মিডিয়া হইলো মাফিয়া টাইপের একটা জিনিস,

7anu StMuaSponysoreid
 
মিডিয়া হইলো মাফিয়া টাইপের একটা জিনিস,
এর পেছনে যে ডেমোক্র্যাটিকরা বসে আছে, তারা নিজের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য এমন কিছু নাই যে পারে না। নানান কৌশলে তারা তাদের কাজকে স্ট্যাবলিশ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যায়। যেমন-
তারা এতদিন সরকারকে চাপ দিছে, কোন শপিং কমপ্লেক্স যেন না খুলে।
যখন অনেক চাপাচাপির পরও সরকার ১০ তারিখ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিছে,
এখন বুঝছে সেখানে আর কাজ হবে না, এখন গেছে বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষদের কাছে,
তাদের উপর চাপ দিয়ে তাদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইতেছে।
যেমন- বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স আর যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধের জন্য তারা গেছে আকবর সোবহান আর বাবুলের কাছে। তাদের প্রেসার দিয়ে দোকান বন্ধের ঘোষণা নিতেছে। অথচ আকবর সোবহান বা বাবুল মার্কেট প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তারা তো দোকানগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিছে। এখন দোকান বন্ধ রাখলে তাদের তো কোন ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হবে দোকান মালিক বা ব্যবসায়ীদের। কিন্তু তারা ব্যবসায়ীদের কাছে না গিয়ে আকবর সোবহান বা বাবুলের কাছে গিয়ে কৌশল করে মার্কেটগুলো বন্ধ করতে চাইতেছে। অথচ এখানে তাদের কোন বিষয় নেই, বিষয় হলো দোকান মালিকদের। যেহেতু আকবর সোবহান বা বাবুল মিডিয়ার কাছে নেগেটিভ কোন কথা বলবে না, তাই সেই সুযোগ নিয়ে মিডিয়া তাদের ইচ্ছা কৌশল করে দোকান মালিকদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
একই রকম কৌশল তারা করতেছে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে।
ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়ার সাথে শাহজাহান খানের মত শ্রমিক নেতাদের হইলো দ্বন্দ্ব।
তারা এখন করোনার সময় সুযোগ বুঝে- পরিবহন শ্রমিকদের সাথে নেতাদের লাগায় দিতে চাইতেছে। এজন্য মিডিয়া পরিবহন খুলে দেয়ার বদলে শ্রমিক কল্যান ফান্ডের কথা তুলতেছে।
কারণ কল্যাণ ফান্ডের কথা উঠলেই নেতা-শ্রমিক দ্বন্দ্ব হবে, আর মিডিয়া তো সেটাই চায়।
অথচ কল্যান ফান্ড হইলো- রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাওয়া বা আহত শ্রমিকদের জন্য।
বেকার হওয়া এত বিপুল পরিমাণের শ্রমিকের মধ্যে কি সেই ফান্ডের টাকা বিতরণ করা সম্ভব ?
আর তাছাড়া শ্রমিকদের এখন প্রয়োজন গাড়ি খোলা।
গাড়ি খুললেই নূণ্যতম তারা দৈনিক ৫০০-১০০০ টাকা পাবে।
কিন্তু তাদের আন্দোলন মিডিয়ায় হাইলাইট করতেছে ত্রাণের নামে।
আরে ভাই ত্রাণ কয় টাকার পাওয়া যায় ?
ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি চাল পাইতে পারে, যার সর্বোচ্চ মূল্য ৫০০ টাকা,
এটা তো তার ১ দিনের ইনকাম।
আসলে মিডিয়ার বাংলা অনুবাদ গণমাধ্যম বলা হলেও মিডিয়া কখন গণমানুষের কথা বলে না।
বরং তাদের নিজস্ব মতবাদ মিডিয়ার মাধ্যমে গণমানুষের উপর চাপায় দেয়।