১৯৭২ সালে ভারতের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনী গঠন প্রমান করে যে ভারত বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে বা স্বাধীনতার স্বার্থে ১৯৭১ সালে আমাদেরকে সাহায্য করেনি।ভারত তার স্বার্থেই পাকিস্তানকে দুই ভাগ করেছে। কিন্তু মধ্য থেকে জীবন দিতে হয়েছে আমাদের ৩০ লক্ষ্ বাংলাদেশীদেরকে।
সাধারণ মানুষ এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদেরও জানার বা বোঝার সময় হয়নি যে তারা কেন যুদ্ধ করছে? আমরা এমন এক অভাগা জাতি যে আজও আমরা জানি না যে ১৯৭১ সালের তথাকথিত যুদ্ধ এবং পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার BENEFICIARY কে বা করা।আমাদের নেতাদেরকে বলা হয়েছে কুষ্টিয়ায় গিয়ে সরকার গঠন করো। যারা সরকার গঠন করেছিল তাদের অধিকাংশই ছিল ভারতের বেতনভুক্ত। ছাত্রনেতাদেরকে বলা হয়েছিল জাতীয় নেতাদের কথা না শুনে পতাকা উড়াতে অথচ দেশের খবর নেই। মহান নেতা শেখ মুজিবকে বেসামাল অবস্থায় ফেলা হলো যাতে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন। তার দল আওয়ামী লীগ এর সিনিয়র নেতারা তাদের আত্মা ইন্ডিয়ার কাছে বিক্রি করে বসে আছে আর ছাত্র নেতারাও আত্মা বিক্রির আগেই ভারতের প্রেমে দিশেহারা।
শেখ মুজিব ব্যর্থ হননি কিন্তু তাকে ব্যর্থ বানানো হয়েছে।পাকিস্তানের জেলে বসে তিনি জানতেও পারেননি যে তার দলীয় ভারতীয় দালালরা ভারতের স্বার্থে দেশের ৩০ লক্ষ মানুষের জীবন ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে সফল হয়েছে।
ভারত ভালো করেই জানতো শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব। আওয়ামী লীগ এর দলীয় ভারতীয় দালালদের দিয়ে শেখ মুজিবকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। ভারতীয়দের পোষা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও শেখ মুজিবকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। অনেক চিন্তা ভাবনার পর ভারত নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো:
১. RAW এর দালাল জুলফিকার আলী ভুট্টোকে নিয়োজিত করে রাখলো শেখ মুজিবকে যেন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্র করা যায়।
২. আওয়ামী লীগ এর নেতাদের ভাতা বাড়িয়ে দেয়া হলো শেখ মুজিবের সকল সিদ্ধান্ত যেন ভারতকে আগেভাগে জানানো হয়।
৩. পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতী সম্প্রদায়কে স্বাধীনতার লোভ দেখিয়ে গঠন করতে বলা হলো শান্তি বাহিনী। (ঠিক একই লোভ ইস্ট পাকিস্তানীদেরকে দেখানো হয়েছিল।)
৪. শান্তিবাহিনীদেরকে ভারতের মাটিতে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বশস্ত্র করা হলো।
৫. আওয়ামী লীগকে কাউন্টার দেয়ার লক্ষ্যে জাসদ তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
৬. ফারাক্কা বাঁধকে অপারেশনাল করা হলো।
৭. শান্তিবাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দুদেরকে নিয়ে গঠন করা হলো হিন্দু,বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ।
উপরোক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭২ সালেই গঠন করা হলো শান্তি বাহিনী। তাদেরকে ভারতের মাটিতেই প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বশস্ত্র করা হয়েছিল।স্বয়ং শেখ মুজিব তা জানতেন বলেই ভারতপন্থীদেরকে তার ধারে কাছেও ঘেঁষতে দিতেন না।ইতিমধ্যেই জাসদ আত্মপ্রকাশ করলো। তারা শেখ মুজিবের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুললো। তার পরের কাহিনী সকলেরই জানা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া হলো।
আমি সবসময়ই বলে আসছি যে ভারত আমাদেরকে কখনই সাহায্য করেনি। বরং আমরা না বুঝে ভারতকে সাহায্য করেছি।আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে ভারতের স্বার্থে। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে সফল করার লক্ষ্যে।
ভারত শেখ মুজিবকে নিয়ে খেলেছে এবং খেলা শেষে তাকে সড়ানোও হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে তারা শেখ মুজিবের অতি চালাক মেয়ে হাসিনা শেখকে নিয়েও খেলছে। শান্তিবাহিনী আজো আছে।ফারাক্কা বাঁধ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদও রয়েছে।হাসিনা শেখ এর চারপাশে রয়েছে ভারতীয়দের পোষা আওয়ামী কুকুর। হাসিনা শেখকে দিয়ে বাংলাদেশের বারোটা বাজানো ইতিমধ্যেই হয়েছে। দেশের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ কোনো কিছুর উপরেই নেই।হাসিনা শেখের নিজস্ব নিরাপত্তাটুকু পর্যন্ত তার হাতে নেই।১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালের পূর্বে শেখ মুজিবকে যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল ঠিক তেমনি হাসিনা শেখকেও করা হয়েছে। এবার শুরু করেছে ভারতীয় নিম্নোক্ত নতুন খেলা :
১. বিচারপতি সিনহা কে দিয়ে দেশে কৃত্রিম সাংবিধানিক সংকট তৈরী করা।
২. ফারাক্কার বাঁধ ছেড়ে দিয়ে দেশের অর্থিনীতিকে পঙ্গু করে দেয়া।
৩. দেশবাসীকে হাসিনা শেখের বিরুদ্ধে খেপিয়ে দেয়া।
৪. মিয়ানমারকে দিয়ে রোহিঙ্গ্যা নিধন পুনুরুজ্জীবিত করে শরণার্থী সমস্যা তৈরী করা।
হাসিনা শেখের বাবা ভারতীয়দের দাবা'র চালে হেরে গিয়েছিলেন। দেখা যাক হাসিনা শেখ এবার কি করে???