পাবর্ত্য চট্টগ্রামে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর উস্কানিতে বিদেশী সংস্থা

Image result for বনপাবর্ত্য চট্টগ্রামে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর উস্কানিতে বিদেশী সংস্থা

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো উস্কে দেওয়ার মূলে কাজ করছে বিদেশী কিছু সংস্থা, যেমন- জাতিসংঘ, ইউএনডিপিসহ আরো কিছু বিদেশী এনজিও। এরাই বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে ক্ষেপিয়ে রাখে। এই উস্কে দেওয়ার পেছনে উপজাতিদের মুলো দেখানো হয়- “তোমাদের আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে দেওয়া হবে।” কিন্তু বাস্তবে উপজাতিদের স্বার্থ এখানে মূখ্য নয়। মূল স্বার্থ পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের, যারা উপজাতি গোষ্ঠীগুলোক জাস্ট ব্যবহার করছে তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। কারণ বিশেষ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে কারণে তিন পার্বত্য জেলাকে আমেরিকার খুব খুব দরকার, তাই যেভাবেই হোক এই তিনি জেলাকে তাদের চাই চাই । তবে এটাও বলা যায়- তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে যদি আলাদা রাষ্ট্র গঠনই হয় তবে উপজাতিদের ভাগ্য খুব একটা বদলাবে না। বরং এখন তারা যতটুকু সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, তখন সেটাও পাবে না। যেমন দক্ষিণ সুদান হয়েছিলো খ্রিস্টানদের সুবিধা প্রাপ্তির জন্য।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেখানে গণহারে খ্রিস্টান নিধন হচ্ছে, আবার দুর্ভিক্ষে না খেতে পেয়ে মরছে খ্রিস্টানরা। মাঝখান দিয়ে দেশটির তেল সম্পদ ঠিকই সম্রাজ্যবাদীদের হস্তগত হচ্ছে। বাস্তবে বাংলাদেশে পার্বত্য উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর এমন কোন শক্তি নাই যে তারা একটি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে। মূলত এ বিদ্রোহকে বাঁচিয়ে রাখে বাইরের গোষ্ঠীগুলো।

এ প্রক্রিয়া চলে চার প্রকারে- ১) মগজ ধোলাই সম্পর্কিত পুশিং: বিদেশী গোষ্ঠীগুলো উপজাতিদের কাছে গিয়ে সর্বদা কানপড়া দিতে থাকে- “তোমাদের বাংলাদেশের সাথে থেকে কি লাভ আছে ? তোমরা নিজেরাই একটা দেশের জন্য চিন্তা করো্, সেটা হবে তোমাদের রাজত্ব। সেখানে তোমরা যা খুশি তাই করতে পারবে। তোমদের লোকবল আছে, সামর্থ আছে। অনেক এলাকায় আদিবাসী ভূমি পাচ্ছে। তোমরাও চেষ্টা করলে পাবে। আমরা বাইরে থেকে তোমাদের সর্বপ্রকার সাহয্য করবো।” এ ধরনের কানপড়া কিছু বিদেশী গোষ্ঠী সবসময় উপজাতি নেতাদের দিয়ে থাকে। এ বিদেশী গোষ্ঠীর কানপড়া দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ করলে উপজাতিদের বিদ্রোহী মনভাব অনেকাংশে কমে যাবে। এক্ষেত্রে সকল বিদেশী এনজিও’র আনাগোনা নিষিদ্ধ করা ছাড়া করা কোন উপায় নেই।

২) ফান্ডিং : বাইরের এনজিও সংস্থাগুলো ফান্ড প্রবাহ দিয়ে মূল বিদ্রোহ জিয়িয়ে রাখে। এই ফান্ড প্রবাহ নানান জায়গায় হতে পারে। যেমন- বিভিন্ন উপজাতি নেতাদের কাছে, এনজিওতে ভালো চাকুরী দিয়ে, সুযোগ সুবিধা দিয়ে, ঘরবাড়ি বানিয়ে দিয়ে। এ সকল অর্থ প্রবাহের বিনিময়ে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে বাচিয়ে রাখা হয়। এই ফান্ডিং বন্ধ করতে পারলে উপজাতিদের বিদ্রোহী মনোভাব অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

৩) মিডিয়ার সাহায্য: সম্রাজ্যবাদী (সিআইএ) নিয়ন্ত্রিত কিছু মিডিয়া উপজাতিদের এই উস্কানিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এ ধরনের মিডিয়ার মধ্যে নেতৃস্থানীয় হচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ বা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার। এরা অব্যাহতভাবে উপজাতিদের দেশদ্রোহী কাজে ফুয়েল দিয়ে বাচিয়ে রাখে। প্রথম আলো-ডেইলি স্টার গংদের উপজাতিদের মিডিয়া সাহায্য যদি বন্ধ করা যায়, তবে উপজাতিদের দেশদ্রোহী কার্যক্রম অনেটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
৪) অস্ত্র সাহায্য: বাইরের কিছু দেশ থেকে উপজাতিদের অস্ত্র সরবারাহ করে উপজাতিদের বিদ্রোহী মনোভাব ও স্বাধীন রাষ্ট্রের কল্পনা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও কার্যক্রমটি সিআইএ নির্ভর, কিন্তু আমেরিকার তো বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত নাই । তাই ভারত কিংবা মিয়ানমারের সীমান্ত ব্যবহার করে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র সরবারাহ করা হচ্ছে। এই অস্ত্র সরবরাহ যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন উগ্র উপজাতি গোষ্ঠীর বিদ্রোহী মনোভাব দমন করা সম্ভব হবে না। তাই এই বিদেশী অস্ত্র সরবরাহ কিভাবে ঠেকানো যায় তা চিন্তা করতে হবে। আমি আবারও বলছি- উপজাতিদের নিজ থেকে কিছু করার যোগ্যতা নাই।

তাদের মূল সাহায্য করা হচ্ছে বাইরে থেকে, যারা করছে তাদের উদ্দেশ্য উপজাতিদের উপকারা করা নয়, বরং বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজের স্বার্থ সাহিল করা। এখন এই রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রম বন্ধ করার সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে উপজাতিদের বাইরের সাহায্যগুলো বন্ধ করা, বাইরের সাহায্যগুলো বন্ধ করলেই দ্রুত উপাজাতি সমস্যা নিরসন করা সম্ভব।