আমাকে যদি দায়িত্ব দেয়া হয়, বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য দ্রব্যের দাম কমানোর জন্য, তবে প্রথমে আমি যেটা করবো, সেটা হলো একটা ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরী করবো। সেখানে একটি খাদ্য দ্রব্যের একবারে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যতগুলো ধাপ আছে, সবগুলোর দর-দাম প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে।
যে কেউ,
যে কোন খাদ্যের,
যে কোন সময়,
যে কোন জেলায়
একবারে কৃষক, আড়ৎ, সংরক্ষণ, ব্যবসায়ী ও খুচরা মূল্যের রেট ও মজুদের পরিমাণ জেনে নিতে পারবে।
এই ওয়েবসাইটে তথ্য আপডেটের জন্য নির্দ্দিষ্ট লোক থাকবে এবং পাবলিকের প্রতি নির্দেশনা থাকবে, কেউ তথ্য নিয়ে কারচুপি করলে তাৎক্ষনিক কমপ্লেন করলে তার চাকুরী চলে যাবে।
এই ডায়নামিক ওয়েবসাইটে সব সময় দেখা যাবে, কোন যায়গায় গরমিলের কারণে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। তখন কেউ সিন্ডিকেট-ফিন্ডিকেট কিংবা ভারত-পাকিস্তানের দোষ দিয়ে গা বাচাতে পারবে না।
যে কোন খাদ্যের,
যে কোন সময়,
যে কোন জেলায়
একবারে কৃষক, আড়ৎ, সংরক্ষণ, ব্যবসায়ী ও খুচরা মূল্যের রেট ও মজুদের পরিমাণ জেনে নিতে পারবে।
এই ওয়েবসাইটে তথ্য আপডেটের জন্য নির্দ্দিষ্ট লোক থাকবে এবং পাবলিকের প্রতি নির্দেশনা থাকবে, কেউ তথ্য নিয়ে কারচুপি করলে তাৎক্ষনিক কমপ্লেন করলে তার চাকুরী চলে যাবে।
এই ডায়নামিক ওয়েবসাইটে সব সময় দেখা যাবে, কোন যায়গায় গরমিলের কারণে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। তখন কেউ সিন্ডিকেট-ফিন্ডিকেট কিংবা ভারত-পাকিস্তানের দোষ দিয়ে গা বাচাতে পারবে না।
ঠিক যে যায়গায় গরমিলের কারণে খাদ্যদ্রব্যের দাম ওঠা-নামা করছে, সেটাকে চিহ্নিত করে প্রথমে দেখতে হবে সেটা কি কারণে বাড়ছে। যদি অসৎনীতির কারণে বাড়ে, তবে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। আর যদি কোন বিশেষ কারণে বাড়ে তবে সেটাকে চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। যদি পরিবহণ খরচের জন্য বাড়ে, তবে সড়ক থেকে ট্রেন/নৌ পরিবহণের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি সংরক্ষণে সমস্যা হয়, প্রয়োজন ভিত্তিক হিমাগার বা কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে হবে। আর যদি কৃষক পর্যায়ে উৎপাদনে বাড়ে, তখন দেখতে হবে কৃষকের কোন কারণে বাড়ছে- বীজ, সার নাকি শ্রমিক খরচ।
আমার জানা মতে কৃষক শ্রেনী বীজ বা সারের ক্ষেত্রে ভারত নির্ভর।
এই নির্ভরতা কাটাতে বাংলাদেশে বীজ বা সার তৈরীর শিল্পের উপর জোর দিতে হবে।
এতে দেশী শিল্প গড়ে ওঠায় অনেকের কর্মসংস্থান হবে, আবার দেশীভাবে উৎপাদিত হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমবে। আর শ্রমিক খরচ যদি বেড়ে যায়, তখন একাধিক মালিকের জমি একত্র করে কৃষিযন্ত্রের দিকে উৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া কৃষি গবেষণার জন্য আলাদা কৃষি গবেষক থাকবে। এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি উপর থেকে কন্ট্রোল করবে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক টিম, যারা উপর থেকে পুরো বিষয়টি ইন্টেলেকচুয়াল সাপোর্ট ও মনিটরিং করে যাবে। কোন যায়গায় ‘বটলনেক’ হলে তা তাৎক্ষণিক রিমুভ করার উপায় খুঁজবে।
এই নির্ভরতা কাটাতে বাংলাদেশে বীজ বা সার তৈরীর শিল্পের উপর জোর দিতে হবে।
এতে দেশী শিল্প গড়ে ওঠায় অনেকের কর্মসংস্থান হবে, আবার দেশীভাবে উৎপাদিত হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমবে। আর শ্রমিক খরচ যদি বেড়ে যায়, তখন একাধিক মালিকের জমি একত্র করে কৃষিযন্ত্রের দিকে উৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া কৃষি গবেষণার জন্য আলাদা কৃষি গবেষক থাকবে। এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি উপর থেকে কন্ট্রোল করবে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক টিম, যারা উপর থেকে পুরো বিষয়টি ইন্টেলেকচুয়াল সাপোর্ট ও মনিটরিং করে যাবে। কোন যায়গায় ‘বটলনেক’ হলে তা তাৎক্ষণিক রিমুভ করার উপায় খুঁজবে।
এই পুরো কাজটি করার জন্য যে আমাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে, বিষয়টি সে রকম নয়।
এ কাজটি বেসরকারিভাবেও করা যায়। সরকার শুধু এতটুকু নিশ্চয়তা দিবে, সে আমাকে বাধা দিবে না, সহযোগীতা করবে। এবং আমি যে দায়িত্বশীল এটা প্রচার করে দিবে। তবে আমি দুর্নীতি বা ব্যক্তিগত লাভবান হচ্ছি কি না, সেটা সে দেখতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারীভাবে অর্থ সহায়তারও দরকার নেই, পুরো জিনিসটা বেসরকারীভাবেই করা যায়। শুধু সাপ্লাই ডিমান্ড নিয়ন্ত্রণ করে দাম জনগণের সামর্থের মধ্যে রাখা কঠিন কিছু নয়। এটা করলে যা হবে-
১) ৪-৫ বছরের টার্গেট নিয়ে জনগণের খাদ্য খরচ তিন ভাগের এক ভাগ করা সম্ভব।
২) এখন খাবারের দাম বাড়লেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু তখন কৃষক থেকে ভোক্তা সবাই উপকৃত হবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বরং কৃষিতে ইনভেস্ট নিরাপদ বলে বিবেচিত হবে। অপচয় রোধ হবে।
৩) অনেকগুলো নতুন শিল্প দাড়িয়ে যাবে, ফলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
৪) বেকারত্ব বাড়বে না, বরং অনেক শিক্ষিত বেকার কৃষি পেশার দিকে ঝুকবে। ফলে বেকারত্ব কমবে।
৫) গ্রামীন অর্থনীতি দাড়িয়ে যাওয়ায়, চাকুরী খোজ করতে মানুষ শহরমুখী না হয়ে গ্রামমুখী হবে। ফলে শহরের উপর জনসংখ্যা চাপ কমবে।
৬) আমদানি হ্রাস পাবে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে বিদেশে রফতানি করা যাবে। উৎপাদন খরচ কম হলে বাইরের মার্কেট ধরা সহজ হবে। এক্ষেত্রে আলাদা কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে।
৭) পুরো পলিসি স্ব-দেশী বুদ্ধিবৃত্তিক নিয়ন্ত্রণে হতে হবে। বিদেশীরা পলিসি/গবেষণা/বুদ্ধি দিলে আমরা সেটা যাচাই করে দেখবো, পছন্দ হলে নিবো, নয়ত নিবো না।
৮) মানুষ খাবারের খরচ হ্রাস পেলে অতিরিক্ত টাকা হাতে থাকবে, যা দিয়ে নিত্য-নতুন উন্নতির কথা চিন্তা করা যাবে।
এ কাজটি বেসরকারিভাবেও করা যায়। সরকার শুধু এতটুকু নিশ্চয়তা দিবে, সে আমাকে বাধা দিবে না, সহযোগীতা করবে। এবং আমি যে দায়িত্বশীল এটা প্রচার করে দিবে। তবে আমি দুর্নীতি বা ব্যক্তিগত লাভবান হচ্ছি কি না, সেটা সে দেখতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারীভাবে অর্থ সহায়তারও দরকার নেই, পুরো জিনিসটা বেসরকারীভাবেই করা যায়। শুধু সাপ্লাই ডিমান্ড নিয়ন্ত্রণ করে দাম জনগণের সামর্থের মধ্যে রাখা কঠিন কিছু নয়। এটা করলে যা হবে-
১) ৪-৫ বছরের টার্গেট নিয়ে জনগণের খাদ্য খরচ তিন ভাগের এক ভাগ করা সম্ভব।
২) এখন খাবারের দাম বাড়লেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু তখন কৃষক থেকে ভোক্তা সবাই উপকৃত হবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বরং কৃষিতে ইনভেস্ট নিরাপদ বলে বিবেচিত হবে। অপচয় রোধ হবে।
৩) অনেকগুলো নতুন শিল্প দাড়িয়ে যাবে, ফলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
৪) বেকারত্ব বাড়বে না, বরং অনেক শিক্ষিত বেকার কৃষি পেশার দিকে ঝুকবে। ফলে বেকারত্ব কমবে।
৫) গ্রামীন অর্থনীতি দাড়িয়ে যাওয়ায়, চাকুরী খোজ করতে মানুষ শহরমুখী না হয়ে গ্রামমুখী হবে। ফলে শহরের উপর জনসংখ্যা চাপ কমবে।
৬) আমদানি হ্রাস পাবে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে বিদেশে রফতানি করা যাবে। উৎপাদন খরচ কম হলে বাইরের মার্কেট ধরা সহজ হবে। এক্ষেত্রে আলাদা কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে।
৭) পুরো পলিসি স্ব-দেশী বুদ্ধিবৃত্তিক নিয়ন্ত্রণে হতে হবে। বিদেশীরা পলিসি/গবেষণা/বুদ্ধি দিলে আমরা সেটা যাচাই করে দেখবো, পছন্দ হলে নিবো, নয়ত নিবো না।
৮) মানুষ খাবারের খরচ হ্রাস পেলে অতিরিক্ত টাকা হাতে থাকবে, যা দিয়ে নিত্য-নতুন উন্নতির কথা চিন্তা করা যাবে।