর রহমত করুণ এবং সাহায্য করুন। জয় বাংলা।“
৭. মুক্তিযুদ্ধ যে ইসলামের চেতনাই হয়েছিল তার অন্যতম প্রতিষ্ঠিত দলিল ১৯৭১ এর ৭ মার্চ এর শেখ মুজিবর রহমান সাহেবের ভাষন । যার কথা সবারই জানা। রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু বললেন “মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়াছি, রক্ত আরো দেব, বাংলাদেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ “।

এই পবিত্র শব্দের উপর ভিত্তি করেই লক্ষ লক্ষ মুসলমানেরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, শহিদ হয়েছেন। এই একটি মাত্র শব্দ-ই বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে।একজন মুক্তিযোদ্ধা ভাংগা রাইফেল কাধে নিয়ে পাকিস্থানী বাহীনির আধুনিক অস্ত্রের সামনে কোন বলে নিজের বুক পেতে দিয়েছেন এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই।

৮. মুসলমান উনাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়েই যে বাংলাদেশ তার প্রমান নাম না জানা লক্ষ লক্ষ মুসলমান ছাড়াও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত - ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জন বীরউত্তম, ১৭৫ বীর বিক্রম, ৪২৬ বীর প্রতীকদের অর্থাৎ মোট খেতাব প্রাপ্ত -৬৭৬ জন এর মাঝে মুসলিম হলেন -৬৭১ জন, বিধর্মী মাত্র -০৪ জন। সংখ্যা অনুপাতে মুসলিম হলেন -৯৯.২৬%। সুতরাং খেতাবপ্রাপ্ত শহীদের তালিকা অনুযায়ী এটাই প্রমানিত হয় যে যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে এবং ৩০ লক্ষ শহীদের মাঝে মুসলিমের অনুপাত ৯৯% এরও বেশী।যে দেশের ৯৯.২৬% ধর্মের লোক সে দেশ সৃষ্টির যুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব পেয়েছে সে দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ যারা বানাতে চায় তারা ইতিহাস সম্পর্কে গন্ডমুর্খ, বকলম।

৯. মুক্তিযুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন উনাদের শহীদ বলা হয়। যদি ধর্মনিরপেক্ষতার জন্যই যুদ্ধ হয় তাহলে শহীদ শব্দ আসে কি করে?
যে চেতনার সাথে দেশের তাবৎ জনগণ সংশ্লিষ্ট। যে প্রেরণা ও স্বপ্ন নিয়ে দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যেসব মহান উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছিল সেসব উদ্দেশ্যাবলীই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মর্মমূলে। যে গণচেতনা, যে গণআবেগ, যে গণআকাংখার সাথে সমষ্টিগতভাবে দেশের জনগণ সংশ্লিষ্ট, মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের বৃহত্তর জনগণের চিন্তা-চেতনায় যে মনোভাব লালিত তাই হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ধারক। কারো পক্ষ থেকে কোন কিছু জনগণের উপর আরোপ করলেই তা গণসমর্থিত, গণগ্রাহ্য হয়ে যায় না। বরং তা হবে আরোপিত ও চাপিয়ে দেয়া চেতনা। ইতিহাস থেকে প্রমাণিত সত্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ইসলামী চেতনায়, মুসলমান যুদ্ধ করেছেন ইসলাম পালন করার জন্যই। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বানাতে চায় তারা ধোকাবাজ, প্রতারক, দেশদ্রোহী, দ্বীনদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী, সংবিধানদ্রোহী।