বিজ্ঞান আর অন্ধ-বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য আছে।

t

Spuauo1nsnore6fi Madyi 
বিজ্ঞান আর অন্ধ-বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য আছে।
বিজ্ঞান হচ্ছে যতটুকু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো, ততটুকু মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
আর অন্ধ বিশ্বাস হলো- পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার নাই, আমি গো ধরে বসে আছি, এটাই সত্যিই। এখন তুমি যতই প্রমাণ দাও, তাল গাছ আমার।
করোনা নিয়ে কিছু পাবলিকের অবস্থা হইছে অন্ধ বিশ্বাসীদের মত।
করোনা নিয়ে তাদের মিডিয়া সে সবক দিছে, সেটা তারা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নিছে।
এখন করোনা তাদের কাছে হইলো, এক বিশাল দৈত্য। তার ধারে কাছে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। তাকে কেউ ছোট করতে চাইলেই আপনাকে তেড়ে মারতে আসবে।
আপনি যদি তাকে হাজারও দলিল-প্রমাণ দেন, তবুও সে করোনাকে উপর থেকে নিচে নামাতে রাজি না।
কারণ করোনা তার বিশ্বাসের মধ্যে ঢুকে গেছে।
আর যা বিশ্বাসের মধ্যে ঢুকে যায়, তাকে দলিল প্রমাণ দিয়ে নড়ানো যায় না।
কেউ নড়াতে গেলে সেই দলিলওয়ালাকে মারতে যায়।
--আপনি যদি বলেন-
করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক জ্বর-ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লু এর মতই।
সে বলবে- মিথ্যা। এটা এইডসের থেকেও ভয়ঙ্কর।
--আপনি যদি বলেন-
- এ রোগে ২০ টাকার ওষুধে কাজ হচ্ছে,
সে বলবে মিথ্যা বিশ্বাস করি না, এত কম টাকার ওসুধে তা সারবে না।
--আপনি যদি বলেন-
করোনা ভাইরাস হওয়ার পরও অনেক রোগী সুস্থ হচ্ছে।
সে বলবে মিথ্যা। এই রোগ হইলে বাঁচার কোন পথ নাই।
---আপনি যদি বলেন-
গরম পানি খেলে অনেকের এই অসুখ সারছে।
সে বলবে মিথ্যা আমি বিশ্বাস করি না। এত ভয়ঙ্কর ওসুখ গরম পানি খেয়ে সারে না।
---আপনি যদি বলেন-
নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী বলছে লকডাউন ভুল পদ্ধতি।
সে বলবে- নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী কি আমার থেকে বেশি বুঝে ?
---আপনি যদি বলেন-
করোনার ক্ষেত্রে ৮০% রোগী এমনিতেই সুস্থ হয়ে যায়্
সে বলবে- মিথ্যা। এত কঠিন রোগে কেউ সুস্থ হয় না- “যার হয় করোনা, সে আর বাচে না।”
--আপনি যদি বলেন-
৭০ দিন তো হইলো, এখনও তো লাশের স্তুপ পাইলাম না।
সে বলবে- ভাই আর ১৫টা দিন অপেক্ষা করেন, আর মাত্র ১৫টা দিন।
---আপনি যদি বলেন-
প্লাজমা থেরাপিতে অনেকে সুস্থ হচ্ছে।
সে বলবে- আরে ভাই এত সহজ হইলে তো সারা বিশ্বেই হইতোই।
---আপনি যদি বলেন-
বাংলাদেশে প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে আড়াই হাজার লোক মারা যায়, ১০-২০ জন করোনায় মারা গেলে কি সেটা মহামারী হয় ?
উত্তরে সে বলবে- এই যে এত লোক আক্রান্ত হচ্ছে, আক্রান্ত হওয়া মানেই মহামারী।
---আপনি যদি বলেন, “করোনা ভাইরাস যুবকদের জন্য সমস্যা নয়। ”
সে বলবে- আরে ভাই আনিসুজ্জামানের মত একজন তাগড়া লোক করোনা ভাইরাসে মারা গেলো, আর আপনি বলছেন করোনায় যুবকদের সমস্যা নেই ?
---আপনি যদি বলেন-
করোনার বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে।
সে বলবে- আরে ভাই মিথ্যা। যদি কাজ করতো, তবে পাওলো দিবালো ৪ বার পরীক্ষা করে ৪ বারই কিভাবে আক্রান্ত (পজিটিভ) হলো ?
---আপনি যদি বলেন- ভাই করোনায় তো তেমন লোক মারা যাচ্ছে না।
সে বলবে- আরে ভাই আপনি জানেন না, লক্ষ লক্ষ লাশ সুন্দববনে নিয়ে মাটিচাপার দেয়ার খবরটা ফেসবুকে শুনেন নাই।
করোনা নিয়ে অতি আতঙ্কিত এই লোকগুলো আসলে করোনা ভুতে আক্রান্ত।
তারা এমন এক ভুত দেখছে, যা দেখে তারা আর কিছুই বিশ্বাস করতে চাইতেছে না।
তাদের বিশ্বাস হইলো ভুতের মধ্যে, বাস্তবে না।
শুধু যে ফেসবুকে এদের অবস্থান, তাই নয়। একজন জানালো, ঢাকার রাস্তায় এমন বহু করোনা ভুতে আক্রান্ত লোকজন পিপিই, চোখের মধ্যে গগলস, হাতে গ্লাবস পড়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক এলাকায় করোনা শক্ত আঘাত করার পরও ঐ এলাকার বাসিন্দারা এমন করেনি। এমনকি অনেক দেশের ডাক্তাররাও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়েও এত কিছু পড়তেছে না, যা আমাদের করোনা ভুতে আক্রান্ত বাংলাদেশীরা রাস্তায় পড়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।