মুসলমানদের বিরুদ্ধে মা বা থার প্রস্তাবিত চার আইন
জনসংখ্যার দিক থেকে মিয়ানমার বা বার্মার সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হলো বার্মিজ; অনেকে এদেরকে বামার বা বর্মি বা বর্মানও বলে থাকে, এরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ। ব্রিটিশ আমলেরও আগে থেকেই বার্মার সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী বামার; এরাই নিজ জনগোষ্ঠীর নামে দেশের নাম রেখেছিল বার্মা। বার্মায় আরো অসংখ্য জনগোষ্ঠী আছে, যেগুলো একালে তালিকাভুক্ত বা ক্ষমতাসীন সরকার স্বীকৃত এমন জনগোষ্ঠী হলো ১৩৫টা। এর পরেও রোহিঙ্গারা এই ১৩৫ জনগোষ্ঠীর ভেতরের একটিও নয়। অর্থাৎ রোহিঙ্গারা স্বীকৃতি পেলে তারা হবে সম্ভবত ১৩৬তম জনগোষ্ঠী। ৬০ ভাগ বার্মিজের বাইরের ৪০ ভাগ হলো এই ১৩৫+, এতগুলো জনগোষ্ঠী। আবার এই ৪০ ভাগ জনগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা বিশাল বলে মানতেই হয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হওয়ার রাজনৈতিক আন্দোলনে ও স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সাল থেকে বার্মিজ জনগোষ্ঠীর নেতারা সবচেয়ে বিভেদমূলক যে রাজনৈতিক কাজ ঘটিয়েছিলেন, তা হলো, অবার্মিজ সব জনগোষ্ঠীকে সেনাবাহিনী থেকে পদচ্যুত করিয়ে দেয়া এবং রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সব পদ থেকে তাদের অপসারণ করা। এই দুই কাজ ঘটিয়ে অবার্মিজদের মুছে দেয়া হয়েছিল। অবার্মিজদের (যে কোনো ‘অপর’ এর) প্রতি সে ট্র্যাডিশন ও চিন্তার চর্চা আজ মিয়ানমারে সর্বত্র। ফলে বার্মা স্বাধীন হওয়ার পরও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মুক্তি ও স্বায়ত্তশাসনের দাবি ও লড়াইকে বর্মি জাতিগোষ্ঠী নির্মমভাবে দমন নির্মূল- একমাত্র এই পথে মোকাবেলা করেছিল। এটা আরো নির্মম নিষ্ঠুর হয়েছিল ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইনের হাতে, যা ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চলেছিল। বার্মার আদি সমস্যা এই ৪০ ভাগ অবার্মিজ জনগোষ্ঠীকে দাবিয়ে রাখা ও নির্মূল করার চিন্তা থেকে সৃষ্ট। অবার্মিজদের সাথে কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সম্পদ ভাগাভাগি না করা। এর মধ্যকার মাত্র ৪ ভাগ হলো মুসলমান। তারা সবাই রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা নয়। বার্মার সব প্রদেশেই স্বল্প হলেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুসলমান জনগোষ্ঠী আছে।
গত ১৯৮৮ সালে নে উইনের পতনের পরে অবার্মিজ জনগোষ্ঠীকে দাবিয়ে রাখার এক নতুন কৌশল চালু করা হয়েছিল। এটা হলো মূলত আগের বার্মিজ-অবার্মিজ ভাগাভাগিটাকে লুকিয়ে ফেলে রাখার কৌশল। জাতিগোষ্ঠীর দিক থেকে ভাগ করে দেখালে বার্মিজরা মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগের বেশি হয় না। কিন্তু ভাগটা যদি করা হয় কত ভাগ বৌদ্ধ এবং কত ভাগ অবৌদ্ধ, এই ভিত্তিতে? এতে এক বিরাট ‘লাভ’। কারণ তাতে ৮৮ ভাগ হয় বৌদ্ধ, ৬ ভাগ খ্রিষ্টান, ৪ ভাগ মুসলমান ইত্যাদি। অর্থাৎ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় বৌদ্ধ। ফলে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের আড়ালে বর্মিদের একচ্ছত্র শাসনের মোড়লগিরি সহজে ঢেকে রাখার ভালো সম্ভাবনা দেখেছিলেন জেনারেলরা। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মিদের একচ্ছত্র শাসনকে এর পর থেকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনরূপে এই আড়াল থেকে চালু রাখবেন। যেমন কাচিন বা শান জনগোষ্ঠী যারা নিজ প্রদেশের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্মি দমন-শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগ্রাম করছে, এদের কাছে জেনারেলরা নিজেদের তখন থেকে হাজির করেছিলেন এভাবে যেন শাসকেরা আর বার্মিজ নন; বরং কাচিন বা শান জনগোষ্ঠীর মতোই শাসকেরাও একই বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী। আর এই ভড়ং-এর আড়ালে বার্মিজ দানব শাসকের দমনের চেহারাটা যতটা সম্ভব আড়াল করার সুযোগ নেয়া শুরু হয়েছিল সেই থেকে। এভাবে ‘বৌদ্ধ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী’র পরিচয়ের আড়ালে তৎপর আছে আগের মতোই বর্মি একচ্ছত্র দানব। এই নতুন পরিচয়কে পোক্ত করতেই বৌদ্ধদের ‘কমন শত্রু’ হিসেবে মুসলমানদের দেখানো শুরু হয়েছিল। সাধারণত দেখা যায়, ‘কমন এনিমি’ ব্যাপারটা যতই শাণিত রাখা যায়, ততই তা দিয়ে অভ্যন্তরীণ দমন অসন্তোষকে ভুলিয়ে রাখা যায়।
নে উইনের পরে নতুন করে দমননীতি আসায় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমার বা বার্মার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ নানা ধরনের অবরোধ আরোপ করে রেখেছিল সেই ১৯৯৩ সাল থেকেই। এর ভেতরেই বার্মিজ একচেটিয়া শাসন নিজেকে নতুন আড়ালে নিয়ে বৌদ্ধ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর পরিচয়ের রাজনীতি হিসেবে হাজির হয়েছিল। তবে মুসলমানদের উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের কমন শত্রু হিসেবে দেখানোর শেষপর্যায়টা গড়ে নেয়া হয়েছিল ২০১১-১৫ সালের শাসনকালে।
অর্থনৈতিক অবরোধে আটকে থাকা বার্মা ভারতকে আমেরিকার ফ্রন্ট-রানার দূতিয়াল হিসেবে হাজির পেয়েছিল ২০০৭ সাল থেকে। পশ্চিম জগৎকে কোনো ব্যবসায়-বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিনিময়ে কিছু রাজনৈতিক সংস্কার করলে জেনারেলরা পশ্চিমের সমাজে নিজ পণ্যসহ অবাধ গৃহীত হতে পারবে। এসব হতো আলোচনার মূল প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক সংস্কার কথাটা যতই বড় শোনাক না কেন, একচ্ছত্র বার্মিজ সামরিক ক্ষমতাকে অটুট রেখে কেবল সু চিকে ওপর দিয়ে একটা অলঙ্কার হিসেবে চড়িয়ে দেয়া, এটাই ছিল সেই সংস্কার। এতটুকুকেই ‘বিরাট’ সংস্কার করা হয়েছে বলে পশ্চিমা শক্তি বার্মিজ জেনারেলদের সার্টিফিকেট দিয়েছিল- এটাই মিয়ানমারের মূল সমস্যা এবং আজকের রোহিঙ্গা সঙ্কটের উৎস। এই ফর্মুলায় জেনারেলদের নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা তার কেবল নিজের, এই কথা লেখা হয়েছিল যেখানে সেটাকেই ২০০৮ সালের কনস্টিটিউশন বলে মেনে নেয়া হয়েছিল।
এরপর ২০১০ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল সু চির পার্টিকে আলঙ্কারিক হিসেবে মেনে নিয়ে ক্ষমতায় আনা হবে পরের নির্বাচনে, অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনে। এর পূর্বপ্রস্তুতি ছিল ২০১০ সালের কথিত নির্বাচন ও ক্ষমতা বদল। এর আগে সামরিক বাহিনী নিজেই একটা দল গঠন করে নিয়েছিল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (USDP) নামে।
আর এই দলের নামে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হাতে নিয়েছিল। অনুমান করা হয়, সু চির দল এনএলডি বা ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি আপসে ২০১০ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল, আর ২০১৫ সালের জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। USDP আসলে ছিল মূলত কর্মরত অথবা সাবেক অফিসার-সৈনিকদের রাজনৈতিক দল। এমনিতেই তখনো সংসদের ২৫ ভাগ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কর্মরত সেনা অফিসারদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
আমাদের আলোচনার প্রাসঙ্গিক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো ২০১০ সাল, যখন ক্ষমতায় আসীন এই USDP।
মূল উদ্দেশ্য ছিল সু চি ভোট রাজনীতির মাঠে নামার আগেই বার্মার রাজনীতির অভিমুখ বেঁধে দেয়া; ইসলামবিদ্বেষী এক ‘চরম উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদ’ ছাড়া অন্য রাজনীতি চলতে না দেয়া, এই রাজনীতি করতেই সু চিসহ সবাইকে বাধ্য করা। এই কাজে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটা বড় অংশকে সামরিক বাহিনী নিজে সংগঠিত করেছিল। বাহিনীর নিজ দল টঝউচ এর মাধ্যমে এদের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করত।
ভিক্ষুদের এই সংগঠনের নামও দেয়া হয়েছিল; প্রথমে সামাজিক সংগঠন হিসেবে এর নাম ছিল ‘কমিটি ফর প্রটেকশন অব ন্যাশনালিটি অ্যান্ড রিলিজিয়ন’। আঞ্চলিক ভাষায় যার নাম ‘মা বা থা’।
পরে রাজনৈতিক দল হিসেবে এর রেজিস্ট্রেশন নেয়া হয়েছিল। আত্মপ্রকাশের সময় এই সংগঠন দাবি করেছিল ‘রেস ও রিলিজিয়ন’ সম্পর্কিত (মুসলমানদের বিরোধী) চারটা আইনের খসড়া তৈরি করে তারা তা সংসদ থেকে পাস করিয়ে আনতে অনুরোধ করবে। সাবেক জেনারেল থেইন সেইনের হাত দিয়ে জেনারেলরা USDP নামে রাজনৈতিক দল খুলেছিল, দলের সভাপতিও ছিলেন তিনি, ২০১০ সালের তথাকথিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি; আর রাজনৈতিক সংস্কারগুলোও হয়েছিল তার হাতে। তিনিই মা বা থার প্রস্তাবিত চার আইন সংসদে পেশ করেছিলেন।
আইনগুলো হলো : ১. (মূলত মুসলমানদের নিগৃহীত করতে) ধর্ম বদল করতে হলে আগে রেজিস্ট্রেশন ও অনুমতি নিতে হবে। না হলে জেল ও জরিমানা করা হবে। ২. (একইভাবে মুসলমানদের জন্য করা) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো প্রদেশের সরকার যদি মনে করে, তার কোনো জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা অন্য জনগোষ্ঠীর সংখ্যার তুলনায় ভারসাম্য ছাড়িয়ে গেছে, ফলে তুলনামূলক বেশি সামাজিক সম্পদ ভোগ করছে, তখন এ ক্ষেত্রে সাম্য আনার জন্য প্রাদেশিক সরকার কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে বলবে এবং কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে। (ভারতে বিজেপি-শিবসেনার মতো এটা একই আর্গুমেন্ট যে, মুসলমানেরা বেশি জন্মগ্রহণ করে।) ৩. আন্তঃধর্মীয় বিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে। ৪. বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই চার আইনের মধ্যে প্রথম দু’টি ইতোমধ্যে সংসদে অনুমোদিত হয়ে গিয়েছিল। তবে পরের দু’টি প্রক্রিয়ায় কোথাও স্থগিত হয়ে আছে। কথিত আছে, দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার আসিয়ান রাষ্ট্র জোটের সদস্যরা এ ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব পোষণ করা বাকি দুই আইন শেষ পর্যন্ত আর করা হয়নি। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এটা মূলত গেরুয়া কাপড়ধারী ভিক্ষুদের পরিচালিত এক সংগঠনের দাবি।
দেশব্যাপী ইসলামবিদ্বেষী উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছিল। তা কখনো ওই চার আইনের পক্ষে প্রচার অথবা আইনগুলো পাস করার সাফল্যের প্রচার ইত্যাদি নামের আড়ালে। যেমন ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির মোট ১১৫১ জন প্রার্থীর দল এনএলডিসহ কোনো দলই একজন মুসলমান নমিনেশন দেয়নি। কারণ মুসলমানবিরোধী প্রচারণাকে ‘মা বা থা’ এত উগ্র ও তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল যে, ভোটে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এই ভয়ে সু চি রাখাইন অঞ্চলেও কোনো মুসলমানকে নমিনেশন দেননি।
মা বা থার চরম উগ্র এক নেতা হলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু ইউ ভিরাথু। আমেরিকান টাইম ম্যাগাজিন তাকে নিয়েই ২০১৩ সালের জুলাইয়ে কভার স্টোরি করেছিল। শিরোনাম দিয়েছিল, ‘বুদ্ধিষ্ট সন্ত্রাসবাদের মুখচ্ছবি’। এই ভিক্ষু খোলাখুলিই মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তিনি মনে করেন, ‘মুসলমানেরা দেশের জন্য, দেশের কালচারের জন্য হুমকি। তারা বেশি বাচ্চা পয়দা করে। তারা আমাদের নারীদের ধর্ষণ করে। তারা আমাদের দেশ দখল করতে চায়। তাই আমাদের বৌদ্ধদের বার্মা রক্ষা করতে হবে’ ইত্যাদি।
২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই ভিরাথু ও তাদের নানা সংগঠন (মা বা থা, ৩৬৫ এ ধরনের নামে) সু চির দলের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছে। গত নির্বাচনে ‘ছয় প্রশ্ন’ তারা হাজির করেছিল। যেমন, ১. আপনি কি বৌদ্ধ? ২. আপনি ‘চার আইন’ সাপোর্ট করেন কি না? ৩. এই আইনগুলো রক্ষা করবেন কি না? ৪. আপনি ১৯৮২ সালের নাগরিক আইন বদলে ফেলবেন নাকি? ৫. কনস্টিটিউশনের ৫৯ এফ বদলাবেন নাকি, যে আইনে বিদেশী বিয়ে করেছে বলে সু চির প্রেসিডেন্ট হতে বাধা দেয়া আছে? ৬. ‘রেস ও রিলিজিয়ন’ আন্দোলন সব সময় ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে প্রতিজ্ঞা করবেন কি না।
সু চির ক্ষমতারোহণ ঘটে গেছে। আর ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা দেশ থেকে খেদানো আর হাজার পাঁচেক রোহিঙ্গা মেরে ফেলার পর সু চির সরকারের অবস্থান আর ভিরাথুর অবস্থানের মধ্যে আর কোনো ফারাক নেই। অবশ্য বিবিসির মিশেল হুসেন ২০১৬ সালের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় থেকে আমরা জানি, ব্যক্তিগতভাবেও সু চি মুসলমানবিদ্বেষে ভুগছেন।