ভাই অর্থনৈতিক ক্ষতি যা হওয়া হয়ে গেছে, এখন এর থেকে উত্তরণের পথ কি ?


1tSnpons3o SMordeaeredcy 
অনেকে জিজ্ঞেস করছে,
ভাই অর্থনৈতিক ক্ষতি যা হওয়া হয়ে গেছে, এখন এর থেকে উত্তরণের পথ কি ?
যারা এ ধরনের প্রশ্ন করছেন, তাদের জন্য বলতে হচ্ছে,
লকডাউনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে অর্থনীতির গতি হারিয়ে যাওয়া। তাই এক্ষেত্রে গতি ফিরিয়ে আনা একটা বড় কাজ। তবে এরজন্য পরিকল্পনাগুলো একটু লম্বা করা জরুরী। এছাড়া সহিষ্ণুতার এখন বড় প্রয়োজন, কারণ ক্ষতি সবার হয়েছে, সেটাই সবাইকে মেনে নিয়ে ভাগাভাগি করতে হবে। যেমন-
১. অনেক ব্যবসায়ী এখন দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে চাচ্ছেন না, বলছেন- দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললে কি হবে ? খুললেই বরং কর্মচারির বেতন দিতে হবে, কাস্টমারও নাই। তাদের জন্য বলছি- আপনারা দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলুন। যতটুকু ব্যবসা হয় হবে, সেখান থেকেই দুইজনের ভাগ করে নিবেন। এটা যেমন আপনাকেও বুঝতে হবে, তেমনি কর্মচারিকেও বুঝতে হবে। যেহেতু ব্যবসা কম হয়েছে, তাই কর্মচারিকে কম নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। “নাই মামার থেকে কানা মামা” হওয়া তো ভালো।
২. যেহেতু অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে, আবার সামনে ঈদ আছে। ঈদের আগে পরে আরো ১ মাস সবকিছু মোটামুটি স্থবির থাকে। এখন খুললেও ঈদে আবার ১ মাসের জন্য বন্ধ। কিন্তু এবার এটা করতে দেয়া যাবে না। অর্থাৎ ঈদ উপলক্ষে যে খুলবেন, সেটা আর বন্ধ করবেন না, সেটা আপনার যে ব্যবসাই হোক। প্রয়োজনে শুধু ঈদের নামাজের সময় ব্যবসা বন্ধ রাখুন, বাকি সময় খোলা রাখুন। অর্থাৎ ব্যবসার গতি যেন ঠিক থাকে। ঈদ উপলক্ষে আবার ১ মাস স্লো না হয়ে যায়।
৩. হিসেবটা একটু দীর্ঘমেয়াদী করুণ। রোজার ঈদকে নয়, কোরবানীর ঈদকে টার্গেট করুন। সে দিকে দৃষ্টি রেখে ব্যবসা চালিয়ে যান। গতিটা বজায় রাখুন, থামবেন না বা ভেঙ্গে পড়বেন না। তাহলে দেখবেন গত ২ মাসে যা ক্ষতি হয়েছে, তা ৩ মাসে কোরবানীর ঈদকে টার্গেট নিয়ে কাজ করলে পুষিয়ে যাবে।
৪. বহুদিন তো গ্রামের বাড়িতে থাকা হলো। তাই এবার রোজার ঈদে বাড়িতে না গেলেও চলবে। ঈদে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ না করে চালু রাখুন, গতি যতটুকুই এসেছে, তা যেন অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ এখন ব্যবসার গতি ধরে রাখা বা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।
যেহেতু ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তারা হলো সমাজের খুটি, তাই তাদের ফেলে দিতে পারলেই সমাজ নষ্ট করা সম্ভব। করোনা ভাইরাসের নামে আতঙ্ক ছড়ানোই হইছে, সাধারণ ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তাদের পতন ঘটিয়ে সমাজকে বিশৃ্ঙ্খল করা জন্য।
খবর নিয়ে দেখবেন-প্রত্যেক ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তার উপর নির্ভর করে অনেক মানুষের জীবন/জীবিকা। একজনের ব্যবসা বন্ধ হওয়া মানে শত শত পরিবার পথে বসে যাওয়া। এছাড়া প্রত্যেক ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তা কিছু না কিছু সমাজকল্যানমূলক (উদাহরণ: মসজিদ-মাদ্রাসা) কাজ করেন। ফলে একজন ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তার ক্ষতি হওয়া মানে অনেক মানুষের ক্ষতি হওয়া।
এ কঠিন অবস্থায় প্রত্যেক ব্যবসায়ী/উদ্যোক্ততার উচিত হবে, মনোবল না হারিয়ে দৃঢ় থেকে প্ল্যান করে কাজ করা। খারাপ মানুষ ক্ষতি করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা সামাল দিয়েই সমাজে চলতে হবে।