গতকালকে পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩৩৬ জন করোনা রুগী।


trt14Sp ogtMnnafsyoredm 
গতকালকে পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩৩৬ জন করোনা রুগী।
এই লোকগুলো কোথায় ?
এই লোকগুলো এখন মূল্যবান, কারণ তাদের শরীর বহন করছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি সমৃদ্ধ রক্ত।
এই রক্তের প্ল্যাজমা দিয়ে খুব ক্রিটিকাল রোগীদের দিলে তাদের জীবন বাচানো সম্ভব, যাকে বলছে প্লাজমা থেরাপি।
কিন্তু সুস্থ রোগী বাড়লেও এই কাজটা এখন তেমন করতে দেখতেছি না। এবং মিডিয়াও সেটা প্রমোট করে না।
এর কারণ প্ল্যাজমা থেরাপী হচ্ছে এন্টি ভাইরাল ড্রাগ এবং ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বী। প্ল্যাজমা থেরাপী দিয়ে যদি মানুষ সুস্থ হতে থাকে, তাহলে মানুষ ৬০ হাজার খরচ করে রেমডিসিভির কিনবে না, বাস্তবে যার কোন কার্যকরীতাই নেই, বরং আছে অনেক সাইডইফেক্ট। অথচ প্লাজমা থেরাপি নিয়ে মৃত্যুপথ যাত্রীদেরও সুস্থ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশে।
লক্ষ্য করবেন-
বিলগেটসের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন বানানোর জন্য বাংলাদেশে করোনার জিনোম উন্মোচন নিয়ে অনেক হৈ চৈ হয়, কোন ওষুধ কোম্পানি কার আগে রেমডিসিভির বা ফেবিপিরা বানাবে সেটা নিয়ে প্রতিযোগীতা হয়। কিন্তু সব হাসপাতালে কেন দ্রুত প্লাজমা থেরাপী চালু হচ্ছে না, কিংবা সেই রক্ত কিভাবে ম্যানেজ করে দেয়া যায়, সেটা নিয়ে কিন্তু কোন আলোচনাই হচ্ছে না।
আমি মার্কিন মিডিয়ায় দেখেছি, কোভিড-১৯ আক্রান্তরা ব্যক্তিগতভাবে তার রক্তের গ্রুপ মিলিয়ে সুস্থ রোগীর রক্ত খুজছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশেও পেপারে/সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে- “আমার ওমুক রক্তের প্রুপের সুস্থ রোগীর রক্ত প্রয়োজন” খূজতে পারেন অনেকে। কিছু কিছু বেসরকারী হাসপাতালে আমি শুনেছি প্লাজমা থেরাপীর কাজ শুরু হয়েছে। আমার কাছে বিষয়টি খুব জটিল কোন প্রসেস মনে হয় না, বরং সাধারণ ব্লাড ডোনেশন ও রিসিভের মতই মনে হয়, যা হরহামেশা বাংলাদেশে হচ্ছে। যে বিষয়টি ১০০ বছর আগে থেকে চলছে, এর মধ্যে খুব বেশি প্রযুক্তি লুকিয়ে আছে বলে মনে হয় না। একজনের রক্তে যদি পর্যাপ্ত এন্টিবডি না থাকে, তবে কয়েকজনের রক্ত থেকে প্লাজমা নিতে পারে অসুস্থরা।
অনেকেই আছে, যারা করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারে আগ্রহী,
আমি তাদের বলবো- আপনারা প্ল্যাজমা থেরাপীকে বেশি করে প্রমোট করুন, প্রতি হাসপাতালে এর ব্যবস্থা চালুর দাবী তুলুন
এবং প্রয়োজনে রোগীর জন্য রক্তের গ্রুপ অনুসারে সুস্থ রোগীর রক্ত খুজে দিন।
করোনার ক্রিটিক্যাল রোগীদের যদি চিকিৎসা বের হয়ে যায়, তবে এই রোগ নিয়ে তো কোন ভয়ই থাকতে পারে না।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন, এই প্ল্যাজমা থেরাপী নিয়ে অনেক হোমরা চোমারাই আপনাকে উৎসাহ দিবে না।
কারণ প্ল্যাজমা থেরাপী হলো এন্টি ভাইরাল ড্রাগ ও ভ্যাকসিন কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বী।
তাই ওষুধ ও ভ্যাকসিন কোম্পানির মুখোশ পরা দালালরা নানান উপায়ে আপনাকে বাধাগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে এটা নিশ্চিত।