আবরার হত্যাকাণ্ড : ছাত্রলীগ আর্টিফিশিয়াল ফেস, রিয়েল ফেস ‘অমিত সাহা’ -৩
আবরার হত্যাকাণ্ড : ছাত্রলীগ আর্টিফিশিয়াল ফেস, রিয়েল ফেস ‘অমিত সাহা’ -৩
সরকার কেন ইসকনের ক্ষত্রিয় রাজা কৃষ্ণ পদ রায়কে আবরাকের মৃত্যুর পর পাঠালো ?
অনেকে ভাবতে পারে, পদাতিক বলেই কৃষ্ণ পদ রায়কে পাঠানো হয়েছে । কিন্তু বিষয়টি সেরকম নাও হতে পারে। এই ঘটনায় যে ইসকন বা আন্তর্জাতিক হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক আছে, এই খবর সরকারের কাছে ছিলো, সেটা বুঝেই সে কৃষ্ণ পদ রায়কে মূল করে পাঠায়। এটা বর্তমান সরকারের একটি বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ যে ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, সমাধানে তাদের মধ্যে থেকে কাউকে পাঠানো, যেন সুন্দরভাবে মিটমাট করতে পারে। যেমন- এর আগের টার্মে সরকার পররাষ্ট্র বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা সম্মুখিন হচ্ছিলো ডেমোক্র্যাটপন্থীদের দিয়ে। এ কারণে সরকার এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছে ডেমোক্র্যাটপন্থী আব্দুল মোমেনকে। একইভাবে গার্মেন্টস সেক্টরেও শ্রমিক বা বৈদেশিকভাবে ঝামেলা করছিলো ডেমোক্র্যাটপন্থীরা। সেজন্য বিজিএমইএ সভাপতি করে দিছে মেয়র আনিসুলের বউ ডেমোক্র্যাট ঘরনার রুবানা হককে। ঠিক একইভাবে সরকার এক্ষেত্রে কৃষ্ণ পদ রায়কে পাঠিয়েছে, ঐ বিশেষগোষ্ঠীর সাথে এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের যেন কোন ঝামেলা না হয়, সেটাই ম্যানেজ করার জন্য।
অনেকে ভাবতে পারে, পদাতিক বলেই কৃষ্ণ পদ রায়কে পাঠানো হয়েছে । কিন্তু বিষয়টি সেরকম নাও হতে পারে। এই ঘটনায় যে ইসকন বা আন্তর্জাতিক হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক আছে, এই খবর সরকারের কাছে ছিলো, সেটা বুঝেই সে কৃষ্ণ পদ রায়কে মূল করে পাঠায়। এটা বর্তমান সরকারের একটি বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ যে ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, সমাধানে তাদের মধ্যে থেকে কাউকে পাঠানো, যেন সুন্দরভাবে মিটমাট করতে পারে। যেমন- এর আগের টার্মে সরকার পররাষ্ট্র বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা সম্মুখিন হচ্ছিলো ডেমোক্র্যাটপন্থীদের দিয়ে। এ কারণে সরকার এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছে ডেমোক্র্যাটপন্থী আব্দুল মোমেনকে। একইভাবে গার্মেন্টস সেক্টরেও শ্রমিক বা বৈদেশিকভাবে ঝামেলা করছিলো ডেমোক্র্যাটপন্থীরা। সেজন্য বিজিএমইএ সভাপতি করে দিছে মেয়র আনিসুলের বউ ডেমোক্র্যাট ঘরনার রুবানা হককে। ঠিক একইভাবে সরকার এক্ষেত্রে কৃষ্ণ পদ রায়কে পাঠিয়েছে, ঐ বিশেষগোষ্ঠীর সাথে এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের যেন কোন ঝামেলা না হয়, সেটাই ম্যানেজ করার জন্য।
সিসিটিভি ফুটেজের দিকে বেশি লক্ষ্য দিলে মূল খুনীরা আড়াল হয়ে যাবে
সিসিটিভি ক্যামেরাটি ছিলো মূলত বারান্দায়, হলের রুমের ভেতরে না। তাই কে মারছে আর কে উস্কানি দিচ্ছে তা বোঝার কোন উপায় নেই। তাই কেউ যদি আবরারের সাহায্যে এগিয়েও আসে, তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মনে হতে পারে, হয়ত সেই অপরাধী। যেহেতু খুনের ঘটনা ঘটেছে হলের রুমের ভেতরে তাই সিসিটিভি ফুটেজের গুরুত্ব অনেকটাই কম। উল্লেখ্য, অনেক উন্নতরাষ্ট্রে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না, কারণ সিসিটিভি অনেক ক্ষেত্রে ভালো মানুষকে অপরাধী করে দিতে পারে, আবার অপরাধীকে ভালো মানুষ করে দিতে পারে। একেক দিক থেকে একেক রকম মনে হতে পারে। কিছুদিন আগে মিন্নীর ঘটনায় সেটা দেখা গেছে, কলেজ গেটের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে একরকম মনে হয়েছে, আবার হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আরেকরকম মনে হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরাটি ছিলো মূলত বারান্দায়, হলের রুমের ভেতরে না। তাই কে মারছে আর কে উস্কানি দিচ্ছে তা বোঝার কোন উপায় নেই। তাই কেউ যদি আবরারের সাহায্যে এগিয়েও আসে, তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মনে হতে পারে, হয়ত সেই অপরাধী। যেহেতু খুনের ঘটনা ঘটেছে হলের রুমের ভেতরে তাই সিসিটিভি ফুটেজের গুরুত্ব অনেকটাই কম। উল্লেখ্য, অনেক উন্নতরাষ্ট্রে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না, কারণ সিসিটিভি অনেক ক্ষেত্রে ভালো মানুষকে অপরাধী করে দিতে পারে, আবার অপরাধীকে ভালো মানুষ করে দিতে পারে। একেক দিক থেকে একেক রকম মনে হতে পারে। কিছুদিন আগে মিন্নীর ঘটনায় সেটা দেখা গেছে, কলেজ গেটের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে একরকম মনে হয়েছে, আবার হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আরেকরকম মনে হয়েছে।
তাহলে কৃষ্ণ পদ রায় কেন সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তালবাহানা করলো ?
কৃষ্ণ পদ রায়কে যে ছাত্রকে আড়াল করার জন্য পাঠানো হয়েছিলো, ৬ ঘণ্টার লম্বা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তারা শিওর হচ্ছিলো, আসলেই সে সিসিটিভি থেকে আড়াল হয়েছিলো কি না। এর জন্য পুরো সিসিটিভিটা দেখতে তারা সময় নিচ্ছিলো। যখন তারা মোটামুটি শিওর হয়, এটা দিয়ে তাদের মূল গোমর ধরা পড়বে না, তখনই তারা সে হস্তান্তর করে।
কৃষ্ণ পদ রায়কে যে ছাত্রকে আড়াল করার জন্য পাঠানো হয়েছিলো, ৬ ঘণ্টার লম্বা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তারা শিওর হচ্ছিলো, আসলেই সে সিসিটিভি থেকে আড়াল হয়েছিলো কি না। এর জন্য পুরো সিসিটিভিটা দেখতে তারা সময় নিচ্ছিলো। যখন তারা মোটামুটি শিওর হয়, এটা দিয়ে তাদের মূল গোমর ধরা পড়বে না, তখনই তারা সে হস্তান্তর করে।
শেখ হাসিনা বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ সহ্য করবে, কিন্তু ভারতকে পানি দেয়া বন্ধ সহ্য করবে না।
আমি আগেই আপনাদের বলেছিলাম, ছাত্রলীগ এখানে আর্টিফিশিয়াল ফেস, কিন্তু ভারতের স্বার্থ রিয়েল ফেস। এ কারণে শেখ হাসিনা বুয়েটে ছাত্রলীগ বন্ধ সহ্য করবে, কিন্তু ভারতকে পানি দেয়া বন্ধ সহ্য করবে না। কারণ তার কাছে ছাত্রলীগের থেকে ভারতের স্বার্থ রক্ষা বেশি জরুরী এবং নিদের্শনাটা সেরকমই হয়েছে। (চলবে)
আমি আগেই আপনাদের বলেছিলাম, ছাত্রলীগ এখানে আর্টিফিশিয়াল ফেস, কিন্তু ভারতের স্বার্থ রিয়েল ফেস। এ কারণে শেখ হাসিনা বুয়েটে ছাত্রলীগ বন্ধ সহ্য করবে, কিন্তু ভারতকে পানি দেয়া বন্ধ সহ্য করবে না। কারণ তার কাছে ছাত্রলীগের থেকে ভারতের স্বার্থ রক্ষা বেশি জরুরী এবং নিদের্শনাটা সেরকমই হয়েছে। (চলবে)
