পার্বত্য চট্রগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সিএইচটি কমিশন ও জাফর ইকবাল

Related imageপার্বত্য চট্রগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সিএইচটি কমিশন ও জাফর ইকবাল

আপনাদের মনে আছে, ৯/১১ এর সময় ঠিক যখন বিমানগুলো টুইন টাওয়ারে আঘাত হানে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ কি করছিলো? হ্যা, সে একটি স্কুলে ছোট ছোট শিশুদের সাথে সময় কাটাচ্ছিলো। হঠাৎ একজন এসে তার কানে কানে বললো, টুইন টাওয়ারে হামলা হয়েছে।ব্যস বুশ ছোট শিশুদের মধ্য থেকে বেরিয়ে এলো। এরপর আস্তে আস্তে ৯/১১ প্রতিদান শুরু হলো। হামলা হলো আফগানিস্তানে। আজ হয়ত অনেকে যানে, ৯/১১ এর হামলা ছিলো সিআইএস ও মোসাদের সম্মিলিত কার্যক্রম, মুসলমানদের বিরুদ্ধে নতুন করে ক্রুসেড শুরুকরার উপায় মাত্র। সেটা অবশ্যই বুশ জানত। কিন্তু দেখেছেন, ঠিক হামলার সময় ন্যাকামো ভাব ধরেছে ! ছোট ছোট শিশূদের মধ্যে তার অবস্থান। যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারে না বুশ। আসলে সিআইএপন্থী দুষ্টুগুলোর এ বাহ্যিক নেকামো খুব পুরোন বিষয়। সব সময় আলগা মানবতাবাদী সেজে থাকে, যেন মানুষের মায়ায় তারজীবন যায় যায় অবস্থা। অথচ ভেতর দিয়ে হায়নার থেকেও অধিক তার হিংস্রতা। প্রথম আলোর ক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখবেন। সব সময় খুব মানবতাবাদী। শিশু নির্যাতন,নারী নির্যাতন, পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে খুব সরর,কিন্তু ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মূল মূল গোড়াগুলো কিন্তু তারাই কাটে । ঠিক একইভাবে জাফর ইকবার দম্পত্তির মধ্যে দেখবেন আলগা ন্যাকামো ভাব আছে, খুব দরদী, যেনো ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারেন না।এদের মায়া সকলের মানতবতার উর্দ্ধে, তাই ছা্ত্রলীগকে ক্ষমা করে দেয়, তার বউ পুলিশের সাথে হ্যান্ডশেক করে ছবি তুলে। এগুলো দেখেসাধারণ মানুষ খুব বাহবা দেয়। সবাই স্যালুট জানায়। আসলে এরা যে কত বড় দেশ বিরোধী দালাল সেটা মানুষ জানে না। বিশেষ করে জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী যদি ভালোই হতো এবং দেশের স্বাধীনতার পক্ষের হতো তবে তারা কেন সিএইচটি কমিশনে মেম্বারহলো ?

এটা তো সাধারণ মানুষও বুঝে, সিএইচটি কমিশন বাংলাদেশকে ভেঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব তীমুর কিংবা দক্ষিণ সুদান বানানোর এজেন্সিনিয়েছে। যেই সিএইচটি কমিশনের সদস্য লর্ড এরিক এভিবুরি, যে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তীমুর ভাঙ্গার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। এইসিএইচটি কমিশনে সদস্য মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ। যে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কাজ করেছে,দালাইলামার সাথে মিলে চীন থেকে তীব্বতকে পৃথক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই চিহ্নিত সিআইএপন্থী সিএই্চটি কমিশনের সদস্য হয়কিভাবে জাফর ইকবাল দম্পত্তি ? তারা এত জ্ঞান অর্জন করলো, এত দেশপ্রেম দেখালো, আর শেষ বয়সে গোমর ফাস হলো দেশবিরোধীসংস্থায় যোগ দিয়ে !

আসলে উপর দিয়ে সুশীলতা দেখিয়ে ভেতর দিয়ে গলা কাটা অনেক সোজা। জাফর ইকবাল ও তার বউ সেই দলেরই সদস্য। নাস্তিক্যবাদীব্লগার কার্যক্রম, সিএইচটি কমিশনের কার্যক্রম এসব আন্তর্জাতিক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে সে একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য তাতে কোন সন্দেহ নাই।