আরাকানের (রাখাইন প্রে) ইতিহাস থেকে জানা যায়, আরাকানের এক রাজা মেং সোআ মংউন ১৪৩০ সালে ব্রহ্মের রাজার সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পালিয়ে আসে গৌড়ের সুলতান জালাল আল দ্বীন মুহাম্মদ শাহর কাছে। তিনি আরাকানের রাজাকে যথেষ্ট সৈন্য দেন তার রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য। আরাকানের রাজা যুদ্ধে জিতে তার রাজ্য ফিরে পায়। নতুন রাজধানী হয়, যার নাম রোহং। আরাকানের রাজার সাথে গৌড় থেকে যে সেনাবাহিনী যায় ও থাকে রোহং-এ, তাদের বংশধরকে বলে রোহিঙ্গা। আরাকানের রোহং শহরের নাম থেকে উদ্ভব হয় রোসাঙ্গ নামের। বাংলা সাহিত্যে আরাকানকে উল্লেখ করা হয়েছে রোসাঙ্গ হিসেবে। আরাকানের রাজারা ধর্মে ছিল বৌদ্ধ। তাদের ভাষা ছিল আরাকানে প্রচলিত প্রাচীন বর্মি ভাষা। কিন্তু যেহেতু তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল গৌড়ের সাথে, তাই তারা বাংলাভাষা শিখত ও জানত। আরাকানের রাজসভায় তাই সপ্তদশ শতাব্দীতে হতে পেরেছে বাংলা ভাষার বিশেষ চর্চা। উদ্ভব হতে পেরেছে দৌলত কাজী, আলাওলের মতো কবির সপ্তদশ শতাব্দীতে। এখন রোহিঙ্গাদের আরাকান থেকে নিষ্ঠুরভাবে তাড়ানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চাকমা রাজনীতি নিতে পারে একটা ভিন্ন রূপ। সন্তু লারমাদের পক্ষে হাত মেলানো অসম্ভব নয় মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেখা উচিত হবে বাংলাদেশের উপজাতি রাজনীতিকে।