বুয়েটে শিক্ষকদের মাধ্যমে কৌশলে ‘ইসকন’ সংগঠনের প্রচার। এন.সি- ১৩৩

Related image
বুয়েটে শিক্ষকদের মাধ্যমে কৌশলে ‘ইসকন’ সংগঠনের প্রচার


বুয়েটে শিক্ষকদের মাধ্যমে কৌশলে ‘ইসকন’ সংগঠনের প্রচার
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, তার নাম ‘সুমন সাহা’, ইসকন ধর্ম প্রচারক। তার আইডি (https://www.facebook.com/saha.sumon/) দেখলে বুঝতে পারবেন, বহু আগে থেকেই দেশ বিদেশে ইসকন ধর্ম প্রচারে সে কাজ করেছে । কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে মুসলিম শিশুদের ‘হরে কৃষ্ণ’ শ্লোগান উচ্চারণ করানো ইসকন সংগঠনের ফুড ফর লাইফ কার্যক্রমের সাথেও সম্পৃক্ত সে। ২০১৬ সালে সে নিয়োগ পায় বুয়েটের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষক হিসেবে।
উল্লেখ্য, ২৮শে মে ২০১৯ তারিখে সাউথ এশিয়ান মনিটরে একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিলো- “মন্দির সংখ্যায় ভারতকে ছাড়িয়ে, বাংলাদেশে ইসকনের প্রভাব বাড়ছে”। রিপোর্টটিতে বলা হয়- “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। অভিযোগ রয়েছে ইসকনের ভক্ত-অনুসারি বা দিক্ষিত এমন কমপক্ষে তিন জনকে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওপর চাপ রয়েছে সংগঠনটির। প্রসঙ্গটি তোলা হলে ইসকনের কেন্দ্রীয় স্বামীবাগ আশ্রমের ব্রহ্মচারী ঈশ্বর গৌরহরিদাস কোন রাখ ঢাক ছাড়াই বললেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের ৩/৪ জন করে ইসকনের ভক্ত-অনুসারি রয়েছেন। আর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ক্ষেত্রেই ২/৩ জন করে থাকছেন।
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ওখানেও আমাদের একজন নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন শুধু ফলাফলের অপেক্ষা।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে গণিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করা তরুণ এই ব্রহ্মচারী আরও জানান, তার বিভাগে ইসকনের অনুসারি কোন শিক্ষক না থাকলেও উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগে একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি পরে বিভাগীয় প্রধানেরও দায়িত্ব পালন করেন। (https://bit.ly/2nqlFal)
প্রসঙ্গত বলতে হয়, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন সংগঠনের সদস্য শিক্ষক হিসেবে থাকলে, ঐ শিক্ষকের মাধ্যমে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐ সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তারে সহজ হয়। কারণ ছাত্ররা খুব সহজেই শিক্ষকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঐ সংগঠনে যোগদান করে। আর সেই শিক্ষকটি যদি হয় উক্ত সংগঠনের ‘প্রচার এক্সপার্ট’ তবে তো কথাই নেই। ইসকন সেই কাজটি সুকৌশলে করে থাকে। অর্থাৎ বিশেষ কোন উপায় অবলম্বন করে ঐ শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনকে চাপ দিয়ে তারা ইসকন ধর্ম প্রচারে এক্সপার্টদের শিক্ষক হিসেবে হিসেবে প্রবেশ করায়, যা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছে, স্বামীবাগ আশ্রমের ব্রহ্মচারী ঈশ্বর গৌরহরিদাস। এবং এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ইসকন বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু হিন্দু ছাত্রকে ইসকন নামক সংগঠনের সক্রিয় সদস্যে পরিণত করেছে।
বিষয়টি নিয়ে আমি এ কারণে লিখলাম, কারণ বাংলাদেশীরা অনেক বিষয়েই সচেতন নয়। ছোটবেলায় হরলিক্সে বিজ্ঞাপনে এক শিশুর ডায়লাগ ছিলো- “আমি তো এমনি এমনি খাই”। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশীরাও ঐ শিশুর মত সব সময় ভাবে সবকিছুই মনে হয় এমনি এমনি হয়। আসলে কোন কিছুই এমনি এমনি হয় না, প্রতিটি ঘটনার পেছনে থাকে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর বিশেষ স্বার্থ হাসিলে বিশেষ কোন কার্যক্রম বাস্তবায়ন। সেখানে থাকে সুদূর প্রসারী প্ল্যান বাস্তবায়ন, যার খণ্ড অংশ দেখে সে এমনি এমনি মনে করে। এই যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসকন সদস্য বৃদ্ধি হচ্ছে, এর পেছনে দেশের বিরুদ্ধে গভীর কোন ষড়যন্ত্রের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে, যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ পুরোই বেখবর। কিন্তু একটা সময় যখন তা বিষ্ফোরণ হবে, তখন সাধারণ মানুষের আবরারের মত লাশ হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকবে না।