আওয়ামী সরকারের বর্মের নাম ‘গুজব’। এন.সি-৬০

Related image
আওয়ামী সরকারের বর্মের নাম ‘গুজব’
সম্প্রতি পেয়াজের পর হঠাৎ করে লবনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে যে গুজব রটে, তা শুনেই আমার সন্দেহ তৈরী হয়। আসলেই কি জনগণ এ গুজব রটালো? নাকি কেউ মূল্যবৃদ্ধির সাথে গুজব সংযুক্ত করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকলো ? যেন পরবর্তীতে কোন পণ্যের দাম বাড়লে বলা যায়, “এটার দাম পাবলিক গুজব রটিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের সরকারের কোন দোষ নেই।”
একটা জিনিস খেয়াল করবেন, সরকার যখনই তার বা তার দলের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়, তখন তাকে ‘গুজব’ বলে প্রচার করে।
যখন কেই ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা করে, তখন তাকে গুজব বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়।
যখন ডেঙ্গু হয়, তখন তাকে গুজব বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়।
আওয়ামীলীগের ফেসবুকে গ্রুপের নাম “গুজবে কান্দিবেন না”।
মূলতঃ বাজারে যে কোন পণ্যের দাম উঠা-নামা করে সাপ্লাই ডিমান্ডের উপর নির্ভর করে। এটা একটা স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া।
মুলতঃ লবন এমন একটা জিনিস, যা পচনশীল না। তাই মার্কেট থেকে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই।
আবার পেয়াজের সাথে তুলনা করলে এর চাহিদাও কম।
হয়ত একটা ছোট পরিবারে মাসে ১০ কেজি পেয়াজ লাগতে পারে,
কিন্তু লবন লাগবে মাত্র ১ কেজি।
হ্যা লবনের দাম বাড়তে পারে, কিন্তু ২৫ টাকার লবন সর্বোচ্চ ৫০ টাকা হবে।
এর বেশি তো হওয়ার কথা না। তাই সেটা পাবলিকের জন্য বড় সমস্যা হবে না। আর এ কারণে পাবলিকও এটা নিয়ে গুজব তৈরী করবে বলে আমার মনে হয় না।
তাই লবন নিয়ে গুজব রটার বিষয়টি আমার কাছে অনেকটা কৃত্তিম তৈরী করা হয়েছে বলে মনে হয়।
কেউ ইচ্ছা করেই কিছু লোক ঠিক করে কাজটি করিয়েছে।
উদ্দেশ্য এর পর থেকে যত পণ্যের দাম বাড়বে, তখন সেটা গুজব বলে চালিয়ে দেয়া যাবে।
হ্যা, এখন থেকে ধাপে ধাপে সকল দ্রব্যমূল্যের দাম ও জীবনযাত্রা ব্যয় অত্যধিক বাড়বে এবং এটাই চরম সত্য।
এরজন্য দায়ী সরকারের ভুল অর্থনৈতিক পলিসি।
সরকার কর্পোরেটোক্রেসি পলিসি গ্রহণ করে দেশীয় উৎপাদকদের শেষ করে বিদেশী উৎপাদকদের নিয়ে আসার প্ল্যান নিয়েছে। দেশের অর্থ শেষ করে ফেলেছে ইট-বালু-সিমেন্ট আর বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাতে।
এই কারণে সকল পণ্যে র দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরো অনেক পাবে। এবং এটা কখনই গুজব নয়, বরং ধারবাহিক বাস্তবতা।