ভোলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ছিলো সন্দেহজনক
প্রথমত,
হতাহতের ঘটনার পর শরীফ ও ইমন নামে যে দুই হ্যাকারের নাম প্রচার করা হলো, তারা নাকি শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছিলো। তাদেরকে শুক্রবার কেন মিডিয়ার সামনে আনা হলো না। শনিবারও আনা হলো না। কথা হলো, তাদের নিয়ে কি প্রশাসন নিজেও কি সন্দিহান ছিলো ? যদি সন্দিহানই থাকে, তবে হতাহতের ঘটনার পর তাদের নাম সামনে নিয়ে আসা হলো কেন ? কাদেরকে আড়াল করার চেষ্টা করা হলো ?
হতাহতের ঘটনার পর শরীফ ও ইমন নামে যে দুই হ্যাকারের নাম প্রচার করা হলো, তারা নাকি শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছিলো। তাদেরকে শুক্রবার কেন মিডিয়ার সামনে আনা হলো না। শনিবারও আনা হলো না। কথা হলো, তাদের নিয়ে কি প্রশাসন নিজেও কি সন্দিহান ছিলো ? যদি সন্দিহানই থাকে, তবে হতাহতের ঘটনার পর তাদের নাম সামনে নিয়ে আসা হলো কেন ? কাদেরকে আড়াল করার চেষ্টা করা হলো ?
দ্বিতীয়ত,
নতুন সময় নামক একটি অনলাইন টিভির ভিডিওর মাধ্যমে সবাইকে দেখানো হয়েছে, পুলিশ রুমে আটকা ছিলো। জনগণ সেখানে হামলা করেছে। তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ কি এমন করেছিলো যে তাদেরকে রুমে ঢুকতে হলো ? জনগণ হঠাৎ করে পুলিশের উপর ক্ষেপলো কেন ? এর উত্তর কিন্তু পুলিশ এড়িয়ে গেছে।
আমি এই একটা ভিডিও লিঙ্ক (https://bit.ly/32I5IvN) দিলাম, এটা ভালো করে শুনুন ও দেখুন। যে সব উত্তেজিত জনতা পুলিশের রুমে হামলা করেছে, তারা হামলার করার মুহুর্তের মাঠ থেকে করা লাইভ ভিডিও এটি। সেখানে বলা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ প্রথমে উত্তেজনা তৈরী করেছে এবং সেই উত্তেজনায় পুলিশকে বাচাতে এসেছিলো বোরহানুদ্দিন মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা জাজরী। কিন্তু সেই মাওলানা জাজরীকে পুলিশ গুলি করে আহত করে। তখন মাওলানা জাজরীকে হাতপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত হয় আরো ৫ জন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং প্রাণভয়ে পুলিশ মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। তখন সম্মিলিতভাবে পুলিশের অবস্থানে হামলা চালায় জনগণ। অর্থাৎ উস্কানি তৈরীতে প্রাথমিক ভূমিকা ছিলো পুলিশের।
নতুন সময় নামক একটি অনলাইন টিভির ভিডিওর মাধ্যমে সবাইকে দেখানো হয়েছে, পুলিশ রুমে আটকা ছিলো। জনগণ সেখানে হামলা করেছে। তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ কি এমন করেছিলো যে তাদেরকে রুমে ঢুকতে হলো ? জনগণ হঠাৎ করে পুলিশের উপর ক্ষেপলো কেন ? এর উত্তর কিন্তু পুলিশ এড়িয়ে গেছে।
আমি এই একটা ভিডিও লিঙ্ক (https://bit.ly/32I5IvN) দিলাম, এটা ভালো করে শুনুন ও দেখুন। যে সব উত্তেজিত জনতা পুলিশের রুমে হামলা করেছে, তারা হামলার করার মুহুর্তের মাঠ থেকে করা লাইভ ভিডিও এটি। সেখানে বলা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ প্রথমে উত্তেজনা তৈরী করেছে এবং সেই উত্তেজনায় পুলিশকে বাচাতে এসেছিলো বোরহানুদ্দিন মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা জাজরী। কিন্তু সেই মাওলানা জাজরীকে পুলিশ গুলি করে আহত করে। তখন মাওলানা জাজরীকে হাতপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত হয় আরো ৫ জন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং প্রাণভয়ে পুলিশ মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। তখন সম্মিলিতভাবে পুলিশের অবস্থানে হামলা চালায় জনগণ। অর্থাৎ উস্কানি তৈরীতে প্রাথমিক ভূমিকা ছিলো পুলিশের।
অর্থাৎ ২টি প্রাথমিক উস্কানি
১) ফেসবুক উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস,
২) সমাবেশে পুলিশ কর্তৃক প্রাথমিক উস্কানি তৈরী করা।
১) ফেসবুক উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস,
২) সমাবেশে পুলিশ কর্তৃক প্রাথমিক উস্কানি তৈরী করা।
প্রথমটিতে যদি ষড়যন্ত্র দেখা হয়, তবে দ্বিতীয়টিতে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও যোগসূত্র কেন খোজা হবে না ?
কারণ এত বড় একটি সমাবেশে পুলিশ কর্তৃক উত্তেজনা তৈরী করা কখন স্বাভাবিক হতে পারে না। এরকম একটি বড় সমাবেশে উত্তেজনা তৈরী করলে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা পারে, এটা জানার পরও পুলিশ কেন মাওলানা জাজরীকে গুলি করে উত্তেজনা তৈরী করলো, সেই ঘটনা বের না করলে মূল রহস্য কখনই উন্মোচিত হবে না।
কারণ এত বড় একটি সমাবেশে পুলিশ কর্তৃক উত্তেজনা তৈরী করা কখন স্বাভাবিক হতে পারে না। এরকম একটি বড় সমাবেশে উত্তেজনা তৈরী করলে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা পারে, এটা জানার পরও পুলিশ কেন মাওলানা জাজরীকে গুলি করে উত্তেজনা তৈরী করলো, সেই ঘটনা বের না করলে মূল রহস্য কখনই উন্মোচিত হবে না।
আমি অবশ্যই সকল পুলিশকে দোষারোপ করছি না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সকল পুলিশ দায়ী নয়। তবে পুলিশের মধ্যে কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহলের ‘হ্যান্ডেলার’ অথবা আড়াল থেকে নির্দেশদাতা থাকতে পারে, যে পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে। আবরার হত্যায় যেমন একটি মহল নিজ স্বার্থে ছাত্রলীগকে পেটানোর কাজে ব্যবহার করেছে, ঠিক তেমনি পুলিশকেও কেউ একইভাবে ব্যবহার করেছে।
আমি আবার বলছি-
স্ট্যাটাস দিয়ে জনগণের মাঝে উত্তেজনা তৈরী করা হয়েছে, এরপর কোন পুলিশ সদস্যের দ্বারা কিছু ঘটনা ঘটিয়ে সেই উত্তেজনা ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশের দিকে। পুলিশের হাতে ছিলো অস্ত্র। অস্ত্র আর জনগণ মিলে হয়েছে সংঘর্ষ। দুই উস্কানিতে সেই পক্ষই মদদ দিয়েছে, যারা একটি সংঘর্ষ হয়ে গেলে তার থেকে পরবর্তী ফায়দা নিতে পারবে। তাই ফায়দাটা কার ঘরে গেলো সেটাই এখন হিসেব করার বিষয়।
স্ট্যাটাস দিয়ে জনগণের মাঝে উত্তেজনা তৈরী করা হয়েছে, এরপর কোন পুলিশ সদস্যের দ্বারা কিছু ঘটনা ঘটিয়ে সেই উত্তেজনা ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশের দিকে। পুলিশের হাতে ছিলো অস্ত্র। অস্ত্র আর জনগণ মিলে হয়েছে সংঘর্ষ। দুই উস্কানিতে সেই পক্ষই মদদ দিয়েছে, যারা একটি সংঘর্ষ হয়ে গেলে তার থেকে পরবর্তী ফায়দা নিতে পারবে। তাই ফায়দাটা কার ঘরে গেলো সেটাই এখন হিসেব করার বিষয়।