অনেকে বলে, ভাই আপনি খালি ডেমোক্র্যাটিক ব্লক রিপাবলিকান ব্লক করেন।
এগুলোর জানার কি দরকার আছে ?
আমার মনে হয় আছে।
কারণ করোনা ইস্যুতেই ধরেন, আপনারা কিন্তু নিজেই বুঝতে পারতেছেন,
কোন একটা অদৃশ্য শক্তি এটাকে প্রমোট করতেছে। শুধু বাংলাদেশে নয় ওয়াল্ড ওয়াইড আন্তর্জাতিকভাবে।
কারা এরা ? তাদের উদ্দেশ্য কি ? তাদের কাজ কি ? তারা চলে কিভাবে ?
আপনার উপর সে আক্রমণ করতেছে, কিন্তু আপনি যদি তাকে নাই চিনেন,
তবে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন কিভাবে ?
করোনা দিয়ে যারা অদৃশ্য থেকে কাজ করতেছে, তারাই হইলো ডেমোক্র্যাটিক ব্লক।
আপনি নিজে যখন ওদের সম্পর্কে জানবেন, তাদের চরিত্র গুলো বুঝবেন
তখন আপনি নিজেই অনেক কিছু দেখতে পারবেন, অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
তাদের ফাঁদ এড়ায় যাইতে পারবেন, নিজেই অ্যানালাইসিস করতে পারবেন।
অনেকে বলে- ভাই আপনি অনেক কিছু আগে থেকেই বলতে পারেন।
আসলে ভাই, ভবিষ্যত দেখার ক্ষমতা আমার নেই।
তবে আমি আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছু টুক-টাক বুঝি।
সে কারণেই তাদের নড়াচড়া্ আমার চোখে লাগে এবং আমি বুঝতে পারি আগে থেকে।
তারা কতটুকু যাইতে পারে, তাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করে সেটা আগেই ধারণা করতে পারি, কি ঘটতে যাচ্ছে।
এজন্য ক্যালকুলেশন বা অ্যানালাইসিস করে আমি অনেক কথা বলি, এবং সূত্রমতে তাই হয়ে যায়।
বিষয়টি অনেকটা তুলনা করতে পানের অক্ষরজ্ঞানের সাথে।
আপনার সামনে অনেক বই, কিন্তু আপনার অক্ষরজ্ঞান নাই, তাই পড়তে পারছেন না।
অক্ষরজ্ঞান হলেই আপনি নিজেই অনেক বই পড়ে নিতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনার আন্তর্জাতিক রাজনীতির অক্ষরজ্ঞান নাই, সেটা শিখে নেন,
দেখবেন আপনি নিজেই সব পড়ে নিতে পারবেন, বলে দিতে পারবেন
তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন, যাদের আন্তর্জাতিক রাজনীতির অক্ষরজ্ঞান আছে,
তারা কিন্তু আপনাকে শিখাতে চাইবে না। আবোল-তাবোল বোঝাবে।
কিংবা যারা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক দলগুলো সাঙ্গপাঙ্গ তারাও চাইবে, আপনি বিভ্রান্ত হোন।
কারণ যতক্ষণ আপনার অজ্ঞতা, ততক্ষণ তাদের ক্ষমতা।
যতক্ষন আপনার অজ্ঞতা, ততক্ষণ তারা আপনার গলায় দড়ি দিয়ে, আপনাকে নিয়ন্ত্রন করবে।
আপনার অজ্ঞতাও কেটে যাবে, তাদের ক্ষমতাও চলে যাবে।
তাই তারা চাইবেই আপনি যেন বিষয়টি না শিখতে পারেন।
যাই হোক, এবার করোনা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছু কথা বলি।
করোনা ইস্যুটা যখন প্রথম মিডিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক ব্লক ব্যাপকভাবে ছড়াইতে থাকলো,
এবং পাবলিক হুজুগ তুলে লকডাউন করার জন্য সরকারগুলোকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকলো,
তখন প্রথম বাধা দিয়েছিলো রিপাবলিকান ব্লক সদস্যরা।
কারণ- রিপাবলিকান ব্লক সদস্যদের ধারণা ছিলো, এই লকডাউনের মাধ্যমে ডোমাক্র্যাটিকরা রিপাবলিকানদের ব্যবসা বাণিজ্য নষ্ট করবে।
এখানে একটি বিষয় জানার দরকার-
বিশ্বজুড়ে রিপাবলিকানদের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাধান্য আছে (ব্যবসায়ীর সংখ্যা হিসেবে),
আর ডেমোক্র্যাটিকদের হইলো মিডিয়ায় প্রাধান্য (মিডিয়ার সংখ্যা হিসেবে)।
তবে ডেমোক্র্যাটিকরাও যে ব্যবসা করে না, তা নয়। তাদেরও বড় বড় ব্যবসায়ী আছে, তবে তা সংখ্যা হিসেবে রিপাবলিকান ব্লকের ব্যবসায়ীদের সমান নয়। তবে কিছু কিছু সেক্টরে তাদের আধিপত্য চোখে পড়ার মত। যেমন- ওষুধ ব্যবসা, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ব্যবসা, আইটি ব্যবসা (মাইক্রোসফট), সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক), এনজিও ব্যবসা এগুলোতে হইলো ডেমোক্র্যাটিক ব্যবসায়ীদের আধিপত্য।
কিন্তু এর মানে এই নয়, দুই দল ছাড়া আর ব্যবসায়ী নেই। বিশ্বজুড়ে তাদের নেটওয়ার্ক ছাড়াও আরো অনেক ব্যবসায়ী আছে।
যাই হোক, করোনা ইস্যু রিপাবলিকান ব্লকদের প্রথম বক্তব্য ছিলো-
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের (রিপাবলিকান + অন্যান্য) পতন ঘটানো হবে এবং ডেমোক্র্যাটিক ব্যবসায়ীদের উত্থ্যান ঘটানো হবে।
আপনারা নিজেরাই যদি হিসেব করে দেখবেন-
করোনাটাকে এমনভাবে সাজানো হইছে যেন-
এটা যত বাড়বে তত ডেমোক্র্যাটিক শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় তত লাভ হবে (ওষুধ, হাসপাতাল যন্ত্রপাতি, মিডিয়া, এনজিও ব্যবসা) ।
অপরদিকে অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা তাদের পতন হবে।
যেহেতু ডেমোক্র্যাটিকরা অন্য ব্যবসায়ীদের (রিপাবলিকান+অন্যান্য)দেরকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে,
তাই নিজেদের মিডিয়া ব্যবহার করে তারা করোনার নামে একটা গণবিভ্রান্তি তৈরী করে, অন্যদের পতন ঘটালো এবং নিজেদের উত্থান ঘটালো।
শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য যে তারা কত মানুষের ক্ষতি করলো, তার কোন হিসেবে নেই।
তবে সাধারণ মানুষের যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতির জ্ঞান থাকতো,
তবে শুরুতেই তারা ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়ার উস্কানির ফাদে পা দিতো না।