শেখ হাসিনা ভারত যাওয়ার প্রাক্কালে চট্টগ্রামের পূজা উদযাপন পরিষদ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে তারা ১১টি দাবী উত্থাপন করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিলো সামরিক বাহিনীতে হিন্দু নিয়োগের বিষয়ে। (https://bit.ly/2ncv7hp)
বিষয়টি আমি গুরুত্বহীনভাবে দেখার পক্ষপাতি নই,
কারণ- ছাগল নাচে খুটির জোরে। ভারতীয় খুটি থেকে দেয়া দিক নির্দেশনাগুলোই সাধারণত এদেশে তাদের প্রতিনিধি সংগঠনগুলো আওড়ায় ।
কারণ- ছাগল নাচে খুটির জোরে। ভারতীয় খুটি থেকে দেয়া দিক নির্দেশনাগুলোই সাধারণত এদেশে তাদের প্রতিনিধি সংগঠনগুলো আওড়ায় ।
ভারতীয়দের একটি জোর বক্তব্য হলো- বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে জঙ্গীতে ভরপুর,
তাদের এক সাংবাদিক কিছুদিন আগে শেখ হাসিনাকে এসএসএফ হত্যা করতে চেয়েছিলো শিরোনামে মিথ্যা খবর ছাপায়।
তাদের এদেশীয় দালালরা প্রায় বক্তব্য দেয়- বাংলাদেশের সেনাবাহিনী থেকে জঙ্গী ছাকনি দিয়ে বের করতে হবে।
তাদের এক সাংবাদিক কিছুদিন আগে শেখ হাসিনাকে এসএসএফ হত্যা করতে চেয়েছিলো শিরোনামে মিথ্যা খবর ছাপায়।
তাদের এদেশীয় দালালরা প্রায় বক্তব্য দেয়- বাংলাদেশের সেনাবাহিনী থেকে জঙ্গী ছাকনি দিয়ে বের করতে হবে।
ভারতীয়দের ধারণা- বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে ভারতপন্থী, বিশেষ করে হিন্দুদের অনুপ্রবেশ দরকার আছে।
যতদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে তারা সেটা প্রতিষ্ঠা না করতে পারবে, ততদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের জন্য থ্রেট।
এর আগে ২০১৭ সালে ৮ই এপ্রিল ভারতের গিয়ে মোদির সাথে সামরিক বাহিনী নিয়ে চূক্তি করে এসেছিলো শেখ হাসিনা।
সে চূক্তি অনুসারে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ভারতের থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণে অস্ত্র কিনতে পারবে।
ভারতের সম্ভবত ইচ্ছা ছিলো, অস্ত্র আদান প্রদানের মাধ্যমে তারা কিছুটা হলেও বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে ইনফিলট্রেট করতে পারবে। তবে, ঐ চূক্তির সময় মনে হয়েছিলো বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিষয়টি ততটা পছন্দ করে নাই,
কিন্তু ভারত কিছু চাইলে শেখ হাসিনা না করতে পারেন না, এ জন্য অনেকটা সামরিক বাহিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই চূক্তি করতে হয় শেখ হাসিনাকে।
আপনারদের মনে থাকার, মাস খানেক আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসে।
তখন সে একটা কথা বলেছিলো- বাংলাদেশ সামরিক চূক্তি শুধু কাগজে কলমে করলো,
কিন্তু অস্ত্র তো সামরিক বাহিনী নিলো না। তাদের তো চূক্তি করা যাবে, তবে অস্ত্র নেয়া হচ্ছ না কেন ?
তারা অস্ত্র নিক। (https://bit.ly/2ndcERT )
তারমানে, শেখ হাসিনা মুখে চূক্তি করছে, কিন্তু সামরিক বাহিনী সেটাকে পাত্তা দিতে চাইছে না।
যতদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে তারা সেটা প্রতিষ্ঠা না করতে পারবে, ততদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের জন্য থ্রেট।
এর আগে ২০১৭ সালে ৮ই এপ্রিল ভারতের গিয়ে মোদির সাথে সামরিক বাহিনী নিয়ে চূক্তি করে এসেছিলো শেখ হাসিনা।
সে চূক্তি অনুসারে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ভারতের থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণে অস্ত্র কিনতে পারবে।
ভারতের সম্ভবত ইচ্ছা ছিলো, অস্ত্র আদান প্রদানের মাধ্যমে তারা কিছুটা হলেও বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে ইনফিলট্রেট করতে পারবে। তবে, ঐ চূক্তির সময় মনে হয়েছিলো বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিষয়টি ততটা পছন্দ করে নাই,
কিন্তু ভারত কিছু চাইলে শেখ হাসিনা না করতে পারেন না, এ জন্য অনেকটা সামরিক বাহিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই চূক্তি করতে হয় শেখ হাসিনাকে।
আপনারদের মনে থাকার, মাস খানেক আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসে।
তখন সে একটা কথা বলেছিলো- বাংলাদেশ সামরিক চূক্তি শুধু কাগজে কলমে করলো,
কিন্তু অস্ত্র তো সামরিক বাহিনী নিলো না। তাদের তো চূক্তি করা যাবে, তবে অস্ত্র নেয়া হচ্ছ না কেন ?
তারা অস্ত্র নিক। (https://bit.ly/2ndcERT )
তারমানে, শেখ হাসিনা মুখে চূক্তি করছে, কিন্তু সামরিক বাহিনী সেটাকে পাত্তা দিতে চাইছে না।
যাই হোক, এতগুলো কথা বললাম-
কারণ শেখ হাসিনা এখন দিল্লীতে।
আর দিল্লী কিছু চাইলে তিনি না করতে পারেন না, এটা তার বড় সমস্যা।
প্রথমে যেটা বলেছিলাম, মানে সামরিক বাহিনীতে হিন্দু প্রবেশ করানো নিয়ে, শেখ হাসিনার সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যে দাবী তুললো, এটা কোন টেস্ট কেস কি না ? সফরে মোদি যদি শেখ হাসিনার কাছে সেই দাবী করে (মানে এমন কোন দাবী যাতে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে ভারতপন্থীদের ইনফিলট্রেট করার সুযোগ তৈরী হয়) তার বিরুদ্ধে কি শেখ হাসিনা কি ‘না’ বলতে পারবে ?
কারণ শেখ হাসিনা এখন দিল্লীতে।
আর দিল্লী কিছু চাইলে তিনি না করতে পারেন না, এটা তার বড় সমস্যা।
প্রথমে যেটা বলেছিলাম, মানে সামরিক বাহিনীতে হিন্দু প্রবেশ করানো নিয়ে, শেখ হাসিনার সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যে দাবী তুললো, এটা কোন টেস্ট কেস কি না ? সফরে মোদি যদি শেখ হাসিনার কাছে সেই দাবী করে (মানে এমন কোন দাবী যাতে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে ভারতপন্থীদের ইনফিলট্রেট করার সুযোগ তৈরী হয়) তার বিরুদ্ধে কি শেখ হাসিনা কি ‘না’ বলতে পারবে ?
আরেকটি বিষয়- শেখ হাসিনা ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরসহ বাংলাদেশের অনেক নৌপথ অবাধ ব্যবহারে জন্য চূক্তি করতে যাচ্ছেন। কথা হলো- এতে নৌ-বাহিনী কিংবা সেনা বাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনার সাথে ভারতের কোন দ্বন্দ্ব ঘটার সম্ভবনা আছে কি না ? সে বিষয়টি চিন্তা করে দেখা জরুরী।