১) চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে ওয়াটার বাস। সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা যাওয়া যাবে মাত্র ১৮ মিনিটে। (https://bit.ly/2KVbTps)
মন্তব্য: খবরটা দারুন, সময় বাচবে। কিন্তু ২০ কিলোমিটার যেতে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৪০০ টাকা। ফলে খরচ অনেক বাড়বে।
২) পরিবেশ দূষণ রোধে ঢাকার আশপাশের সবগুলো ইটভাটা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। (https://bit.ly/2siZKUI)
মন্তব্য: খবরটা শুনতে ভালো। কিন্তু এটা করলে ইটের দাম বেড়ে নির্মাণ খরচ হুহু করে বেড়ে যাবে। ফলে একদিকে নির্মাণ খরচ বাড়বে, অন্যদিকে বাড়িভাড়া বাড়বে। একবারে হবে না, ধিরে ধিরে ইটভাটাগুলোকে অটোতে রূপান্তর করতে হবে, অথবা ইটভাটার চিমনিতে ছাকনি’র ব্যবহার নিশ্চিত করতে। হঠাৎ করে কিছু করতে গেলে তো বিরাট সমস্যা তৈরী হবে। উল্লেখ্য এব্যাপারে আড়াল থেকে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক, তাদের এ সেক্টরে ফান্ডিং আছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য খতিয়ে দেয়া দরকার।
৩) চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৪ গ্রামের ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা। ঐ এলাকায় দেশী শিল্প কারখানা পানি উত্তোলন করায়, জনসাধারণের ৩০০ টিউবয়েল ব্নধ হওয়ার প্রেক্ষিতে বিদেশী মদদপুষ্ট পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা এই রিটটি করে। (https://bit.ly/2OKE4Z9)
মন্তব্য: মাথা ব্যাথা হলে মাথা কাটা কোন সমাধান নয়। সাধারণত কোন এলাকায় শক্তিশালী পাম্বের সাহায্যে বেশি পানি উত্তোলন করলে, হঠাৎ করে এই সমস্যা হতে পারে। তবে এর মানে এই নয়, ঐ এলাকার সব ভূগর্ভস্থ পানি ঐ কলকারখানা নিয়ে যাচ্ছে। মূলত পানি উত্তোলনের স্তর পরিবর্তন করলেই সমস্যা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব। এক্ষেত্রে হয় দেশী কলকারখানারা নিজেরাই পানি উত্তোলনের স্তর পরিবর্তন করতে পারে। অথবা জনসাধারণের যে টিউবওয়েলগুলোর সমস্যা হচ্ছে, সেগুলোর স্তর পরিবর্তন করতে পারে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সকল কলকারাখানা মিলে সেই ৩০০ টিউববয়েলের স্তর পরিবর্তনের খরচ বহন করতে পারে। কিন্তু এগুলো না করে দেশী কলকারাখানার পানি ব্নধ করে দিলে তারা চলবে কিভাবে ? এভাবে চলতে থাকলে একে একে সব দেশী শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে এবং বেকারত্ব বাড়বে। এতে বিদেশী আমদানিকৃত পণ্যের উপর নির্ভরশীল হলে জনগণের খরচ বহুগুনে বাড়বে।
৪) খবর: পদ্মা সেতুতে বসলো ১৭তম স্প্যান, আড়াই কিলোমিটার দৃশ্যমান (https://bit.ly/2pVLG2G)
মন্তব্য: আহ কি সুন্দর খবর। কিন্তু আমি চিন্তা করতেছি এই সেতু হওয়ার পর এর নামকরণ ‘কল্লাকাটা সেতু’ হয় কি না ? না ! না ! ভুল বুঝবেন না, আমি এই কল্লা বলতে সেই কল্লা বুঝাইনি। বুঝিয়েছি এই সেতু পার হতে জনগণের যে খরচ হবে, সেটাতে জনগণের খরচের গলাকাটা যায় কি না ? কারণ প্রাথমিকভাবে সেতু পারাপারে যে টোল নির্ধারণ হয়েছে, সেটা বর্তমান ফেরি খরচের দেড়গুন। ফলে জনগণের ভাড়ার ক্ষেত্রে এর প্রভাব ২-৩ গুন পর্যন্ত। তাই পদ্মা সেতু হয়েছে ভালো, কিন্তু সেতু পারাপারে জনগণের খরচ ২-৩ গুন বাড়বে সেটাও জনগণকে হিসেব করতে হবে।
উন্নয়নের অভাব নেই, কিন্তু প্রতি উন্নয়নের পেছনের কিন্তুটা হলো - জনগণের খরচ বৃদ্ধি।
অথচ এমন কোন উন্নয়ন হচ্ছে না, যার কারণে জনগণের খরচ কমবে।
আমি আগেই বলেছি, এটা একটা ধারবাহিক সিস্টেম, যার ফাঁদে আটকা পড়েছে জনগণ।
তাই জনগণকে এক যোগে শ্লোগান তুলতে হবে- উন্নয়ন চাই না খরচ কমান।
অথচ এমন কোন উন্নয়ন হচ্ছে না, যার কারণে জনগণের খরচ কমবে।
আমি আগেই বলেছি, এটা একটা ধারবাহিক সিস্টেম, যার ফাঁদে আটকা পড়েছে জনগণ।
তাই জনগণকে এক যোগে শ্লোগান তুলতে হবে- উন্নয়ন চাই না খরচ কমান।