এন্টি ভাইরাল ড্রাগ ‘রেমিডিসিভির’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল

t

c7Sf ponsMfmhoraesyd 
১. আগামী ২০ তারিখ থেকে বাংলাদেশে করোনা রোগীদের উপর এন্টি ভাইরাল ড্রাগ ‘রেমিডিসিভির’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
২. কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার রোগীর উপর এই ‘রেমিডিসিভির’ ওষুধ প্রয়োগ করে ৩১% এর জন্য সফলতা পায় বলে দাবী করা হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ওষধ বিভাগ এই ওষুধ কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুমতি দেয়। (https://bit.ly/3dor8Tp)
৩. যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা দেখে বাংলাদেশ সরকারও তা নিয়ে আশাবাদি হয়ে ওঠে এবং দেশের ৮টি ওষুধ কোম্পানিকে (বেক্সিমকো, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, স্কয়ার, বিকন, হেলথকেয়ার, অ্যাকমি ও পপুলার) তা উৎপাদনের অনুমতি দেয়। (https://bbc.in/3ceWz2f)
৪. এই ওষুধটি তৈরীকারী প্রতিষ্ঠান আমেরিকার গিলিয়াড সায়ন্সেস। এটি নতুন কোন ওষুধ নয় বরং আফ্রিকায় ইবোলার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো, কিন্তু তেমন কোন সাফল্য বয়ে আনতে পারে নাই। এখন করোনাতেও তা ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। (https://bit.ly/3bex7Zz)
৫. তবে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়ালের আগে চীনে গত এপ্রিলে ওষুধটির গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ট্রায়াল হয়েছিলো। তখন দেখা যায়, ওষুধটি করোনার বিপক্ষে ঠিক মত কাজ করে না, তবে প্রচুর সাইড ইফেক্টের কারণে দ্রুত ট্রায়ালটি বন্ধ ঘোষনা করা হয়। (https://bit.ly/3bex7Zz)
৬. তবে উল্লেখ করার মত কথা হচ্ছে, এপ্রিলের সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার ওয়েবসাইটে আপলোড করার কিছুক্ষণ পর আবার তা আশ্চর্যজনকভাবে সরিয়ে ফেলে এবং ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা প্রার্থনা করে। (https://bit.ly/3bex7Zz)
৭. উল্লেখ্য, গিলিয়াড সায়ন্সেস বিভিন্ন সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ডোনেশন করে থাকে। (https://bit.ly/2xGCraj)
৮. একই বিষয়টি পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানচেটেও আসে। ল্যানচেটে প্রকাশিত ওই গবেষণা নিবন্ধে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মহামারি করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরের দুই শতাধিক কোভিড-১৯ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন, রেমডিসিভির প্রয়োগে উল্লেখ করার মতো কোনো সুফল মেলেনি।
৯. প্রতি রোগীর রেমডিসিভির ওষুধের জন্য বাংলাদেশী টাকায় খরচ পড়বে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত। (https://bbc.in/2YHBgCx)
তবে যাই বলেন, করোনার মাধ্যম দিয়ে বাংলাদেশ এখন খুব সহজেই বিভিন্ন বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সেন্টার হয়ে উঠছে। আপনি করোনা পজিটিভ হচ্ছেন ভালো কথা, কিন্তু আপনাকে কোন ওষুধ কোম্পানি গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে কি না, সেটাও জেনে নিয়েন। কারণ এর আগেও বাংলাদেশের করোনা রোগীদের উপর হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ট্রায়াল হয়েছে, এখন হতে যাচ্ছে আরো নতুন কিছু ওষুধ। বাংলাদেশে হাসপাতালগুলোতে যে করোনা রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে, সেটা কি বাস্তবেই করোনাতে মৃত্যু হচ্ছে, নাকি বিভিন্ন ওষুধের কোম্পানির ক্লিনিকাল ট্রায়ালের গিনিপিগ হতে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে, সেটা জনগণের জানা থাকা একান্ত জরুরী।