এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখা’: ‘র’ এর কৌশলের সেকাল-একাল

এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখা’: ‘র’ এর কৌশলের সেকাল-একাল




‘২০০১ এ আওয়ামী লীগকে হারাতে জোট বেঁধেছিল র-আমেরিকা’।১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের মাধ্যমে জাতি জানতে পারল বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা।এতদিন এই ধরনের অভিযোগ কেবল ডানপন্থী ও ধর্মীয় মতাদর্শিক দলগুলো থেকে শোনা যেত। আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আসার কারণে এই দাবীর বিশ্বাসযোগ্যতা অস্বীকার করার সুযোগ আর থাকছেনা। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী দাবী করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে ‘র’।
উপরোক্ত মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই পর্যন্ত দুটো আর্টিকেল লিখেছেন ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক।সাংবাদিকদের মাঝে ধারণা প্রচলিত আছে যে সুবীর নিজেও র’অপারেটিভ হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। সুবীরের একটি আর্টিকেলে বলার চেষ্টা করেছেন যে, র’ কে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে আসলে তা নয়, বিশেষ করে জিয়া হত্যার ব্যাপারে, তাঁর বক্তব্য হচ্ছে রাজনৈতিক হত্যা ‘র’ এর স্টাইল নয়। এরপর তিনি র’ এর অপারেশনের স্টাইল বর্ণনা করেছেন। আরেকটি আর্টিকেলে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি আভাস দিতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে র’ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এবং দুটো প্রধান দলের সাথেই রয়েছে তাঁদের যোগাযোগ।
সুবীর ভৌমিকের আর্টিকেল থেকে জানা গেল ভারত কখনো  এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখার কৌশলে বিশ্বাসী না। আসলে এটাই দক্ষ কূটনীতির লক্ষণ। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব বা শত্রুতা বলতে কিছু নেই, আছে চিরস্থায়ী স্বার্থ। ভারত সেই নীতিই মেনে চলে। যাকে দিয়ে সেই স্বার্থ বেশি আদায় হবে, স্বার্থ বেশি রক্ষা হবে, অথবা স্বার্থ অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকির সম্মুখীন হবে তাঁকেই প্রাধান্য দিতে চায় ভারত।
1
পাঠকদের এখানে মনে করিয়ে দেয়া দরকার যে, ১৯৭৫ সালে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যার পর ভারতের মন্তব্য ছিল ‘Its an internal matter’ ইত্তেফাক জানায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সময় সেন আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরেই রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাৎকার করে বলেন ঢাকা-দিল্লী মৈত্রী ও সহযোগিতা অক্ষুণ্ণ থাকিবে‘।অর্থাৎ, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজের দেশের স্বার্থকে যথা সম্ভব রক্ষা করে চলা দক্ষ কূটনীতির কাজ।ভারত এটাই করে আসছে। সেজন্য তাঁরা এই পক্ষ-ঐ পক্ষ সব পক্ষেই কাজ করে। সুবীর ভৌমিকের সাম্প্রতিক লেখায় সেটাই উঠে এসেছে।
2
ইতিহাস আমাদের জানায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারত এই কৌশল নেয় মুজিব বাহিনী তৈরির মাধ্যমে। মুজিব বাহিনী স্বাধীনতার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত একটি অধ্যায়। এই বিষয়ে যুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের অন্যতম উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম জানাচ্ছেন;
”ভারতের ২টি স্থানে মুজিব বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জেনারেল উবান এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। আজ পর্যন্ত আমি বুঝে উঠতে পারছি না মুজিব বাহিনী নামে এই আলাদা বাহিনীর কোন প্রয়োজন ছিল কি না। তবে যদ্দুর জেনেছি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”-এর সাথে শেখ মনির লবি ছিল। তাকে বুঝানো হয় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সে সময় নেতৃত্ব দিতে অসমর্থ হবে। অথবা এই নেতৃত্ব কোন প্রকার আপোষ করতে পারে। তাকে আরো বুঝানো হয়, যে যুব শক্তি স্বাধীনতার উন্মেষ ঘটিয়েছে, তারাই কেবলমাত্র সঠিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। প্রয়োজনে এই নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারবে। তাছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হলে নব্যশক্তি চীন বা নকশাল পন্থীদের স্বাধীন ও সার্বভৌম সরকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে। পরে আরো জেনেছি, ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় যার অর্থ হলোঃ ‘এক বাক্সে সকল ডিম না রাখা’।” 
অর্থাৎ, স্বাধীন হওয়ার আগেই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সন্দেহের বীজ রোপিত হয়।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই বীজই জাতীয় দ্বিধাবিভক্তির সূত্রপাত করে,যা থেকে আমরা আজও বের হতে পারিনি। ভারতের জন্য এখানে হারানোর কিছু নেই।নিজের মধ্যে ভাতৃঘাতি সংঘাত করে আমাদের জাতীয় যুবশক্তির অপচয় ঘটেছে, খুন হয়েছে শত শত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশী প্রাণ।
এই এক বাক্সে সকল ডিম না রাখার ভারতীয় কৌশল আবার প্রয়োগ হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। যার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মিলে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য কতটা সঠিক সেটা বিবেচনা সাপেক্ষ। প্রধান দুই দলের মধ্যে মৌলিক কোন তফাত না থাকলেও সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে বাংলাদেশীরা প্রত্যেক ৫ বছর অন্তর নতুন আশায় বিপরীত দলকে নির্বাচিত করে। সেক্ষেত্রে বহিঃশক্তির প্রভাব ২০০১ সালে সত্যিকার অর্থে কতটা ছিল সেই প্রশ্ন পাঠকের বিবেচনার জন্য জমা থাকল। শেখ হাসিনার ‘র’ বিষোদগারের নেপথ্যে কারণ খুঁজতে গিয়ে সুবীর ভৌমিক লিখেন;
হাসিনা কখনো বিএনপির প্রতি বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠাকারী ভারতের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্র এবং ‘র’ কর্মকর্তাদের ক্ষমা করেননি। আওয়ামী লীগ এখনো মিশ্রের ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখার’ কথাটি মনে রেখেছে। মিশ্র কথাটি বলেছিলেন ২০০১ সালে বিএনপির জয়ের পর খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানাতে ঢাকা ছুটে গিয়ে। মিশ্র ব্যক্তিগত ইগোর কারণে শেখ হাসিনাকে ‘ঠিক করতে’ বিএনপি’র সাথে র’কে দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করেন।
মি. ভৌমিকের মতে ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখবো না’ মানে আওয়ামী লীগের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে কিন্তু অন্য দলের সাথেও ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ভারত। আর এ কারণেই স্বাভাবিকভাবে বিএনপি’র সাথে একটি যোগাযোগ গড়ে উঠে তৎকালীন বিজেপি সরকারের। এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।৭ বিবিসি বাংলা জানায়;
‘অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ‘র’-এর অতীত কর্মকাণ্ডের সমালোচনার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখাতে চান যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিও অতীতে ভারতের সহায়তা নিয়েছিল।’
এর মাধ্যমে বিএনপি’র ভারত বিরোধী ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একই সাথে র’কে অতীত ভূমিকার ব্যাপারে শাসিয়ে দেয়াও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল  মনে করেন;
“শেখ হাসিনার সাথে ভারতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এতোই ভালো সম্পর্ক যে ‘র’ একটু সমালোচনা করলে ওনার কিছুই আসে যায় না । এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা আত্মবিশ্বাসী। ওনার ভালো করেই জানা আছে, ভারতের কাছে কখনোই আওয়ামী লীগের তুলনায় অন্য কোন অধিকতর বিকল্প নাই।”৯  
অর্থাৎ, র’ ভারতের জাতীয় স্বার্থে দুই পক্ষকেই ব্যবহার করে, সুযোগ বুঝে দুই পক্ষেরই আপন প্রমাণ করে। হয়ত এক পক্ষকে একটু বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রশ্ন জাগতে পারে র’ কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার। সেই বিষয়েও আমাদের জানাতে চেয়েছেন র’ অপারেটিভ সুবীর ভৌমিক।তিনি লিখেন;
Every intelligence agency has a style…The RAW believes in winning over or managing foreign leaders, getting them to become friends of India and its preferred way of dealing with a hostile foreign leader is either to discredit and defame him (this psyop is RAW’s specialty…) and to pull the rug from its feet by encouraging coalitions that can lead to electoral defeat…. it is true the RAW knows better than Chinese intelligence….how to manipulate elections. The Chinese know much about many things but not elections for obvious reasons. ১০
অর্থাৎ, র’ জাতীয় নেতাদেরকে জয় করতে চেষ্টা করে, তাঁদেরকে ভারতের বন্ধু বানাতে চেষ্টা করে।সেটা সম্ভব না হলে সেই নেতার সম্মানহানি বা তাঁর নামে কলঙ্ক ছড়াতে চেষ্টা করে। এই ধরণের মনস্তাত্ত্বিক অপারেশনে রয়েছে র’ এর দক্ষতা।এবং কোন দলের শক্তিকে ক্ষয় করতে নির্বাচনে পরাজয়ের লক্ষ্যে জোট গঠনে উদ্বুদ্ধ করে। এটা সত্য যে, র’ চীনা গোয়েন্দা সংস্থার চেয়ে ভাল জানে কিভাবে নির্বাচনকে সুনিপুণভাবে প্রভাবিত করা যায়।চীনারা হয়ত অনেক বিষয়েই বেশি জানে কিন্তু অবশ্যই নির্বাচনের বিষয়ে নয়।
উপরোক্ত মন্তব্যের মাধ্যমে সুবীর ভৌমিক আবারো ভারতীয়দের সেই পুরাতন টোপ ফেলেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্যে।সব ঠিকঠাক থাকলে হয়ত ২০১৯ সালে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন হবে।সুবীর রাজনৈতিক দলগুলোকে র’ এর নির্বাচন সংক্রান্ত দক্ষতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে যেই বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটা হচ্ছে এই-রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জয়ী হতে ভারতের ধারস্থ হয়।নিজেদের অভ্যাসসুলভ প্রতিযোগিতায় হয়ত তাঁরা এখন তাই করবে। কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা ভিন্ন।
চীন আমাদের এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।তাঁর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দুটো সাবমেরিন পেয়েছে।আর তাই দিল্লি এই অঞ্চলে নিজেদের হেজিমনি আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ভীত।মালদ্বীপ দিল্লির আয়ত্বের বাহিরে।কলম্বো অর্থনৈতিক কারণে চীন মুখি হচ্ছে, যদিও শ্রীলংকায় বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনতে দিল্লি বড় ধরণের ভূমিকা পালন করেছিল। নেপালে চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে।ভুটানের মত ছোট দেশও নিজেদের অবস্থানে সমতা আনতে চাচ্ছে।এই অবস্থায় মোদী প্রশাসন কোন ভাবেই বাংলাদেশকে তাঁদের করায়ত্তের বাহিরে যেতে দিতে পারেনা।সেজন্যই তাঁরা ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আসন্ন নিরাপত্তা চুক্তি করতে সচেষ্ট ১১
ভারতের আভ্যন্তরীণ অবস্থা এতটাই নড়েবড়ে যে, অন্য দেশকে কার্যকরভাবে প্রভাব বিস্তার করার নৈতিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক অবকাঠামোগত শক্তি কোনটাই নেই।সেজন্য তাদের ভরসা হচ্ছে সর্বদা তৃতীয় পন্থা।সেটা হচ্ছে, punching beyond weights, অনেকটা সুপার-পাওয়ার ধরণের শক্তি দেখানো।দেখানোর চেষ্টা করে যে তারা যাঁদের চায় তাঁরাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। নেপালে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। শ্রীলংকায় কিছুটা সফল হয়েছে দাবী করা হলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। যদিও এমন বার্তার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে র’ সাফল্যের সাথে রাজনীতিকে বিভিন্ন কৌশলে (দুই পক্ষে কাজ করে)অফিস, প্রেস ক্লাব, টক শো এবং নেতাদের ড্রইং রুমের টেবিলে সীমাবদ্ধ করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের গত ৭০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারণ হবার আগে ফলাফল নির্ধারণ হয় সবার আগে রাজনীতির মাঠে । মাঠে যারা জয়ী হয়, নির্বাচনেও তাঁরা জয়ী হয়েছে। জয়ী হবার পর সকল বহিঃশক্তি অভিনন্দন জানিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসে।এর ব্যতিক্রম হলে নোতুন ইতিহাস রচিত হবে।
নোটঃ
১)  ২০০১ এ আ. লীগকে হারাতে জোট বেঁধেছিল র-আমেরিকা: হাসিনা, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ১১ মার্চ, ২০১৭
(২)Dhaka Tribune, Rizvi: RAW was behind Zia’s death, March 16, 2017, http://www.dhakatribune.com/bangladesh/politics/2017/03/16/rizvi-raw-behind-zias-death/
৩) The Bangladesh Times, August 17, 1975
৪) ইত্তেফাক, ২১ আগষ্ট, ১৯৭৫
৫) ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এর সাক্ষাৎকার, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র, সম্পাদক: হাসান হাফিজুর রহমান, ১৫তম খণ্ড
৬) সুবীর ভৌমিক, শেখ হাসিনার ‘র’ বিষোদগারের নেপথ্যে, South Asian Monitor, ১৬ মার্চ ২০১৭, http://bn.southasianmonitor.com/2017/03/16/5426
৭)প্রাগুক্ত
৮) বিবিসি বাংলা, হঠাৎ করে শেখ হাসিনা কেন ‘র’-এর সমালোচনায় মুখর, ২২ মার্চ, ২০১৭, ঢাকা http://www.bbc.com/bengali/news-39355724
৯) প্রাগুক্ত
১০) Subir Bhaumik, The ghosts of RAW, bdnews24, 17th Mar 2017,    http://opinion.bdnews24.com/2017/03/17/the-ghosts-of-raw/
১১) Farah Masum, Will Pranab dispel differences between Modi and Hasina? South Asian Monitor, March 20, 2017