মিয়ানমারের উগ্রপন্থী একটি গ্রুপ সরকারের খাস জমি দখল করে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তুলছে ‘ভাবনা কেন্দ্র’ বা কিয়াং। ভাবনা কেন্দ্রে বসেই তারা ৯৬৯ উপজাতিদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
ভান্তদের পরামর্শে বান্দরবানের স্বর্ণমন্দির ও রাঙ্গামাটির বনবিহারে ও রাজবন বিহারের গত কয়েক মাস ধরে সর্বসাধরণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে এখন জুডো ক্যারাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বনে ঢুকে পড়ছে। বনে গিয়ে আবার তারা উচ্চতর প্রশিক্ষণও নিচ্ছে। পরে তারা জম্ম ল্যান্ড গড়ার আন্দোলন-সংগ্রাম ও সশস্ত্র বিপ্লবের দিকে যাচ্ছে।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জম্মু ল্যান্ড গঠন করার জন্য বিভিন্ন রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে। কি ধরনের সরকার হবে পাহাড়ে তারও একটি ছক সাজানো হয়েছে। পাহাড়কে এমন একটি অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে যে, বাংলাদেশ সরকার থেকে পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করে নিজেরাই সরকার গঠন করে স্বাধীন জম্মু ল্যান্ড গঠন করবে। এ ধরনের কর্মকা- সরকার প্রশ্রয় না দেয়ায় পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কোন না কোন কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। সরকারী বেসরকারী চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে। পরিবহন থেকে প্রতিদিন তাদের হাজার হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। এ সবের কারণে পার্বত্য এলাকার মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষজনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।