লকডাউনের কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, ঈদের অর্থনীতি যদি ধরা যায়, তবে তার কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া সম্ভব


tSc4p sonestorhMaeayd 
আমি একটা কথা আগেও বলেছি, আবারও বলছি-
লকডাউনের কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, ঈদের অর্থনীতি যদি ধরা যায়,
তবে তার কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।
কিন্তু ঈদের অর্থনীতি যারা যারা ধরতে পারবে না,
তাদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে এক কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদী কালো সময় আসতেছে, এটা নিশ্চিত।
সেটা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হোক, আর গণপরিবহণ হোক, শপিং কমপ্লেক্স অথবা মসজিদ-মাদ্রাসা (জাকাত-দান) যাই হোক না কেন।
ইতিমধ্যে করোনার নামে লকডাউন ইউরোপ-আমেরিকায় পরিচিত হয়েছে ‘অর্থনৈতিক আবদ্ধকরণ’ হিসেবে। অর্থাৎ কোন একটি মহল সিন্ডিকেট করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য এই ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত অনেকেই। যেমন- আজকেই সরকার একবার প্রজ্ঞাপন জারি করলো আগামীকাল শপিং কমপ্লেক্স খুলবে, আবার কিছুক্ষণ পর সেটা পিছিয়ে দিয়ে ১০ তারিখ করলো। এটা রহস্যজনক। অর্থাৎ কেউ প্রেসার দিচ্ছে, পুরো ঘটনাকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য। কারণ ঐ মহলটির উদ্দেশ্য হলো দেশ ও জনগণের অর্থনীতিকে ক্ষতি করে জনগণকে সমস্যায় ফেলে পরবর্তীতে নিজের কোন বিশেষ স্বার্থ উদ্ধার করা। কিন্তু মানুষজন যদি ঈদের অর্থনীতি ধরতে পেরে ফেলে, তবে মানুষ লকডাউনের ক্ষতির সমস্যা উতরে যাবে এবং তাদের এতদিনের ষড়যন্ত্র তাদের এতদিনের কষ্ট বৃথা হয়ে যাবে।
তাই যে কোন উপায়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। “২ সপ্তাহের মধ্যে মহামারী শুরু হবে”, “আর ২ সপ্তাহের মধ্যে মহামারী শুরু হবে”, এমন বার বার মিথ্যা ভবিষ্যতবাণী করে তারা ধোকা দিয়ে মানুষকে ‘অর্থনৈতিক ভাবে আবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। ঈদ পর্যন্ত টানার চেষ্টা করতেছে। বাস্তবে এই লোকগুলো উদ্দেশ্য মহামারী দমন নয়, বরং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা।
১০ রোজা শেষ হয়ে গেছে, এখনও যদি জনগণ এদের ষড়যন্ত্র না বুঝে এবং এদের শেকল ছিড়ে সব মুক্ত করতে জোর প্রতিবাদ না করে, তবে আর কিছুই করার নেই।
জনগণকে বুঝতে হবে, ঐ বিশেষ মহল জোর করেই এ শিকল তৈরী করেছে, জনগণ যদি মুখ বুজে থাকে, তবে সেই শিকল কিছুতেই ছিড়বে না। জনগণকেও তাই জোর করে শিকল ছিড়তে হবে। এছাড়া উপায় নেই।