গত ২ -৪ জুলাই ২০১৫, Unrepresented Nations and Peoples Organisation (UNPO)-এর সাধারণ সভা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রুসেলস এ অনুষ্ঠিত হয় এবং জেএসএস-সন্তু গ্রুপের নেতা উষাতন তালুকদার এবং মঙ্গল কুমার চাকমা উক্ত সাধারণ সভায় যোগদান করেন।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, উক্ত সাধারণ সভায় সাংসদ উষাতন তালুকদারকে UNPO-র প্রেসিডেন্ট পদ দেয়ার প্রস্তাব হয়। কিন্তু সন্তু লার্মার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাধার কারণে উষাতন তালুকদার UNPO-র প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
প্রেসিডেন্ট-র পদ জুম্ম জাতির জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে কিন্তু সন্তু লার্মা চান না যে উষাতন তালুকদার তার থেকে বেশি বড় নেতা হোক। এ বিষয় নিয়ে উষাতন তালুকদার এবং মঙ্গল কুমার চাকমা সন্তু লারমাকে সরানোর পরিকল্পনা করেন। জেএসএস-সন্তু গ্রুপের আরো অনেক নেতা তাদেরকে সমর্থন করছেন।
নয়া দিল্লিতে বসবাসরত জেএসএস-সন্তু গ্রুপের পররাষ্ট্র মন্ত্রী করুণালংকার ভিক্ষু chtnews.com-কে দেয়া একটি নতুন সাক্ষাত্কারে বলেন, “উষাতন তালুকদারকে (সন্তু লার্মার) UNPO-র প্রেসিডেন্ট হতে দেয়া উচিত ছিল এবং UNPO-র মাধ্যমে উষাতন বাবু অনেক প্রকাশ (exposure) এবং প্রবেশ (access) করার ক্ষমতা পেতেন। অবশ্য সাংসদ হিসাবে তিনি অনেক এক্সপোজার পাচ্ছেন এবং UNPO-র প্রেসিডেন্ট হলে আরো ভালো হতো”।
সন্তু লার্মার বেকুবি এবং জ্ঞানহীনতাকে ইঙ্গিত করে করুণালংকার ভিক্ষু বলেন, “উষাতন তালুকদার UNPO-র প্রেসিডেন্ট হলে ইউরোপে লোকের সাথে কথা বলতে অনেক সুযোগ পেতো। পৃথিবীর সম্পর্কতো অনেক বদলে গেছে। লম্বা করে বলতে গেলে বাংলাদেশকে কে কি করছে সবাই জানে। তবুও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা আমেরিকা সরকার ভারত সরকারকে কেন কনো চাপ দিচ্ছে না? চাপ দেয়া হচ্ছে না কারণ চীনকে চাপ দেয়ার জন্য এবং রাশিয়াকে দুরত্বে রাখার জন্য তাদের ভারতের প্রয়োজন। তাছাড়া ভারতের ১০০ কোটির বেশি মানুষের বাজার তাদের দরকার। সেজন্য সবাই জানে শেখ হাসিনা কি করে ক্ষমতায় আছে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের বৈঠক হচ্ছে না এবং শেখ হাসিনা কোথাও থেকে টাকা পাচ্ছে না। আরব দেশগুলো থেকে কোন টাকা পাচ্ছে না এবং ৩২টি দাতা দেশ থেকেও কোন টাকা পাচ্ছে না। বাংলাদেশে কোন উন্নতি নেই। তবুও শেখ হাসিনা কি করে ক্ষমতায় আছে? কারণ হচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন একই শ্রেণীর লোক। আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এক এবং তারা ভারতকে চীনের মত বিরোধী করতে চায় না। সেজন্য আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের জন্য ভারতকে disturb করবে না। তার (উষাতন তালুকদার) যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে একটা পদবি যেটার মাধ্যমে তিনি সেখানে প্রবেশের ক্ষমতা পেতেন এবং আমাদের জন্য অনেক কথা বলতে পারতেন।”
অন্য এক প্রশ্নে করুণালংকার ভিক্ষু বলেন, তিনি পার্টির দায়িত্বে থাকলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেন এবং UNPO-র প্রেসিডেন্ট কমিটির সদস্য হলে ভালো হতো।
https://goo.gl/hPkGty, http://archive.is/kP8Ou