লকডাউন খুললে করোনার গতি কমে আসে !

6t esMSatfpoSnnsoredy 
লকডাউন খুললে করোনার গতি কমে আসে !
জার্মানিতে লকডাউন শিথিল করার পর করোনার গতি অস্বাভাবিকভাবে কমে এসেছে। ২ সপ্তাহ আগে লকডাউন শিথিল দোকানপাট খোলার পর করোনার রিপ্রডাকশন নম্বর হ্রাস পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবে করোনার রিপ্রডাকশন নম্বর বা Ro যেখানে থাকার কথা ২.২-৩.৫ সেখানে এখন জার্মানিতে এর পরিমাণ এখন নেমে এসেছে ০.৭১ এ।
উল্লেখ্য, জার্মানি লকডাউন শিথিল করার পর অনেকে ভবিষ্যতবাণী করেছিলো, জার্মানিতে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আঘাত হানবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, উল্টো ঘটনা ঘটছে। অর্থাৎ লকডাউন শিথিল করার পর করোনার গতি আরো হ্রাস পাচ্ছে। এই রেজাল্ট দেখে আঞ্চলকি সরকাররা তাদের রেস্ট্রুরেন্ট, বার, হোটেলগুলো উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (https://bit.ly/2SWSsk7)
মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের মিডিয়া কিন্তু কখনই প্রমাণিত বাস্তব খবরগুলো করে না, যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ করোনাকে বুঝতেও পারে না। গত কয়েকদিনের মিডিয়ায় দেখবেন- “জার্মানিতে লকডাউন শিথিল করার কারণে করোনার গতি বাড়ছে বা বাড়তে পারে’ বলে বহু আজগুবি খবর হয়েছে, কিন্তু যখন বাস্তব প্রমাণ দেখা গেলো- লকডাউন খুললে করোনার গতি কমে, সেই খবর কিন্তু বাংলাদেশের কোন মিডিয়া এখন করে নাই। কারণ সেটা করলে তারা যে এতদিন মানুষকে উল্টো মেরে ফেলার ওষুধ দিছে, সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে।
একই ঘটনা ঘটেছিলো কয়েকদিন আগে। মিডিয়া হু এর বিবৃতি প্রচার করেছে, করোনায় দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ বা ইম্যুউনিটি হয় এর প্রমাণ নেই। রি-ইনফেকশন হচ্ছে, হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ সম্ভব না -এসব খবর কিন্তু অনেক হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন হাতে-কলমে প্রমাণ করে দিলো- করোনা একবার হলে দ্বিতীয়বার হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই, দীর্ঘমেয়াদী ইম্যুনিটি হয়। এই খবরগুলো বাংলাদেশের কোন মিডিয়াকে এখনও আমি প্রচার করতে দেখি নাই। (https://bit.ly/35tqVvk,)
যাই হোক, জার্মানিতে লকডাউন শিথিল করার পর করোনার গতি হ্রাস বা রিপ্রডাকশন নম্বর কমে আসার পর আমার ব্যক্তিগতভাবে একটি কথা মনে হচ্ছে, আপনাদের সাথে তা শেয়ার করি-
আমার মনে হয়, করোনার মত ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপের রোগগুলোর সঠিক ওষধ মনে হয় অধিক সংখ্যক মানুষকে ফেস করানো। বিষয়টি অনেকটা সমুদ্র থেকে ঘূর্ণঝড়গুলো যখন সুন্দরবনে আঘাত করে, সেরকম। দেখা যায় একটা ঝড় সুন্দরবনে বাধাগ্রস্ত হয়ে শুরুতেই অনেক দুর্বল হয়ে যায় বা অনেকাংশ থেমে যায়। যদি সুন্দরবন না থাকতো, তবে সেই ঝড় হয়ত অনেক ভেতরে এসে অনেক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারতো।
আমার ধারণা- করোনাকে যখন স্বাভাবিকগতিতে চলতে দেয়া হয়, তখন সে শুরুতেই বিভিন্ন কমিউনিটিতে প্রবেশ করে বাধার সম্মুক্ষিন হয়, ছোট ছোট কমিউনিটি ভিত্তিক হার্ড ইম্যুনিটিতে আটকা পড়ে বা ব্যক্তি ইম্যুনিটিতে অধিকমাত্রায় বাধার সম্মুক্ষিণ হয়ে কোনভাবে নিজের শক্তি হারাতে থাকে। এবং এক পর্যায়ে সেটা থেমে যায়। হয়ত কিছু এলাকা আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় সেটা পৌছাতেই পারে না বা দুর্বল হয়ে গতি হারায়। অর্থাৎ ক্ষতিটা বিস্তৃতি এলাকায় হয় না, অল্প এলাকায় থেকে যায়। কিন্তু যখন লকডাউন-সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর নামে তার স্বাভাবিক চলাচলে বাধা প্রয়োগ করা হলো, তখন সে ছোট ছোট কমিউনিটির হার্ড ইম্যুনিটি বা ব্যক্তি ইম্যুনিটিতে অধিকমাত্রায় বাধার সম্মুক্ষিণ না হয়ে সহজেই অনেক এলাকায় শক্তি নিয়ে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায় এবং বিস্তৃত এলাকায় ক্ষতি করে।