সংবাদপত্রে চোখ রাখুন নিয়মিত -এন.সি-৪৯

Related image
সংবাদপত্রে চোখ রাখুন নিয়মিত -
১) ৩০শে নভেম্বর, ২০১৯
সিলেটে ঋণের দায়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার চেষ্টা
(https://bit.ly/2OY2wGp)
২) ২৭ নভেম্বর, ২০১৯
খবর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2L8t4DT)
৩) ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
ঋণের টাকার জন্য চাপ, ফরিদপুরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/33w3vTB)
৪) ১২ নভেম্বর, ২০১৯
মুন্সিগঞ্জে দেনার দায়ে কাপড় ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/33xJY5h)
৫) ২৮ অক্টোবর ২০১৯
চাদপুরে ‘ঋণের’ চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2DqGIhz)
৬) ২৭ অক্টোবর ২০১৯
কেরানীগঞ্জে ঋণগ্রস্ত গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2P1yTEa)
৭) ১১ অক্টোবর, ২০১৯
রাজধানীর মিরপুরে ঋণখেলাপি হয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2OUBGPy)
৮) ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ভোলায় ঋণের দায়ে জর্জিরত হয়ে মুদি ব্যবসায়ী আত্মহত্যা
(https://bit.ly/33sG5ys)
৯) ৩১ আগস্ট ২০১৯
চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক সমস্যা ও হতাশায় ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2sndEVI)
১০) ২৭শে আগস্ট, ২০১৯
খবর: বরিশালে ঋণগ্রস্ত হয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2Y05JJL)
১১) ৭ আগস্ট, ২০১৯
মাদারীপুরে ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2Y1cJ9l)
১২) ২রা আগস্ট, ২০১৯
কুমিল্লায় দেনার চাপ সহ্য না করতে পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2OYUD3A)
এই যে ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যা শুরু হয়ে গেছে। এটা হইলো কর্পোরেটোক্রেসির একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কোন সমাজে যখন কর্পোরেটোক্রেসি’র বাস্তবায়ন শুরু হয়, তখন অর্থনীতি সংকোচন হওয়া শুরু করে। ব্যবসায়ীরা হচ্ছে সমাজের খুটির মত। তারা সমাজটাকে অর্থনৈতিকভাবে ধরে রাখে। তাই প্রথম সংকোচনের চাপটা পড়তে থাকে ব্যবসায়ীদের উপর। ব্যবসায়ীদের কিন্তু প্রেসার নেয়ার ক্ষমতাও বেশি। তারা প্রেসার নিতে থাকে, প্রেসার নিতে থাকে। এক পর্যায়ে যখন তার ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যায়, তখন তারা আত্মহত্যা শুরু করে। এটা সাধারণ জনগণের জন্য খারাপ লক্ষণ।
কারণ এরপর প্রেসার যাবে ব্যবসায়ীদের অধীনে যারা চাকরী করে, অথবা তাদের উপর কোনভাবে নির্ভরশীল অর্থাৎ সাধারণ পাবলিকের উপর। পাবলিকের কিন্তু প্রেসার নেয়ার ক্ষমতা কম। দেখবেন- পাবলিকের উপর যখন প্রেসার আসা শুরু করতেই পাবলিক হৈ হৈ শুরু করে দিবে। কেউ ক্ষুধার জ্বালায় মারা যাবে, কেউ আত্মহত্যা করবে, কেউ পাগল হয়ে যাবে, কেউ হার্টফেল করে মারা যাবে, কেউ রাস্তায় ঘুমানো শুরু করবে, কেউবা বউ-মেয়েকে পতিতাবৃত্তিতে নামাবে, কেউবা চুরি-ডাকাতি-সন্ত্রাসীপনা শুরু করবে, কেউবা রাস্তায় নেমে মারামারি করবে। তখন কর্পোরেটোক্রেসির আসল অবস্থাটা দৃশ্যমান হবে।
আমি ফেসবুকে যখন কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে লিখি,
তখন দেখি কেউ কেউ বলে- খরচ বাড়ুক, সমস্যা নেই। ফ্লাইওভার মেট্রোরেল চাই।
আবার কেউ পরিবেশের দোহাই দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস যায়।
কেউবা খরচ বাড়ানোর বিভিন্ন আইনের বাস্তবায়ন চায়।
তখন আমি ঐ কমেন্টকারীদের কমেন্ট দেখে হাসি।
হতে পারে এরা এখনও বাপের হোটেলে খায়।
বাপের কষ্টের খবর তার কাছে এখনও পৌছেনি।
অথবা তার বাপ-ভাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়,
অথবা তারা ক্ষমতাসীনদের লোক, যারা কর্পোরেটোক্রেসির কমিশনভোগী।
তাই তারা এখনও বাস্তবে আসেনি, কিংবা সামনে কি ধরনের বাস্তবতার মুখোমুখী হতে হবে, সে সম্পর্কে তাদের বিন্দুমাত্র ধারণাও নেই