শেখ হাসিনা মিডল ইস্ট গেছে এয়ার শো দেখতে
কয়েকদিন পর কলকাতা যাবে ক্রিকেট শো দেখতে,
এর কয়েকদিন পর শুরু হবে মুজিববর্ষ, সেটা নিয়েও দেশে-বিদেশে অনেক শো আছে।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যে নিদারুণ কষ্ট-শো করতেছে, সেটা দেখার উনার সময় নাই।
কয়েকদিন পর কলকাতা যাবে ক্রিকেট শো দেখতে,
এর কয়েকদিন পর শুরু হবে মুজিববর্ষ, সেটা নিয়েও দেশে-বিদেশে অনেক শো আছে।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যে নিদারুণ কষ্ট-শো করতেছে, সেটা দেখার উনার সময় নাই।
এদিকে, পান্থপথ রাস্তাকে খাল বানিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
আসলে সরকার ‘জল সবুজে ঢাকা’ বলে একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছে,
তার মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধণ করা হবে ঢাকা শহরের,
যায়গায় যায়গায় মানুষের বেড়ানোর জন্য হাতিরঝিলের মত প্রকল্প হবে।
সরকার মূল খেয়াল এখন ‘উন্নয়ন’ তথা দেশের সৌন্দর্য বর্ধনের দিকে।
আরো সহজ ভাষায়- দেশ হতে চলেছে লস অ্যাঞ্জেলস- প্যারিস ।
বিশ্বাস না হলে প্লেনে চড়ে উপর থেকে দেখুন।
আসলে সরকার ‘জল সবুজে ঢাকা’ বলে একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছে,
তার মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধণ করা হবে ঢাকা শহরের,
যায়গায় যায়গায় মানুষের বেড়ানোর জন্য হাতিরঝিলের মত প্রকল্প হবে।
সরকার মূল খেয়াল এখন ‘উন্নয়ন’ তথা দেশের সৌন্দর্য বর্ধনের দিকে।
আরো সহজ ভাষায়- দেশ হতে চলেছে লস অ্যাঞ্জেলস- প্যারিস ।
বিশ্বাস না হলে প্লেনে চড়ে উপর থেকে দেখুন।
আসলে সরকারের বর্তমান পলিসি বুঝতে হলে সরকারের বস্তি উচ্ছেদ পলিসির দিকে তাকাতে হবে।
বস্তিতে আগুন ধরিয়ে বস্তিবাসীকে পুড়িয়ে যেমন সেখানে পর্যটন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে,
ঠিক তেমনি দেশের জনগনকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলে
অতঃপর পরিষ্কার করে দেশকে সাজানো হচ্ছে।
হয়ত ভাবতে পারেন- জনগণই যদি নাই থাকে, তবে দেশ সাজিয়ে লাভ কি ?
আরে ভাই আপনি ভুল ভাবছেন, জনগণের জন্য তো দেশ সাজানো হচ্ছে না,
সাজানো হচ্ছে বিদেশীদের জন্য। বিদেশীরা আসবে, দেশ ঘুড়ে ফিরে দেখবে,
যদি পছন্দ হয় ইনভেস্ট করবে, নয়ত করবে না।
বস্তিতে আগুন ধরিয়ে বস্তিবাসীকে পুড়িয়ে যেমন সেখানে পর্যটন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে,
ঠিক তেমনি দেশের জনগনকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলে
অতঃপর পরিষ্কার করে দেশকে সাজানো হচ্ছে।
হয়ত ভাবতে পারেন- জনগণই যদি নাই থাকে, তবে দেশ সাজিয়ে লাভ কি ?
আরে ভাই আপনি ভুল ভাবছেন, জনগণের জন্য তো দেশ সাজানো হচ্ছে না,
সাজানো হচ্ছে বিদেশীদের জন্য। বিদেশীরা আসবে, দেশ ঘুড়ে ফিরে দেখবে,
যদি পছন্দ হয় ইনভেস্ট করবে, নয়ত করবে না।
এই যে দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বানিয়ে তারপর বিদেশীদের নিয়ে আসার প্রকল্প নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার, একটা খবরে দেখলাম, এটা নাকি সরকার শিখেছে মোদির গুজরাট থেকে।
গুজরাটে যেমন অর্থনৈতিক অঞ্চল করে সেখানে বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে তুলেছিলো মোদি সেটাকে অনুকরণ করেই শেখ হাসিনা এই ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প নিয়েছে। এজন্যই শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে বলে- “আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে প্রত্যাবর্তণ করছি”।
গুজরাটে যেমন অর্থনৈতিক অঞ্চল করে সেখানে বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে তুলেছিলো মোদি সেটাকে অনুকরণ করেই শেখ হাসিনা এই ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প নিয়েছে। এজন্যই শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে বলে- “আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে প্রত্যাবর্তণ করছি”।
এখানে একটা হিসেব নিকেষের দরকার আছে।
আরব সাগরের পাশে হলেও গুজরাট মূলত একটি খরা প্রবন এলাকা। সেখানে কৃষি উৎপাদন খরার কারণে খুবই সংকটাপূর্ণ। তাই সেখানে কলকারখানার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করাটা যৌক্তিক।
আরব সাগরের পাশে হলেও গুজরাট মূলত একটি খরা প্রবন এলাকা। সেখানে কৃষি উৎপাদন খরার কারণে খুবই সংকটাপূর্ণ। তাই সেখানে কলকারখানার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করাটা যৌক্তিক।
কিন্তু কোন দেশ যদি অধিক উর্বর হয়, অধিকাংশ জমি চাষবাসের কাজে ব্যবহার হয়, তখন ?
তখন সেখানে চাষ বন্ধ করে দিয়ে কলকারখানা গড়ে তোলা কতটুকু সাফল্য নিয়ে আসতে পারে ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, পৃথিবীর ২০২টি রাষ্ট্রের মধ্যে পৃথিবীর ১ম রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ,
যার শতকরা হিসেবে (মোট ভূমির) সবচেয়ে বেশি জমি চাষাবাদের সাথে যুক্ত।
এর পরিমাণ মূল রাষ্ট্রের ৫৯%।
তখন সেখানে চাষ বন্ধ করে দিয়ে কলকারখানা গড়ে তোলা কতটুকু সাফল্য নিয়ে আসতে পারে ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, পৃথিবীর ২০২টি রাষ্ট্রের মধ্যে পৃথিবীর ১ম রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ,
যার শতকরা হিসেবে (মোট ভূমির) সবচেয়ে বেশি জমি চাষাবাদের সাথে যুক্ত।
এর পরিমাণ মূল রাষ্ট্রের ৫৯%।
এখন কথা হলো-
আপনার বাপ দাদা যে ব্যবসা করছিলো,
আপনিও সে ব্যবসা করেন, আপনি সে ব্যবসায় অভিজ্ঞ।
কিন্তু হঠাৎ পাশের বাড়ির ছেলের ব্যবসা দেখে আপনার শখ জাগলো,
আহহা, আমি আমার বাপ-দাদার ব্যবসা থুয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করি, ঐ ব্যবসায় হয়তো লাভবান হবো।
কথা হচ্ছে, নিজের বাপ-দাদার সাজানো ব্যবসা থুয়ে পাশের বাড়ির ছেলের ব্যবসা দেখে যে ব্যবসা শুরু করলেন, সেখানে যে সফল হবেন, তার গ্যারান্টি কতটুকু ??
আপনার বাপ দাদা যে ব্যবসা করছিলো,
আপনিও সে ব্যবসা করেন, আপনি সে ব্যবসায় অভিজ্ঞ।
কিন্তু হঠাৎ পাশের বাড়ির ছেলের ব্যবসা দেখে আপনার শখ জাগলো,
আহহা, আমি আমার বাপ-দাদার ব্যবসা থুয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করি, ঐ ব্যবসায় হয়তো লাভবান হবো।
কথা হচ্ছে, নিজের বাপ-দাদার সাজানো ব্যবসা থুয়ে পাশের বাড়ির ছেলের ব্যবসা দেখে যে ব্যবসা শুরু করলেন, সেখানে যে সফল হবেন, তার গ্যারান্টি কতটুকু ??
অনেকে বলতে পারেন- ভাই আপনি এখনও ব্যাকডেটেড। দেশ যদি ইন্ডাস্ট্রিলাইজেশন না হয়, তবে উন্নতি হবে কিভাবে ?
আরে ভাই, আমি তো শিল্পের বিরোধীতা করছি না।
আমি বলছি শিল্পই যদি গড়তেই হয়, তবে কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলুন।
আমার যে কাচামাল ‘কৃষি’ আছে, আমি সেটাকে পূজি করে শিল্প গড়ে তোলা অধিক বুদ্ধিমানের কাজ নয়কি ?
আমার কৃষিও ধ্বংস হলো না, আবার আমার শিল্পও গড়ে উঠলো।
কিন্তু সেগুলো বাদ দিয়ে আমি লোহা লক্করের শিল্প গড়ে তুলতে যাবো, যদি সেটা না হয়, তার রিক্স কার ?
আমি বলছি শিল্পই যদি গড়তেই হয়, তবে কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলুন।
আমার যে কাচামাল ‘কৃষি’ আছে, আমি সেটাকে পূজি করে শিল্প গড়ে তোলা অধিক বুদ্ধিমানের কাজ নয়কি ?
আমার কৃষিও ধ্বংস হলো না, আবার আমার শিল্পও গড়ে উঠলো।
কিন্তু সেগুলো বাদ দিয়ে আমি লোহা লক্করের শিল্প গড়ে তুলতে যাবো, যদি সেটা না হয়, তার রিক্স কার ?
এছাড়া কৃষি থেকে শিল্পের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে গেলে খাদ্যদ্রব্যের উপর যে ধাক্কা লাগবে সেটা সামাল দিবেন কিভাবে ? (ইতিমধ্যে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি শুরু হয়ে গেছে)
আজকে বলতেছেন, পেয়াজ না খেলে কি হয় ? আমি তো পেয়াজ খাই না।
কালকে তো বলবেন- ভাত না খেলে কি হয় ? আমিও তো ভাই খাই না।
কিন্তু আপনি যে স্যান্ডউইচ খান, সেটা তো বললেন না, আর পাবলিকের তো স্যান্ডইউচ খাওয়ার সক্ষমতা নেই।
আজকে বলতেছেন, পেয়াজ না খেলে কি হয় ? আমি তো পেয়াজ খাই না।
কালকে তো বলবেন- ভাত না খেলে কি হয় ? আমিও তো ভাই খাই না।
কিন্তু আপনি যে স্যান্ডউইচ খান, সেটা তো বললেন না, আর পাবলিকের তো স্যান্ডইউচ খাওয়ার সক্ষমতা নেই।
সত্যিই বলতে বাংলাদেশের মানুষের তো একটাই দেশ
বাংলাদেশ।
তাদের তো ইউরোপ-আমেরিকা সেকেন্ড হোম নেই,
সেখানে ব্যবসা বাণিজ্যও নেই, যা আছে সব দেশে।
তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি’র মূল গোড়া নিয়ে ‘যদি লাইগ্গা যায় টাইপের জুয়া’ খেলতে যান,
তখন তো আপনাদের মাথায় চিন্তা আসবে না, আসবে সাধারণ জনগণের মাথায়। কারণ তাদের তো যাওয়ার আর কোন যায়গা নেই।
বাংলাদেশ।
তাদের তো ইউরোপ-আমেরিকা সেকেন্ড হোম নেই,
সেখানে ব্যবসা বাণিজ্যও নেই, যা আছে সব দেশে।
তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি’র মূল গোড়া নিয়ে ‘যদি লাইগ্গা যায় টাইপের জুয়া’ খেলতে যান,
তখন তো আপনাদের মাথায় চিন্তা আসবে না, আসবে সাধারণ জনগণের মাথায়। কারণ তাদের তো যাওয়ার আর কোন যায়গা নেই।
তাই দেশ চালকদের বলছি, বাংলাদেশ নিয়ে জুয়া খেলা বাদ দিন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূল গোড়া শেষ করে বিদেশীদের দিয়ে কলকারখানা বানিয়ে,
তারপর তারা বাংলাদেশের মানুষকে ‘সেভ’ করবে এই চিন্তা শুধু যারা দলগতভাবে ড্রাংক তারা করতে পারে, জাতিগত হিসেবে বাংলাদেশীরা ড্রাংক না, তাই আমরা তা করতে পারি না।
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূল গোড়া শেষ করে বিদেশীদের দিয়ে কলকারখানা বানিয়ে,
তারপর তারা বাংলাদেশের মানুষকে ‘সেভ’ করবে এই চিন্তা শুধু যারা দলগতভাবে ড্রাংক তারা করতে পারে, জাতিগত হিসেবে বাংলাদেশীরা ড্রাংক না, তাই আমরা তা করতে পারি না।