বান্দরবানের ২ শতাধিক উপজাতীয় সন্ত্রাসী যুবক মিয়ানমারে!

Image result for পার্বত্য চট্রগ্রাম কি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের পথে?বান্দরবানের ২ শতাধিক উপজাতীয় সন্ত্রাসী যুবক মিয়ানমারে!
বান্দরবান জেলার ২ শতাধিক পাহাড়ি সন্ত্রাসী যুবক দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নেই। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মায়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যায় অংশ নিতে এসকল যুবক বান্দরবানের অরক্ষিত পাহাড়ি সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে পাড়ি দিয়েছে। মায়ানমার সেনাবাহিনী ও রাখাইনের হত্যাকারী যুবকদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ, নির্যাতনসহ মানবিক বিপর্যয়ের বর্বর কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে।
জানা গেছে, লামা উপজেলার ছাগলখাইয়া মার্মা পাড়ার ২ যুবক ১ মাসের অধিক মায়ানমারে অবস্থান করছে। একইভাবে সাবেক বিলছড়ির একাধিক যুবকও রয়েছে।
লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানচি, রোমা, রোয়াংছড়ি, বান্দরবানের প্রায় ২ শতাধিক যুবক বর্তমানে নিজ এলাকায় নেই। এনজিওতে চাকরি করে বা লেখাপড়ার জন্য বাহিরে রয়েছে এমন প্রচার করে তারা গোপনে অবৈধভাবে মায়ানমারে গমন করেছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এলাকায় অনেক পাহাড়ি যুবক নেই। বেড়ানোসহ বিভিন্ন কথা বলে বাহিরে আছেন মর্মে এলাকায় তাদের আত্মীয় স্বজন প্রচার করছে।
নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত ছেমনআরা জানান, মায়ানমার সেনাবাহিনী বৌদ্ধ সন্ত্রাসী যুবকদের গান (অস্ত্র) দিয়েছে। সেনাবাহিনীর দেওয়া অস্ত্র দিয়ে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী যুবকেরা তার স্বামীকে হত্যা করেছে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনীর সাথে থাকা অনেক সন্ত্রাসী যুবক মায়ানমারের নয়।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেক পাহাড়ি যুবক এলাকায় না থাকলেও তাদের পিতা-মাতার চিন্তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাদের পরিবারের অনেক সদস্যই মায়ানমারে অবস্থানের বিষয়টি জানে। স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা চলছে। ভয়ে কেউ মুখ খোলছে না।
পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মায়ানমারে গমন করে সেখানকার সেনাবাহিনীর সাথে তারা হাত মিলিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বর নির্যাতনের অংশ নিয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তারাও বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে যদি ঘটনাটি সত্য হয়ে থাকে তাহলে উদ্বেগের বিষয়।


স্থানীয় সচেতনমহল এ বিষয়টি গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দাবি তুলেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়টি অনেকদিন পর তাদের নজরে এসেছে।