মেট্রোরেলের পেছনে ৯৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর
মেট্রোরেলের জন্য একনেকে অনুমোদন হয়েছে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। আসুন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখি।
১) মেট্রোরেল কেন দরকার ?
উত্তর- রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য।
২) ঢাকার যানজট কেন হয়?
উত্তর – অতিরিক্ত জনসংখ্যা চাপের কারণে।
৩) আচ্ছা, সারা বাংলাদেশে জনগণের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি ?
উত্তর- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া।
৪) মেট্রোরেলের কারণে রাজধানীতে কিছু জনগণের চলাচল সহজ হবে। কিন্তু মেট্রোরেলের সাইড এফেক্ট কি ?
উত্তর- মেট্রোরেল বানানোর খরচ জনগণের উপর চাপবে। ফলে জনগণের দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্য খরচ আরো বাড়বে।
৫) আচ্ছা, এমন কোন কিছু আছে, যেখানে ইনভেস্ট করলে জনগনের খরচও কমবে আবার যানজটও কমবে ?
উত্তর – আছে। তার নাম হিমাগার। প্রতি জেলায় জেলায়, থানায় থানায় সরকারী উদ্যোগে হিমাগার বানালে।
৬) কিভাবে সম্ভব ? প্রতি জেলায়, থানায় হিমাগারের সাথে ঢাকার যানজটের সম্পর্ক কি ? আবার দ্রব্যমূল্যের সম্পর্কটাও কেমন ?
উত্তর- একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে হবে। যেমন ধরুন- পেয়াজ। বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিবেশ কিন্তু উন্নত মানের পেয়াজ উৎপাদনের জন্য একেবারে উপযোগী আবহওয়া। কিন্তু তারপরও শীতের ৬ মাস যাওয়ার পর বাংলাদেশের পেয়াজের দাম হুহু করে কেন বাড়তে থাকে ? কেন বিদেশ থেকে উচু দরে পেয়াজ আমদানি করতে হয় ? বাংলাদেশের পেয়াজ কেন থাকে না ? এর কারণ-
বাংলাদেশের পেয়াজ সংরক্ষণ বা হিমাগারের অভাব। এতে প্রচুর পেয়াজ উৎপাদন হলেও কিছুদিন পরেই পেয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। নিচের খবরগুলো পড়ুন-
ক) পিয়াজের উচ্চ মূল্য নিয়ে অনুসন্ধান: ফি বছর উৎপাদন বাড়ে বাড়ে না হিমাগার!
(https://bit.ly/35Ohira)
খ) ভারত নির্ভরশীলের দরকার নেই দেশি পেয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন
(https://bit.ly/2o1WSd9)
উত্তর- রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য।
২) ঢাকার যানজট কেন হয়?
উত্তর – অতিরিক্ত জনসংখ্যা চাপের কারণে।
৩) আচ্ছা, সারা বাংলাদেশে জনগণের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি ?
উত্তর- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া।
৪) মেট্রোরেলের কারণে রাজধানীতে কিছু জনগণের চলাচল সহজ হবে। কিন্তু মেট্রোরেলের সাইড এফেক্ট কি ?
উত্তর- মেট্রোরেল বানানোর খরচ জনগণের উপর চাপবে। ফলে জনগণের দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্য খরচ আরো বাড়বে।
৫) আচ্ছা, এমন কোন কিছু আছে, যেখানে ইনভেস্ট করলে জনগনের খরচও কমবে আবার যানজটও কমবে ?
উত্তর – আছে। তার নাম হিমাগার। প্রতি জেলায় জেলায়, থানায় থানায় সরকারী উদ্যোগে হিমাগার বানালে।
৬) কিভাবে সম্ভব ? প্রতি জেলায়, থানায় হিমাগারের সাথে ঢাকার যানজটের সম্পর্ক কি ? আবার দ্রব্যমূল্যের সম্পর্কটাও কেমন ?
উত্তর- একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে হবে। যেমন ধরুন- পেয়াজ। বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিবেশ কিন্তু উন্নত মানের পেয়াজ উৎপাদনের জন্য একেবারে উপযোগী আবহওয়া। কিন্তু তারপরও শীতের ৬ মাস যাওয়ার পর বাংলাদেশের পেয়াজের দাম হুহু করে কেন বাড়তে থাকে ? কেন বিদেশ থেকে উচু দরে পেয়াজ আমদানি করতে হয় ? বাংলাদেশের পেয়াজ কেন থাকে না ? এর কারণ-
বাংলাদেশের পেয়াজ সংরক্ষণ বা হিমাগারের অভাব। এতে প্রচুর পেয়াজ উৎপাদন হলেও কিছুদিন পরেই পেয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। নিচের খবরগুলো পড়ুন-
ক) পিয়াজের উচ্চ মূল্য নিয়ে অনুসন্ধান: ফি বছর উৎপাদন বাড়ে বাড়ে না হিমাগার!
(https://bit.ly/35Ohira)
খ) ভারত নির্ভরশীলের দরকার নেই দেশি পেয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন
(https://bit.ly/2o1WSd9)
সরকারি উদ্যোগে যদি প্রচুর পরিমাণে হিমাগার তৈরী করা হতো, তবে কৃষকরা সেখানে পেয়াজ সংরক্ষণ করতে পারতো। এতে পেয়াজের মৌসুমে ৮-১২ টাকায় পেয়াজ বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যায় পেয়াজ চাষীরা। সরকার পেয়াজগুলো নিজ উদ্যোগে সংরক্ষণ করে সেটা যদি সারা বছর ৩০ টাকা দরেও জনগনের কাছে পৌছাতো তবে একদিকে যেমন কৃষক বাচতো, অন্যদিকে জনগণও সারা বছর কমমূল্যে পেয়াজ খেতে পারতো। জনগণের খরচ অনেক কমে যেতো। জনগণ গড়ে সারা বছর ৬০ টাকা কেজি দরে পেয়াজ খায়, ৩০ টাকা করে পেলে প্রতি কেজিতে বাচতো ৩০ টাকা। যেহেতু জনগণের বাৎসরিক চাহিদা ২২ লক্ষ মেট্রিক টন, তাই বছরে জনগনের খরচ বাচতো- প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। ফলে জনগণের দৈনন্দিন ব্যয় কমে আসতো।
এতো দিলাম শুধু পেয়াজের হিসাব। অনেক এলাকায়ে দেখবেন হিমাগারের অভাবে ইলিশ নষ্ট হচ্ছে। কয়েকদিন পর শীত আসলে দেখবেন কিভাবে বিভিন্ন সবজী নষ্ট হয়। ক্ষেতের টমেটো ক্ষেতেই নষ্ট হবে। তুলতে যে খরচ, সেটা বিক্রি করলে পোষাবে না। অথচ মাঠে নষ্ট হওয়া সেই ফসলের সময় শেষ হলে কেজি প্রতি মূল্য শত টাকা ছাড়াবে। অথচ সবকিছুর সমাধান ছিলো হিমাগার বানানো।
৭) বাংলাদেশের বর্তমানে কত পেয়াজ উৎপাদন হয়, সেটা সংরক্ষণে হিমাগার তৈরীতে খরচ কত ?
উত্তর- বাংলাদেশে বর্তমানে পেয়াজ উৎপাদন হয় ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন, যা সারা বছর সংরক্ষণের জন্য হিমাগার তৈরীতে দুই ধরনের খরচ হতে পারে। সাধারণত পেয়াজ সংরক্ষণের জন্য খুব উন্নতমানের হিমাগার প্রয়োজন নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকের সহযোগীতায় রাজশাহীতে একটি প্রাকৃতিকবান্ধব হিমাগার তৈরী করেছিলেন, যা ৩০০ মেট্রিক টন পেয়াজ আলু সংরক্ষণ করতে পারবে, খরচ মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা। তবে উন্নতমানের প্রযুক্তি দিয়ে যদি হিমাগার বানানো হতো, তবে তার খরচ পড়তো আড়াই কোটি টাকা। ধরে নিলাম উন্নত প্রযুক্তি দিয়েই পেয়াজ সংরক্ষণগার করা হলো। এতে ২৪ লক্ষ টন পেয়াজ রাখার উপযোগী সংরক্ষণগার বানাতে খরচ হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ জনগণের যে খরচ বাচবে তা উঠতে মাত্র ৩ বছর লাগবে।
৮) পেয়াজ সংরক্ষণগার কিভাবে ঢাকার জনসংখ্যা কমাবে ?
উত্তর- এক হিসেবে ঢাকায় প্রতিদিন নতুন জনসংখ্যা যোগ হয় ২ হাজারের কিছু বেশি। মেট্রোরেল বহন করতে পারবে ৬০ হাজার লোক। অর্থাৎ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে যে মেট্রোরেল বানানো হবে, তা দিয়ে ৩০ দিন যে নতুন লোক ঢাকায় নতুন লোক প্রবেশ করবে, শুধু সেটা সামাল দেয়া যাবে। আর বাকিটা তো পরেই আছে।
কিন্তু আপনি যদি ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ২০০ থানায় হিমাগার বানান। তবে দেখা যাবে, প্রতি থানায় সেই হিমাগারকে কেন্দ্র করে শত শত লোকের চাকুরী হবে। সেই শত শত লোকের পরিবারসহ হাজার হাজার লোক আসবে। আবার তাদের ভাত-জামা-কাপড় দোকান- ওষুধ সরবরাহ করতে আরো হাজার লোকের আগমন ঘটবে। যদি প্রতি থানায় একটি হিমাগারকে কেন্দ্র করে মোট ৫ হাজার লোক ও তাদের পরিবারের রুটি রোজগারের ব্যবস্থা হয়, তবে ২০০ থানায় হবে ১০ লক্ষ লোকের রুচি-রুজির ব্যবস্থা। ফলে ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আপনি ঢাকায় ৩০ দিনের নতুন লোকের সমান লোকের যাতায়াত ব্যবস্থায় সুবিধা দিতে পারছেন। অথচ ২০ হাজার কোটি টাকা হিমাগার বানিয়ে আপনি ঢাকায় প্রবেশের ৫০০ দিনের জনসংখ্যা বাইরে আটকাতে পারছেন।
অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে, ঢাকায় লোক জমা হচ্ছে কেন ? কারণ কৃষিতে কৃষক সুবিধা করতে পারছে না। মানুষ কৃষি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় আসছে চাকুরীর খোজে। আপনি হিমাগার তৈরী করে যখন কৃষককে তার লাভের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, তখন সে আর কৃষি পেশা ছাড়ছে না। ফলে ঢাকায়ও তারা রুচি-রুজির জন্য ভিড় জমাচ্ছে না।
অর্থাৎ মেট্রোরেলের কারণে কিছু জনগণের হয়ত যাতায়াতের সুবিধা হবে, কিন্তু পুরো দেশের জনগণের দ্রব্যমূল্যের ব্যয় বাড়বে।
অপরদিকে হিমাগার তৈরী হলে- ঢাকায় অতিরিক্ত লোক এসে জমা হবে না, বরং অনেকে ঢাকা থেকে হিমাগার নির্মাণের এলাকায় চলে যেতে পারে। অপরদিকে হিমাগার নির্মাণের ফলে মানুষের দ্রব্যমূল্য কমে আসবে, মানুষের দৈনন্দিন খরচ কমবে।
উত্তর- বাংলাদেশে বর্তমানে পেয়াজ উৎপাদন হয় ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন, যা সারা বছর সংরক্ষণের জন্য হিমাগার তৈরীতে দুই ধরনের খরচ হতে পারে। সাধারণত পেয়াজ সংরক্ষণের জন্য খুব উন্নতমানের হিমাগার প্রয়োজন নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকের সহযোগীতায় রাজশাহীতে একটি প্রাকৃতিকবান্ধব হিমাগার তৈরী করেছিলেন, যা ৩০০ মেট্রিক টন পেয়াজ আলু সংরক্ষণ করতে পারবে, খরচ মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা। তবে উন্নতমানের প্রযুক্তি দিয়ে যদি হিমাগার বানানো হতো, তবে তার খরচ পড়তো আড়াই কোটি টাকা। ধরে নিলাম উন্নত প্রযুক্তি দিয়েই পেয়াজ সংরক্ষণগার করা হলো। এতে ২৪ লক্ষ টন পেয়াজ রাখার উপযোগী সংরক্ষণগার বানাতে খরচ হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ জনগণের যে খরচ বাচবে তা উঠতে মাত্র ৩ বছর লাগবে।
৮) পেয়াজ সংরক্ষণগার কিভাবে ঢাকার জনসংখ্যা কমাবে ?
উত্তর- এক হিসেবে ঢাকায় প্রতিদিন নতুন জনসংখ্যা যোগ হয় ২ হাজারের কিছু বেশি। মেট্রোরেল বহন করতে পারবে ৬০ হাজার লোক। অর্থাৎ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে যে মেট্রোরেল বানানো হবে, তা দিয়ে ৩০ দিন যে নতুন লোক ঢাকায় নতুন লোক প্রবেশ করবে, শুধু সেটা সামাল দেয়া যাবে। আর বাকিটা তো পরেই আছে।
কিন্তু আপনি যদি ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ২০০ থানায় হিমাগার বানান। তবে দেখা যাবে, প্রতি থানায় সেই হিমাগারকে কেন্দ্র করে শত শত লোকের চাকুরী হবে। সেই শত শত লোকের পরিবারসহ হাজার হাজার লোক আসবে। আবার তাদের ভাত-জামা-কাপড় দোকান- ওষুধ সরবরাহ করতে আরো হাজার লোকের আগমন ঘটবে। যদি প্রতি থানায় একটি হিমাগারকে কেন্দ্র করে মোট ৫ হাজার লোক ও তাদের পরিবারের রুটি রোজগারের ব্যবস্থা হয়, তবে ২০০ থানায় হবে ১০ লক্ষ লোকের রুচি-রুজির ব্যবস্থা। ফলে ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আপনি ঢাকায় ৩০ দিনের নতুন লোকের সমান লোকের যাতায়াত ব্যবস্থায় সুবিধা দিতে পারছেন। অথচ ২০ হাজার কোটি টাকা হিমাগার বানিয়ে আপনি ঢাকায় প্রবেশের ৫০০ দিনের জনসংখ্যা বাইরে আটকাতে পারছেন।
অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে, ঢাকায় লোক জমা হচ্ছে কেন ? কারণ কৃষিতে কৃষক সুবিধা করতে পারছে না। মানুষ কৃষি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় আসছে চাকুরীর খোজে। আপনি হিমাগার তৈরী করে যখন কৃষককে তার লাভের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, তখন সে আর কৃষি পেশা ছাড়ছে না। ফলে ঢাকায়ও তারা রুচি-রুজির জন্য ভিড় জমাচ্ছে না।
অর্থাৎ মেট্রোরেলের কারণে কিছু জনগণের হয়ত যাতায়াতের সুবিধা হবে, কিন্তু পুরো দেশের জনগণের দ্রব্যমূল্যের ব্যয় বাড়বে।
অপরদিকে হিমাগার তৈরী হলে- ঢাকায় অতিরিক্ত লোক এসে জমা হবে না, বরং অনেকে ঢাকা থেকে হিমাগার নির্মাণের এলাকায় চলে যেতে পারে। অপরদিকে হিমাগার নির্মাণের ফলে মানুষের দ্রব্যমূল্য কমে আসবে, মানুষের দৈনন্দিন খরচ কমবে।
৯) প্রশ্ন- সরকার তাহলে এমনটা করে না কেন ?
উত্তর- সরকারের প্ল্যান সম্পূর্ণ তার বিপরীত। গত ৩ বছর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছিলো- সরকারীভাবে আর কোন হিমাগার তৈরীর পরিকল্পনা সরকারের নেই । তবে বেসরকারীভাবে করলে সরকার তাতে হয়ত সহায়তা দিবে। (https://bit.ly/2HDOGsE) কিন্তু বেসরকারীভাবে করলে হিমাগারের অনেক খরচ বেড়ে যায়। ফলে কৃষক সেখানে খাদ্যসশ্য রেখে লাভবান হতে পারে না। পাশাপাশি সরকারী তদারকি না থাকায় মজুদ করার মত একটা সমস্যাও তৈরী হয়।
উত্তর- সরকারের প্ল্যান সম্পূর্ণ তার বিপরীত। গত ৩ বছর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছিলো- সরকারীভাবে আর কোন হিমাগার তৈরীর পরিকল্পনা সরকারের নেই । তবে বেসরকারীভাবে করলে সরকার তাতে হয়ত সহায়তা দিবে। (https://bit.ly/2HDOGsE) কিন্তু বেসরকারীভাবে করলে হিমাগারের অনেক খরচ বেড়ে যায়। ফলে কৃষক সেখানে খাদ্যসশ্য রেখে লাভবান হতে পারে না। পাশাপাশি সরকারী তদারকি না থাকায় মজুদ করার মত একটা সমস্যাও তৈরী হয়।
১০) সরকারের মূল প্ল্যান কি ?
উত্তর- সরকারের মূল প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই বলে দিয়েছেন-
“আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে যাবো”।
যার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি- দেশের কৃষকের অবস্থা নাজেহাল। কৃষক দাম না পেয়ে কৃষি পেশা ছেড়ে দিচ্ছে, অথচ একই পণ্য জনগণ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে। অপরদিকে সরকার যায়গায় যায়গায় শিল্প জোন তৈরী করছে। বিদেশীদের কাছে গিয়ে বলছে- আপনারা আসুন আমাদের এখানে কলকারাখানা বানান। আপনাদের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র, সুযোগ সুবিধা তৈরী করছি আপনারা আসুন। আপনারা সেই কলকারাখানায় আমাদের চাকুরী দিয়ে নিজ বাড়িতে আপনাদের দাস বানান।
উত্তর- সরকারের মূল প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই বলে দিয়েছেন-
“আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে যাবো”।
যার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি- দেশের কৃষকের অবস্থা নাজেহাল। কৃষক দাম না পেয়ে কৃষি পেশা ছেড়ে দিচ্ছে, অথচ একই পণ্য জনগণ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে। অপরদিকে সরকার যায়গায় যায়গায় শিল্প জোন তৈরী করছে। বিদেশীদের কাছে গিয়ে বলছে- আপনারা আসুন আমাদের এখানে কলকারাখানা বানান। আপনাদের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র, সুযোগ সুবিধা তৈরী করছি আপনারা আসুন। আপনারা সেই কলকারাখানায় আমাদের চাকুরী দিয়ে নিজ বাড়িতে আপনাদের দাস বানান।
ব্যক্তি জীবনে আমি এমন উদাহরণ দেখেছি-
বাবার বড় ব্যবসা। সন্তান যদি তার বাবার ব্যবসায় হাত লাগায় তবে সেই ব্যবসা আরো বড় করা সম্ভব। মাসিক আয় ২ লক্ষের যাগায় ৪ লক্ষ করতে পারে বাবা। কিন্তু সন্তান চায় সে বাবার ব্যবসা করবে না, সে অন্যের দ্বারে চাকুরী করবে। সে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ৩০ হাজার টাকার বেতনের চাকুরী পেলো। কিন্তু এক সময় বাবার বয়স হয়ে গেলো, মারা গেলে বাবা। বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথে বাবার ব্যবসাও শেষ। মাসিক ২ লক্ষ টাকা ইনকাম আসে না। সন্তান হয়ে গেলো অণ্যের ছাপোষা কর্মচারি। সে এখন টেনেটুনে সংসার চালায়।
বাবার বড় ব্যবসা। সন্তান যদি তার বাবার ব্যবসায় হাত লাগায় তবে সেই ব্যবসা আরো বড় করা সম্ভব। মাসিক আয় ২ লক্ষের যাগায় ৪ লক্ষ করতে পারে বাবা। কিন্তু সন্তান চায় সে বাবার ব্যবসা করবে না, সে অন্যের দ্বারে চাকুরী করবে। সে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ৩০ হাজার টাকার বেতনের চাকুরী পেলো। কিন্তু এক সময় বাবার বয়স হয়ে গেলো, মারা গেলে বাবা। বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথে বাবার ব্যবসাও শেষ। মাসিক ২ লক্ষ টাকা ইনকাম আসে না। সন্তান হয়ে গেলো অণ্যের ছাপোষা কর্মচারি। সে এখন টেনেটুনে সংসার চালায়।
সরকারের বর্তমান পলিসি দেখে আমার ঐ বাবা-সন্তানের কথা মনে পরে। সরকার নিজ দেশের কৃষিকেই শিল্পের দিকে নিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদক অর্থনীতি ধ্বংস করে আমাদেরকে বিদেশী কোম্পানির দাস বানানোর জন্য তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন। আর খাদ্য আমদানি করে জনগণের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুনে।
মানুষ, অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা করে, কিন্তু দেশকে আসলে কোন সিস্টেমে গ্রাস করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে কাউকে আলোচনা করতে দেখি না।