লাঙ্গলবন্দে গুজব রটিযে ১০ সনাতনকে হত্যা করে ইসকন। এন.সি-৮৫

Related imageলাঙ্গলবন্দে গুজব রটিযে ১০ সনাতনকে হত্যা করে ইসকন






লাঙ্গলবন্দে গুজব রটিযে ১০ সনাতনকে হত্যা করে ইসকন
২০১৫ সালের নারায়নগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের স্নান উৎসবে পদপিষ্ট হওয়ার কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। ২৭ই মার্চ ২০১৫ তারিখ দিনটি ছিলো শুক্রবার। লাঙ্গলবন্দে স্নান উৎসবে জড়ো হয়েছিলো হাজার হাজার সনাতন, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করে পদদলিত হওয়ার ঘটনা সবাইকে অবাক করে দেয়। নিহত হয় ১০ জন, আহত হয় প্রায় ১০০। বহু বছর স্নান উৎসব হলেও এই ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাহলে হঠাৎ করে কেন এই ঘটনা ?
পুরো বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত করে দেখে, প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্যে ব্রীজের উপর কে বা কারা গুজব রটিয়ে দেয়, ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। এই গুজবের কারণেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং সেখান থেকে পদদলিত হওয়ার ঘটনা। (https://bit.ly/2N4bVwl)
কিন্তু কথা আসে কে এই গুজব রটালো ?
ঘটনার দিন বিডিনিউজ২৪ এর রিপোর্ট অনুসারে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, “একদিকে রাস্তা সরু, বেইলি সেতু তার চেয়েও সরু। রাজঘাটের সামনে ঢোল বাদ্য বাজিয়ে আসছিল ইসকনের কিছু লোক। উল্টো দিক থেকে স্নান সেরে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন অনেকে। এ সময় হঠাৎ হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদদলিত হয়ে মারা যায় মানুষ।” (https://bit.ly/34hCqEu)
৫ই এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে একটি দৈনিকে প্রচারিত খবর-
“বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানোৎসবের সময় পদপিষ্ট হয়ে ১০ জন নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত নাশকতা বলে দাবি করেছেন এক হিন্দু নেতা। লাঙ্গলবন্দে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে আয়োজিত শোকসভা শেষে উক্ত হিন্দু নেতা সাংবাদিকদের জানান, এটি কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়, পরিকল্পিত নাশকতা ছিল।
তিনি জানান, ঘটনার সময় রাজঘাটের সামনে প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে হরে কৃষ্ণ -হরে রামা, হরে রাম বলতে বলতে ৫০/৬০ জনের একটি ইসকনের দল হঠাৎ করে ভীড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
ভীড়ের মধ্যে প্রবেশ করেই এরা গুজব রটায় ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। এরপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভীড়ের মধ্যে প্রচন্ড ধাক্কা-ধাক্কি শুরু করে। এক পর্যায়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে যুবক বয়সের ঐ লোকগুলো। ফলে আগতরা প্রাণভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকলে প্রচ- চাপে ব্রীজের পাশে পদপিষ্ট হয়ে ৭ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ ঘটনাস্থলে মারা যায়।
বন্দর থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও স্নান উদযাপন কমিটির সদস্য শংকর দাস আরো জানান, ‘ইসকনের সেই গ্রুপটাই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, স্নানের দু’শ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। ”
(https://bit.ly/2PI7d9g)
উল্লেখ্য, ঐ এলাকায় ইসকন ও সাধারণ সনাতনীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে, যা বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এ বিষয় নিয়ে লাঙ্গলবন্দের সনাতন হিন্দুরা ২০১৭ সালে ডিসি বরাবর স্বারকলিপি দেয়। সেই স্বারকলিপিতে সনাতন হিন্দুরা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করে-
১) ইসকনের সদস্যরা সনাতনীদের মন্দিরে হামলা চালায়,
২) ইসকন সনাতনদের মন্দির দখলের চেষ্টা চালায়,
৩) ইসকন সনাতনদের ধর্ম নিয়ে কুৎসা রটনা করে, এবং তাদের মতবাদ সনাতনদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। ক্ষেত্রে বিশেষে বল প্রয়োগ করে।
৪) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতনদের উপর হুমকি প্রদান করে।
৫) বিভিন্ন ঘটনা সাজিয়ে স্থানীয় সনাতন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরী করে। এবং তা সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে ফেসবুকে উস্কানি দেয়। নিজেরাই সনাতন সেজে স্থানীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে।
(https://bit.ly/36qdQ64)
পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে যেটা বোঝা যাচ্ছে-
প্রথমে ইসকন ও তার সমগোত্রীয় উগ্রহিন্দুত্ববাদী দলগুলো নিজেরাই সনাতনদের উপর আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতঃপর সেই ঘটনাকে ইস্যু হিসেবে দাড় করিয়ে নিজেরাই দেশব্যাপী ফিল্ডে মানবন্ধন-সমাবেশ এবং ফেসবুকে প্রচার চালায় যে- মুসলমানরা হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে । এতে এক ঢিলে তারা দুই পাখি মারে- একদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী সনাতনকে আঘাত করে দুর্বল করে, অপরদিকে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে মাঝখান থেকে ত্রাণকর্তা সেজে রাজনীতি করে, নিজেদের প্রচার প্রসার করে। এক্ষেত্রে একটি সিন্ডিকেট কাজ করে-
ক) ধর্মীয় গ্রুপ- ইসকন।
খ) রাজনৈতিক গ্রুপ- হিন্দু মহাজোট, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান এক্য পরিষদ
গ) ছাত্র গ্রুপ- জাগো হিন্দু বাংলাদেশ
ঘ) মিথ্যা মামলা গ্রুপ- অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ বা মাইনোরিটি ওয়াচ।