====================================
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।ঈসায়ী ১/০৮/২০১৬ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। ভেটিং শেষে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে আইনটি পাসের জন্য সংসদে যাবে জানিয়ে সচিব বলেন, “সংসদ যেহেতু দুই মাস পরে বসবে, তাই ইমারজেন্সি বিবেচনায় এটাকে অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
১৯৯৭ সালের ২ রা ডিসেম্বর যে শান্তি চুক্তি হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। কারন এ চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।
আগে কমিশন চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হত। আইন সংশোধন হলে চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে আর কোনো বিষয় চূড়ান্ত হবে না।তিন পার্বত্য জেলার বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বের করার জন্য এটি একটি বড় ধরণের ষড়যন্ত্র। এই আইনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য এলাকা বাঙালী মুক্ত করার জন্তু লারমার যে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা তা সহজ হয়ে গেলো।
এ আইন একটি কালো আইন, এই আইনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আপীল করা যাবে না। ঐ কমিশনের সদস্যদের মধ্যে কোন বাঙ্গালী প্রতিনিধি নাই । কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও সদস্য সচিব নিয়োগে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীল মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং বাকী সদস্যরা নৃগোষ্ঠীর সদস্য হতে নিয়োগ দেওয়া হবে ।এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্রগ্রামের বাঙ্গালী কোন প্রতিনিধি না থাকাতে পার্বত্য চট্রগ্রামের ৫২% বাঙ্গালী জনগনের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে না । বাঙ্গালীরা তাদের ভূমির অধিকার হারাবে ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ সংবিধানবিরোধী এবং সাংঘর্ষিক
১. তৃতীয় ভাগ , মৌলিক অধিকার , আইনের দৃষ্টিতে সমতায় বলা আছে “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী”। http://goo.gl/oo9SpH
২. তৃতীয় ভাগ , মৌলিক অধিকার , ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য বলা আছে”কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না”। http://goo.gl/AhDMwL
দেখা যাচ্ছে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী আইন সবার জন্য সমান থাকবে এবং কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না”।কিন্তু এ কালো আইনে সংবিধানের এসকল ধারাকে সম্পুর্ন অগ্রাহ্য করা হয়েছে যা অগ্রহণীয়।
তিন পার্বত্য জেলার জমি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত হতে পারে না। নাগরিক অধিকার সবার ক্ষেত্রে সমান।রাষ্ট্রসীমার মধ্যকার সমস্ত ভূমির মালিকানা রাষ্ট্রের। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনেই বৈধ কিংবা অবৈধতা নির্ধারিত হয়।