এত এত পেয়াজ আমদানি, তবুও পেয়াজের দাম কমে না কেন ?
ক্যাসিনোকাণ্ড শুরু হওয়ার পর পর পেয়াজের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার মনে সন্দেহ তৈরী করেছিলো। আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সাথে টাকা পাচারের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে।
ক্যাসিনোকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে একটা ঘোষণা দেয়া হয়, অবৈধ সম্পদশালীদের ধরা হবে, কিন্তু দেশে দুর্নীতির অনেক অবৈধ টাকা অনেকের কাছেই রয়ে গেছে, সেগুলোর কি হবে ?
আমার মনে হয়েছে, সরকার দলীয় স্বার্থেই তার নিজের লোকদের সেই টাকা দেশের বাইরে ‘সেফ এক্সিট’ করার একটা সুযোগ দিবে, এবং ট্যাক্সবিহীন পেয়াজ আমদানির মাধ্যমে সেটা করা হচ্ছে।
আমার মনে হয়েছে, সরকার দলীয় স্বার্থেই তার নিজের লোকদের সেই টাকা দেশের বাইরে ‘সেফ এক্সিট’ করার একটা সুযোগ দিবে, এবং ট্যাক্সবিহীন পেয়াজ আমদানির মাধ্যমে সেটা করা হচ্ছে।
আমরা খবরে দেখছি, প্রচুর পরিমাণে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে,
যেহেতু, কিছুদিন পর বাজারে নতুন পেয়াজ আসবে, তাই আমদানি করা পেয়াজ বন্দি করে রাখার কোন কারণ থাকতে পারে না। নতুন পেয়াজ মার্কেটে আসবে আর পেয়াজের দাম কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না, বরং পেয়াজের দাম হু হু করে বেড়েই যাচ্ছে। এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে, সমস্যাটা আসলে অন্যখানে।
যেহেতু, কিছুদিন পর বাজারে নতুন পেয়াজ আসবে, তাই আমদানি করা পেয়াজ বন্দি করে রাখার কোন কারণ থাকতে পারে না। নতুন পেয়াজ মার্কেটে আসবে আর পেয়াজের দাম কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না, বরং পেয়াজের দাম হু হু করে বেড়েই যাচ্ছে। এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে, সমস্যাটা আসলে অন্যখানে।
এর কারণ হতে পারে, আমদানি করা হচ্ছে কাগজ কলমে, কিন্তু বাস্তবে কম পরিমাণ পেয়াজের বিপরীতে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। আর উচ্চ মূল্যের বিষয়টিও দীর্ঘায়িত করে রাখা হচ্ছে, অবৈধ অর্থ সেফ এক্সিট করার পর্যাপ্ত সময় হিসেবে।
বর্তমান সরকারের যে পলিসি, তাতে সরকার দেশে আমদানি করা কৃষি পণ্যের থেকে বিদেশ থেকে আমদানি করা কৃষি পণ্যের দিকে বেশি খেয়াল দিচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষ কেউ কেউ বলেও ফেলছে, দেশের সকল কৃষিপণ্য বন্ধ হয়ে যাক, তাহলে সব কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে। এতে দুটি লাভ, এক- আমাদানি করার সময় দলীয় লোক কমিশন পাবে, দুই-আমদানির নাম করে সহজে দেশের অবৈধ টাকা পাচার করতে পারবে। কিন্তু দেশের কৃষক উৎপাদন করলে সেই সুযোগ থাকবে না। অথচ বিদেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানি করে চলতে গেলে পেয়াজের মত সব কিছুর দামও লাগামহীন হয়ে পড়বে, দেশে তৈরী হবে দুর্ভিক্ষ।
ভুলে গেলে চলবে না, মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথম হলো খাদ্য। মানুষের পেট ভরা থাকলে বাকি মৌলিক চাহিদাগুলো একটু পরে হলেও চলে। বাংলাদেশের নতুন যে সময় আসতেছে সেখানে জনগণের প্রথম মৌলিক চাহিদা ‘খাদ্য’কে পূজি করে ক্ষমতাধররা অর্থ কামানোর নতুন ফন্দি এটেছে। জনগণকে এই নতুন বিষয়ে ভাবতে হবে, রূখে দাড়াতে হবে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।