ভালো কাজ করা সত্যিই ভালো।

5

t esMSatfpoSnnsoredy 
ভালো কাজ করা সত্যিই ভালো।
কিন্তু সেটা যদি নিজের টাকায় হয়। অন্যের থেকে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা দিয়ে ভালো কাজ করার মধ্যে ক্রেডিট শতভাগ থাকে না, কিছুটা কিন্তু থেকেই যায়। কিনতুটা হলো, ‘ভালো কাজ করার জন্য’ যার তত্ত্বাবধানে সাধারণ মানুষ টাকাটা দিলো তার বিশ্বাসযোগ্যতা বা সততা কতটুকু ?
রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আসলো, অনেককেই দেখেছি, দেশ-বিদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ভালো কাজ করতে, মানে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিলি করতে। কিন্তু সেই সময় ভালো কাজের নামে অনেক ফকিন্নির পুতকে দেখেছি কক্সবাজারে গিয়ে ৫ তারকা হোটেলে থাকতে, মানুষের টাকা ইচ্ছামত উড়াতে। কালেকশন করা টাকা রোহিঙ্গাদের যদি ১০ টাকা দেয়, নিজেরা ৯০ টাকা ভাঙ্গতে। তাই সব ভালো কাজের কথা শুনে ১০ হাত লাফ না দিয়ে, তার পেছনে কারণ নিয়েও চিন্তা করা উচিত।
আজকে দেখলাম বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে কথা হচ্ছে। খুব ভালো কথা।
আসলে প্রতিষ্ঠানটির তৈরীকারী কিশোর কুমার দাসকে আমার একটু চালাক গোছের লোক মনে হয়।
তিনি স্বাভাবিক মানুষের থেকে ডোনেশন সংগ্রহ করবেন, সেটাতে কোন সমস্যা দেখি না।
কিন্তু তিনি যখন মানুষের থেকে জাকাত, কোরবানীর পশুর অর্থ সংগ্রহ করবেন, তখন তো একটা কথা উঠবেই।
যেহেতু বিষয়গুলো ধর্মীয় রিলেটেড, তাই জাকাতের টাকা বা কোরবানীর পশু কোন অমুসলিম মানুষের তত্ত্বাবধানে বিলি করার জন্য দেয়া যায় কি না, ধর্মের নিরিখে সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। যেহেতু তার মধ্যে ধর্মীয় অনেক নিয়ম কানুন আছে। ধর্মীয় টাকা খরচ করা যেমন ধর্মীয় বিধান, তেমনি সেই টাকা খরচ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক সিলেক্ট করার নিয়মগুলোও ধর্মীয় বিধানে দেয়া আছে।
কথা হচ্ছে-
তিনি সংগঠনের মূল দায়িত্বে থেকে মুসলমানদের ধর্মীয় টাকা সংগ্রহ করবেন,
তাই প্রশ্ন উঠছে। মুসলমানদের ধর্মীয় ফান্ড সংগ্রহ না করলে কখনই এই প্রশ্ন উঠতো না।
এখানে সমস্যা হচ্ছে তার ধর্মীয় ফান্ড কালেকশনে।
কিন্তু তিনি সেই টাকার দিকে নির্ভিগ্নে হাত বাড়ানোর পথ সুগম করতে দৃশ্যত্ব উপরের পদ থেকে সরে দাড়ালেন, কিন্তু যাওয়ার সময় দোষ মুষলমানদের গাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বললেন-
“দেখেছো! মুসলমানরা কত সাম্প্রদায়িক, একটা ভালো কাজেও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে”।
আরে ভাই ! এখানে দোষটা তার ধর্মীয় ফান্ডের দিকে হাত বাড়ানোর, দোষটা মুসলমানদের না।
যাই হোক, আসলে কিশোর কুমার দাস বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিতে মার্কেটিং এ চাকুরী করে আসা লোক তো,
তাই তার কথার মধ্যে এসব কৌশল থাকবেই, সেটা সমস্যা না।
আমার কাছে সমস্যা মনে হয়, তিনি মনে হয় বেশি কৌশলী হতে গিয়ে মাঝে মাঝে মিথ্যা কথা বলেন।
যেমন- ২০২০ সালে তিনি দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে শিপ্রা দাসকে বোন হিসেবে অস্বীকার করেছেন (তার ভাষায়- শিপ্রা দাশ নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়- http://archive.is/xI30j),
অথচ ২০১৫ সালের প্রথম আলো পত্রিকায় তাদের দুইজনকে ভাই-বোন বলা হয়। (https://bit.ly/2YBwfLK)
আমি জানি না, কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা।
কিন্তু মনে হচ্ছে, তিনি এর সাথে তার ডাইরেক্ট সম্পৃক্ততা হাইড করতে চাইছেন।
কারো যদি মন সত্যিই ভালো থাকে, তবে ভালো কাজে তথ্য লুকানোর দরকার কি ?
মানুষ তো তখনই কথা কাটছাট করে, যখন তার নিজের মধ্যে সমস্যা থাকে, তাই না ?