পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যা

Related imageপার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যা


পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়না কর্তৃক পরিচালিত কতিপয় বাঙ্গালী গণহত্যা

প্রথমে খুব লজ্জার সাথে বলতে হচ্ছে যে, বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ (শতকরা ৯৯.৫ ভাগ) বাঙ্গালী জাতি। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে এযাবৎকালে বেশ কয়েকটি গণহত্যার শিকার হয়েছে আমাদের এ বাঙ্গালী জাতি। বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কতিপয় গণহত্যার ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের তরুনদের না জানার লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকে হয়। এই না জানার লজ্জাকে দুর করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গডফাদার খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা শান্তি চুক্তি পূর্ববর্তী সময়ে, প্রায় ৩৮ হাজার নিরীহ বাঙ্গালী হত্যা করে। আসুন এক নজরে দেখে নেই সে সকল গণহত্যার চিত্র:

১। লংগদু গণহত্যা:
১৯৭৯ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা সদর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম কলঙ্কজনক অধ্যায় লংগদু গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। বাঙ্গালীদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যে ঘটনার মাধ্যমে কয়েক ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে ৩২০ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত করা হয়েছে আরও ৭৫০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। ২০৪টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় শহস্রাধীক পরিবার।

২। কাউখালী গণহত্যা:
১৯৮০ সালের ২৫ শে মার্চ দিবাগত রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শান্তি বাহিনীর সামরিক কমান্ডার মেজর মলয় (আসল নাম- উষাতন তালুকদার) এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় কাউখালি গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। বাঙ্গালীদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যে ঘটনার মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ২৫০ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে আরও ২৫০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। ৪৫০টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় শহস্রাধীক পরিবার। একই দিন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর মেজর সহ ২২ জন সেনাসদস্যকে হত্যা করে।

৩। বেতছড়ি গণহত্যা:
১৯৮০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতছড়ি, কচুখালী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তৃতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় বেতছড়ি গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। বাঙ্গালীদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যে ঘটনার মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ২৫ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত করা হয়েছে আরও ১৪৫ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। ১৬৫টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় শহস্রাধীক পরিবার।

৪। বানরাইবারী, বেলতলী, বেলছড়ি গণহত্যা:
১৯৮১ সালের ২৬ জুন ঘটে বানরাইবারী, বেলতলী, বেলছড়ি গণহত্যা। গণহত্যায় ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা ৫০০ বাঙ্গালী হত্যা, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো হাজার হাজার বাঙ্গালীকে। গনহত্যার পর ঐ অঞ্চল আজ পাহাড়ি লোকালয়।

৫। তাইন্দং, আচালং, গৌরাঙ্গ পাড়া, দেওয়ান বাজার, তবলছড়ি, বর্ণাল, রামছিরা, গোমতি গণহত্যা:
১৯৮১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলার তাইন্দং, আচালং, গৌরাঙ্গ পাড়া, তবলছড়ি, বর্ণাল সহ ৪৮টি গ্রামের প্রত্যেকটি বাঙ্গালী গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ৬৫০ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৮০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো হাজার হাজার বাঙ্গালীকে। ২৩৬৫টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় পাঁচশতাধীক পরিবার। তাছাড়াও তানাক্কাপাড়া বিডিআর ক্যাম্প, আচালং বিডিআর ক্যাম্প, তাইন্দং বিডিআর ক্যাম্প, পংপাড়া বিডিআর ক্যাম্প, তবলছড়ি বিডিআর ক্যাম্প, আমতলি বিডিআর ক্যাম্প, বর্ণাল বিডিআর ক্যাম্পে আক্রমন করে অস্ত্র,গোলা-বারুদ লুট করে এবং ১৮ জন বিড়িআর সদসকে হত্যা করে।

৬। গোলকপতিমা ছড়া, মাইচ্যেছড়া, তারাবনছড়ি গণহত্যা:
১৯৮৩ সালের ২৬ জুন; ১১ জুলাই, ২৬ জুলাই, ২৭ জুলাই; ৯ আগষ্ট, ১০ আগষ্ট, ১১ আগষ্ট ঘটে গোলকপতিমা ছড়া, মাইচ্যেছড়া, তারাবনছড়ি গণহত্যা। গণহত্যায় ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা গোলকপতিমাছড়া, মাইচ্যেছড়া, তারাবনছড়াতে বাঙ্গালীদের গ্রামগুলোতে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, হত্যা, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নারকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো। এই গনহত্যায় ৮০০ বাঙ্গালী নিহত হয়েছিল। আহত করা হয়েছে আরও ১০০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। নিহতদের সিংহ ভাগ বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। গনহত্যার পর ঐ অঞ্চল আজ পাহাড়ি লোকালয়।

৭। ভূষণছড়া গণহত্যা:
১৯৮৪ সালের ৩১ মে দিবাগত রাত আনুমানিক ৪টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা ৩০মিনিট পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শান্তি বাহিনীর এরিয়া কমান্ডার তথাকথিত মেজর রাজেশ (আসল নাম- মনিস্বপন দেওয়ান) এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় ভূষণছড়া গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা।

সেদিন বাঙ্গালীদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যে ঘটনার মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ১৪৫০ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও সহস্রাধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে একটি জনপদ। বরকলের ১৬০০ পরিবারের মধ্যে ৮০০টি পরিবার সেদিন আক্রান্ত হয়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩০টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে, শান্তি বাহিনী সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েক শত বছরের ইতিহাস ঘাটলেও ভূষণছড়া গণহত্যার মতো এত বড় ধ্বংসযজ্ঞের আর কোন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হানাদাররাও এখানে এমন জঘন্যতম ঘটনার জন্ম দেয়নি। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তাদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে যায়।

অথচ সেই মনিস্বপন দেওয়ানকে বংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার শান্তিচুক্তির পরে রাঙ্গামাটির এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বানিয়ে গণহত্যা পরিচালিনার জন্য পুরস্কৃত করেছিল, বর্তমানে সে গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে সিএইচটি নাগরিক কমিটি গঠন করেছে।

৮। পানছড়ি গণহত্যা:
১৯৮৬ সালে ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং, চেঙ্গী, পানছড়ি, লতিবান, উল্টাছড়ি ৫টি ইউনিয়নের ২৪৫টি গ্রামের প্রত্যেকটি বাঙ্গালি গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ৮৫৩ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৫০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে। ৬২৪০টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তাদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নার এ প্রক্রিয়া রোধ করতেই তৎকালীন সরকার বাধ্য হয় বাঙ্গালীদেকে স্ব-স্ব বসতভিটা, বাগান বাগিচা থেকে তুলে এনে গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দী শিবিরে আটক করতে। এ প্রক্রিয়ায় তৎকালীন ১০৯ টি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রামে ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৭ জন বাঙ্গালীকে (বর্তমানে ৬,৫০,০০০ এরও বেশি)। সেই খানেও হামলা থামেনি। চুতর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করে ছোট্ট গুচ্ছগ্রামে সরকার পরিবার প্রতি একটি ২০ ফুট বাই ২০ ফুট বন্দী কুটিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুরু হয় গুচ্ছগ্রাম বাসীদের জীবন-জীবিকা। এতে বাঙ্গালীরা নিরাপত্তা পেলেও তাদের বসত ভিটা ও চাষের জমি হারাতে হয়। সেই আশির দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙ্গালীরা আর তাদের সেই বসত ভিটা, বাগান বাগিচা ও আবাদী জমি ফেরত পায়নি।

শান্তি বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে সেসব গ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ শরণার্থী হয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। যারা ভারতে যেতে রাজি হয়নি তাদের পার্শবর্তী বাঙ্গালী গ্রামগুলোতে শান্তি বাহিনী এমনভাবে হামলা করে যাতে বাঙ্গালীরা পাল্টা আঘাত দিয়ে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হামলা চালাতে বাধ্য হয়। এভাবেই শান্তি বাহিনী নিরীহ পাহাড়িদের ভারতে শরণার্থী হতে বাধ্য করে।

৯। দিঘীনালা গণহত্যা:
১৯৮৬ সালে ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং, বোয়ালখালী, কবাখালী, দিঘীনালা, বাবুছড়া ৫টি ইউনিয়নের ২৪৫টি গ্রামের প্রত্যেকটি বাঙ্গালী গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ৮৯৮ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গাালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ১২০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে। ৭৩০৪টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা সেদিন এতগুলো মানুষকে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তাদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নার এ প্রক্রিয়া রোধ করতেই তৎকালীন সরকার বাধ্য হয় বাঙ্গালীদেকে স্ব-স্ব বসতভিটা, বাগান বাগিচা থেকে তুলে এনে গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দী শিবিরে আটক করতে। এ প্রক্রিয়ায় তৎকালীন ১০৯ টি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রামে ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৭ জন বাঙ্গালীকে (বর্তমানে ৬,৫০,০০০ এরও বেশি)। সেই খানেও হামলা থামেনি। চুতর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করে ছোট্ট গুচ্ছগ্রামে সরকার পরিবার প্রতি একটি ২০ ফুট বাই ২০ ফুট বন্দী কুটিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুরু হয় গুচ্ছগ্রাম বাসীদের জীবন-জীবিকা। এতে বাঙ্গালীরা নিরাপত্তা পেলেও তাদের বসত ভিটা ও চাষের জমি হারাতে হয়। সেই আশির দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙ্গালীরা আর তাদের সেই বসত ভিটা, বাগান বাগিচা ও আবাদী জমি ফেরত পায়নি।

শান্তি বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে সেসব গ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ শরণার্থী হয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। যারা ভারতে যেতে রাজি হয়নি তাদের পার্শবর্তী বাঙ্গালী গ্রামগুলোতে শান্তি বাহিনী এমনভাবে হামলা করে যাতে বাঙ্গালীরা পাল্টা আঘাত দিয়ে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হামলা চালাতে বাধ্য হয়। এভাবেই শান্তি বাহিনী নিরীহ পাহাড়িদের ভারতে শরণার্থী হতে বাধ্য করে।

১০। মাটিরাংগা গণহত্যা:
১৯৮৬ সালে ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলার তাইন্দং, তবলছড়ি, বর্ণাল, বেলছড়ি, আমতলি, গোমতি, মাটিরাংগা, গুইমারা ৮টি ইউনিয়নের ৩২৫টি গ্রামের প্রত্যেকটি বাঙ্গালী গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ৬৮৯ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৮০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে। ৯০৪৮টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় হাজার হাজার পরিবার। খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা সেদিন এতগুলো মানুষকে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তাদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নার এ প্রক্রিয়া রোধ করতেই তৎকালীন সরকার বাধ্য হয় বাঙ্গালীদেকে স্ব-স্ব বসতভিটা, বাগান বাগিচা থেকে তুলে এনে গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দী শিবিরে আটক করতে। এ প্রক্রিয়ায় তৎকালীন ১০৯ টি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রামে ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৭ জন বাঙ্গালীকে (বর্তমানে ৬,৫০,০০০ এরও বেশি)। সেই খানেও হামলা থামেনি। চুতর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করে ছোট্ট গুচ্ছগ্রামে সরকার পরিবার প্রতি একটি ২০ ফুট বাই ২০ ফুট বন্দী কুটিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুরু হয় গুচ্ছগ্রাম বাসীদের জীবন-জীবিকা। এতে বাঙ্গালীরা নিরাপত্তা পেলেও তাদের বসত ভিটা ও চাষের জমি হারাতে হয়। সেই আশির দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙ্গালীরা আর তাদের সেই বসত ভিটা, বাগান বাগিচা ও আবাদী জমি ফেরত পায়নি।

শান্তি বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে সেসব গ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ শরণার্থী হয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। যারা ভারতে যেতে রাজি হয়নি তাদের পার্শবর্তী বাঙ্গালী গ্রামগুলোতে শান্তি বাহিনী এমনভাবে হামলা করে যাতে বাঙ্গালীরা পাল্টা আঘাত দিয়ে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হামলা চালাতে বাধ্য হয়। এভাবেই শান্তি বাহিনী নিরীহ পাহাড়িদের ভারতে শরণার্থী হতে বাধ্য করে।

১১। কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, সিংহপাড়া, তাইন্দং গণহত্যা:
১৯৮৬ সালের ১৮ মে দিবাগত রাত আনুমানিক রাত ৩টায় ঘুমন্ত মানুষের উপর খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলার তবলছড়ির কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, সিংহপাড়া, তাইন্দং গণহত্যা ১৮টি গ্রামে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। ১৬০ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ১৫০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। তাছাড়াও কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, তাইন্দং এর সংলগ্ন বিডিআর ক্যাম্পে আক্রমন করে।

১২। দিঘীনালা গণহত্যা:
১৯৮৬ সালের ২ জুলাই খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালায় ২৪ বাঙ্গালীকে হত্যা, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৬২ জনের অধিক, আরো ৩২ জনকে অপহরণ ও গুম করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যাদের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

১৩। ভাইবোন ছাড়া গণহত্যা:
১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার ভাইবোন ছাড়া গ্রামে ২২ জন বাঙ্গালী কাঠুরিয়াকে গুম করে, পরবর্তীতে হত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যাদের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

১৪। হিরাচর, শ্রাবটতলী, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালী গনহত্যা:
১৯৮৮ সালের ৮ আগষ্ট, ৯ আগষ্ট, ১০ আগষ্ট ঘটে হিরাচর, শ্রাবটতলী, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালী গণহত্যা। এই গণহত্যায় ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা হিরাচর, শ্রাবটতলী, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালীতে বাঙ্গালীদের গ্রামগুলোতে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, হত্যা, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ, নারকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো। এই গনহত্যায় ৫০০ জনের অধিক নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে নির্মম ভাবে হত্যা, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৮০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। নিহতদের সিংহ ভাগ বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। গনহত্যার পর ঐ অঞ্চল আজ পাহাড়ি লোকালয়।

১৫। লংগদু গনহত্যা:
১৯৮৯ সালের ৪ঠা মে লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অনিল বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সহ তার স্ত্রী, সন্তান ও নাতিকে খুন করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা হায়নারা। লংগদু ইউনিয়নের পুরো বাঙ্গালী গ্রামে হামলা করে। এতে নিহত হয় ৪০ জন বাঙ্গালী নারী, পুরুষ, শিশু, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা। তাদের মৃতদেহ পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। পুড়িয়ে দেয়া হয় মসজিদ। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা আজো চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ এর সমস্ত জমি দখল করে রেখেছে। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তাদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে যায়।

১৬। নাইক্ষ্যাছড়ি গণহত্যা:
১৯৯০ সালের ১৬ এপ্রিল বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যাছড়িতে ১৯ জন বাঙ্গালীকে গুলি করে হত্যা, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৮৩ জনের অধিক, আরো কয়েক শত বাঙ্গালীকে অপহরণ ও গুম করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যাদের অপহরণ ও গুম করা হয়েছে তাদের লাশ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

১৭। মাল্যে গনহত্যা:
১৯৯২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি। লংগদু বাজারের দিন চারদিকে চলছে জম জমাট বাজার। কয়েকজন পাহাড়ি কাঁচা তরকারির খুপড়ি ভিতর করে বামা নিয়ে বাজারের দিকে হেঁটে আসছে। বাজারে প্রবেশ করার পর একটি জুত সই জায়গার খোঁজ করে (যেখানে বাঙ্গালী লোকজনের আনা গোনা বেশী এমন স্থানে সে খুপরি রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে বোমা ফুটে ৭ জন বাঙ্গালী মারা যায় এবং আহত হয় আরা ১৫-২০ জন বাঙ্গালী। বোমা বিস্ফোরণের জন্য পরিকল্পনা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। তৎকালীন সময়ে রাঙ্গামাটি থেকে আশে পাশের উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। মারিশ্যাও এর ব্যতিক্রম নয়। মারিশ্যা থেকে রাঙ্গামাটি যেতে লঞ্চে সময় লাগে ৮-৯ ঘন্টা। ১৯৯২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মারিশ্যা থেকে দুরছড়ি ঘাটে এসে পৌঁছলো লঞ্চটি। তখন দুইজন উপজাতি যাত্রী উঠেন। লঞ্চটিতে কিছু তামাকের গুঁড়ার টিন ছিল এবং পাশেই বসা ছিল অধিকাংশ বাঙ্গালী লোকজন। সেই উপজাতি দুই যাত্রী সেখানে বসে পড়েন। দুরছড়ি ঘাটের পর আসে আমতলী ঘাট। সে ঘাটে এসে উপজাতি লোক দুইজন লঞ্চ থেকে নেমে যান। এরপর লঞ্চটি আবার রওনা দেয়। রওনা দেয়ার কিছুক্ষণ পর একটি বাঁক পেরোনোর সময় লঞ্চে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী বাঘাইছড়ি উপজেলার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থার দারোয়ান লাল মিয়া ঘটনার বর্ণনা দেন এবং তার ধারণা বিস্ফোরণটি তামাকের গুঁড়ার টিনের পাশেই ঘটেছে। বিস্ফোরণে চালক সহ ২০-২৫ বাঙ্গালী মারা যায়। বিস্ফোরণের পর লঞ্চটি অকেজো হয়ে ডুবে যায় এবং বাকি যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠে আসে। যাত্রীবাহী বোটে বিস্ফোরণের জন্য দায়ী ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা।

১৮। লোগাং গনহত্যা:
১৯৯২ সালে ১০ই এপ্রিল লোগাং এ এক অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। সেইদিন বাঙ্গালী নারী তার গবাদি পশু চড়াতে গ্রামের অদূরে গিয়েছিল সেখানে শান্তি বাহিনী ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা তাকে গণধর্ষণ শেষে হত্যা করে। এতে আরেক বাঙ্গালী বাধা দিলে তাকে সেখানেই হত্যা করা হয়। বাঙ্গালীরা প্রতিবাদ জানালেও এর কোন সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। উল্টো পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা বাঙ্গালী গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো। এ হত্যাকান্ডে ৮৯ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ২০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে শত শত বাঙ্গালীকে। ২৪৮টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় পাঁচশতাধীক পরিবার।

১৯। নানিয়ারচর গনহত্যা:
১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর নানিয়ারচর বাজারে বাঙ্গালীদের শান্তিপুর্ন সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। ১৬ই নভেম্বর তারিখে শান্তি বাহিনী নামক হায়নার হাতে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির স্বীকারের কারনে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় বাঙ্গালী সম্প্রদায়। ১৭ই নভেম্বর সকালের দিকে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আহমেদ মিয়া ও বুড়িঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফের নেতৃতে বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করলে খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা সমাবেশকে প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। শান্তি বাহিনী সেদিন বাঙ্গালীদের উপর ব্রাশ ফায়ার করেছিল আর উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা নৃশংসভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাঙ্গালীদের উপর হামলা করেছিল। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেদিন পানিতে ঝাঁপ দিলেও শান্তিবাহিনী নামক হায়নার নির্মমতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি নিরীহ নিরস্ত্র বাঙ্গালী এবং ১৭ই নভেম্বর তারিখে শান্তি বাহিনী নামক হায়নার কতৃক রচিত হয়েছিলো এক কালো গনহত্যার ইতিহাস যা বাঙ্গালী জনগন কখনোই ক্ষমা করবে না। নানিয়ারচরে সংগঠিত এ গনহত্যায় প্রায় ৪৯ জনের মতো বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

২০। পাকুয়াখালী ট্রাজেডি:
১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে নীরিহ এবং নিরস্র বাঙ্গালী কাঠুরিয়াদের উপর নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বিবৎস মানসিকতার এক জঘণ্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। স্বাধীনতার পর পরই খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে। শ্রমই ছিল তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায়। রুজি রোজগারের সহজ বিকল্প কোন উপায় না থাকায় বনের গাছ, বাঁশ আহরণেই তারা বাধ্য ছিল। শান্তি বাহিনী মিটিং করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩৫ জন নিরীহ বাঙ্গালী কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে, শান্তি বাহিনী সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। ৩৫টি মাথা একটি বস্তায় করে আনা হয়েছিল লংগদু থানা সদরে। প্রতিটি লাশের পুরুষাঙ্গ কেটে মাথাগুলোর মুখে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। একটি লাশেরও হাত সাথে ছিল না। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। এই ভীবৎস লাশের করুন চিত্র, এখনো আমাদের হৃদয়কে নাড়া দেয়।

পার্বত্য পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখার জন্য তৎকালীন সরকারের ৪ জন প্রভাবশালী মন্ত্রী লংগদু গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মদ, পানি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রী এম.এ. মান্নান। তাঁরা লংগদু গিয়ে মানুষের বুক ফাটা কান্না আর আহাজারী দেখে হত্যাকারীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে পুনর্বাসন করার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সন্তানদের লেখা পড়ার দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতিও তারা দিয়েছিলেন। লংগদু থেকে ফিরে আসার পর তৎকালীন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ৩১ অক্টোবর ৯৬ ইং বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

২১। জুরাইছড়ি গণহত্যা:
রাঙ্গামাটি জেলার জুরাইছড়ি থানার পাহাড়ি এলাকায় শান্তি বাহিনীর এরিয়া কমান্ডার তথাকথিত মেজর পেলে (আসল নাম- তাতিন্দ্র লাল চাকমা) একটি সেনা টহলের উপর এ্যাম্বুশ করে মেজর মহসীন সহ ৩০ জন সেনা সদস্য ও ৭২ জন সাধারণ বাঙ্গালীকে হত্যা করে। ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা দা দিয়ে কুপিয়ে নিহতদের পা কেটে পায়ের বুটগুলো আলাদা করে নেয়েছিল। বর্তমানে সে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস - এমএন লারমা) গ্রুপের সাধারন সম্পাদক।

উল্লেখিত বড় বড় হত্যাকান্ড ছাড়াও সেই সময় পার্বত্য এলাকায় খেটে খাওয়া বাঙ্গালীদের গহীন পাহাড়ে কিংবা রাস্তায় যেখানেই পেয়েছে সেখানেই হত্যা করেছে ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। উদ্দেশ্য ছিলো পাহাড়ে দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী নিধন ও বাংলাদেশের মানচিত্র হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম কেড়ে নেওয়া। শান্তি চুক্তির পূর্বে উল্লেখিত বাঙ্গালী হত্যা ছাড়াও খুনি শন্তু লারমা হাজার হাজার সেনা বাহিনী, বিড়িআর, আনসার, পুলিশ, বিডিপি সদস্যদের হত্যা করেছেন।

অনুরূপ অগনিত হত্যাকান্ডের পরিচালনা করে খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা শান্তি। যাদের প্রায় ৮৫০ জনকে চুক্তির পর পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অথচ, এদেশে স্বাধীনকরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো রিকসা চালায়। এসব গণহত্যার কোন খবরই দেশবাসীকে জানানো হয়নি এবং চুক্তি সই করে সাধারন ক্ষমা দিয়ে দেয়া হয়েছে। যে সাধারন ক্ষমাকে চিরস্থায়ী সাধারন ক্ষমা মনে করে তারা চুক্তির পরও একইরুপ হত্যাকান্ড, অপহরণ, গুম চালিয়ে যাচ্ছে।

গণহত্যা সমূহ:
১. লংগদু গণহত্যা, ১৯৭৯
২. কাউখালী গণহত্যা
৩. বেতছড়ি গণহত্যা
৪. বানরাইবারী, বেলতলী, বেলছড়ি গণহত্যা
৫. তাইন্দং, আচালং, গৌরাঙ্গ পাড়া, দেওয়ান বাজার, তবলছড়ি, বর্ণাল, রামছিরা, গোমতি গণহত্যা
৬. গোলকপতিমা ছড়া, মাইচ্যেছড়া, তারাবনছড়ি গণহত্যা
৭. ভূষণছড়া গণহত্যা
৮. পানছড়ি গণহত্যা
৯. দিঘীনালা গণহত্যা,২৯ এপ্রিল১৯৮৬
১০. মাটিরাংগা গণহত্যা
১১. কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, সিংহপাড়া, তাইন্দং গণহত্যা
১২. দিঘীনালা গণহত্যা,২ জুলাই ১৯৮৬
১৩. ভাইবোন ছাড়া গণহত্যা
১৪. হিরাচর, শ্রাবটতলী, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালী গনহত্যা
১৫. লংগদু গনহত্যা১৯৮৯
১৬. নাইক্ষ্যাছড়ি গণহত্যা
১৭. মাল্যে গনহত্যা
১৮. লোগাং গনহত্যা
১৯. নানিয়ারচর গনহত্যা
২০. পাকুয়াখালী ট্রাজেডি
২১. জুরাইছড়ি গণহত্যা