কিছুদিন আগে আওয়ামীলীগ যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের অনেককে গ্রেফতার করে, কাউকে কাউকে দল থেকে সরিয়ে দেয়। শুধু তাই না, সেই বিশেষ প্যানেলের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকার কারণে পুলিশসহ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে ট্র্যান্সফার করে্।
এই বিষয়টির সাথে আওয়ামীলীগের অবশ্যই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোন বিশেষ পলিসি আছে। ঘটনা হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস কিন্তু বহিস্কৃত সেই প্যানেলের সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু তারপরও কেন আওয়ামীলীগ কেন সনজিতকে ধরতেছে না ? কেন প্রশাসনের লোকরা সনজিতকে বাচাতে তালবাহানা করতেছে ? শুধু সনজিতের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ?
তবে এখানে কিন্তু আওয়ামীলীগের জন্য একটা মেসেজ আছে। মেসেজটা হলো- আওয়ামীলীগ যখনই কোন হিন্দুকে আলগা সুযোগ দিয়েছে, তখনই ঐ হিন্দু ধর্মাবলম্বী তাকে বিপদে ফেলে।
আমি এটা বিশ্বাস করি, নুরুকে অযথা মারার সাথে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কোন পলিসি নাই। এটা যাস্ট একটা গ্রুপের কাজ, যারা নিজের স্বার্থের জন্য আওয়ামীলীগকে সব সময় ব্যবহার করে এবং প্রায়শঃই আওয়ামীলীগকে বিপদে ফেলে। আবরারের ঘটনার পর নুরুর ঘটনা। তাদের বিরুদ্ধে যদি আওয়ামীলীগ কঠোর না থাকে, তবে তাদের দ্বারা আরো বড় বিপদ আসতে পারে দলের জন্য।
ছবি: আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত পঙ্কজ দেবনাথের সাথে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।